গত বছরের ৮ মার্চ ভোক্তাপর্যায়ে এলপিজির মূল্যহার নির্ধারণের বিষয়ে গঠিত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে মন্তব্য করেছেন যে, পাইপলাইনের গ্রাহকেরা যে পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করেছেন তার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বিল দিচ্ছেন তারা—যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। তার ওপর প্রতিদিনই কয়েকঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকে। এদিকে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি বকেয়া গ্যাস বিল পরিশোধ না করায় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নোটিশ দিয়েছে। করোনা অতিমারিতে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। মাঝারি ও ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা হারিয়েছেন পুঁজি। অনেকেই গ্রামে ফিরে গিয়েছেন। এ কারণে গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল, বাড়িভাড়া, সন্তানদের স্কুল-কলেজের টিউশন ফি ইত্যাদি পরিশোধ করতে পারছেন না। এহেন অবস্থায়, কিছুটা সময় দিয়ে বকেয়া গ্যাস বিলের অন্তত ৫০ শতাংশ মওকুফ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত গ্রাহকদের অর্ধেক হারে গ্যাস বিল ধার্য করা হোক।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh