দৈনন্দিন জীবনে আমরা কমবেশি ভোজঅনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়ে থাকি। তার মধ্যে বিয়ের অনুষ্ঠান ছাড়াও থাকে জন্মদিন, গায়ে হলুদ, আকদ, বৌভাত, মেজবান, বিশেষ বিশেষ দিন উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজন। এইসব অনুষ্ঠান নামি-দামি কমিউনিটি সেন্টার, ক্লাব, মাঠে, হোটেল-রেস্তোরাঁয় বা বাসাবাড়িতে হয়ে থাকে। কিন্তু লক্ষণীয় যে, এই উৎসব-অনুষ্ঠানে খাবার অপচয় হয় বেশি। খাবার তালিকায় থাকে পোলাও, মুরগির রোস্ট, কোরমা, কাবাব, মাছ, মাংস, ডিম, সবজি, দই, পায়েস, জর্দা, বোরহানি আরো কত কী! আবার সাদাভাত এবং কোমল পানীয়জলের ব্যবস্থা থাকে। খাওয়ার সময় প্লেটে খাবার নেয়া হয় বেশি করে, যার কিছু অংশ খাওয়া হয় আর বাকিটা পড়ে থাকে। এসব খাবার যায় ডাস্টবিনে। হোটেল-রেস্তোরাঁয় প্রতিদিন প্রচুর খাবার নষ্ট হয়। আমাদের দেশে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যে কোনো অনুষ্ঠানের অতিরিক্ত খাবার বিতরণ নিয়ে কাজ করে থাকে। এতে অনেক অসহায় মানুষের খাবারের ব্যবস্থা হয়। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার হিসেবে প্রতি বছর পৃথিবীতে ১৩০ কোটি টন খাবার নষ্ট হয়ে থাকে। আমাদের দেশে বিয়ে ও জন্মদিনসহ বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানে প্রচুর খাবার অপচয় হয়। খাবারের অভাবে পৃথিবী জুড়ে অনাহারে দিন কাটায় কোটি কোটি মানুষ। তাই সব পর্যায়ে খাবারের অপচয় রোধে সচেতন হতে হবে। খাবার অপচয় রোধে আমাদের পরিমিত খাবার গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। আসুন, উৎসব-অনুষ্ঠানে খাবার অপচয় রোধে সবাই সচেতন হই।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh