সেশনজটের সুরাহা হোক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শুধু শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগই নয়, সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের শিক্ষকদের উচিত সময়মতো পরীক্ষা নিয়ে যথাসময়ে ফল প্রকাশ করা। ২০১২ সালের পর থেকে দেশে ‘সেশনজট’ শব্দটি উচ্চশিক্ষা থেকে অনেকটাই যখন উধাও হয়ে গেছে, তখন ২০২১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের শিক্ষার্থীদের লড়তে হচ্ছে সেশনজটের সঙ্গে। একটি বিভাগ তাদের দাফতরিক সব কাজ সময়মতো করতে না পারলে, তাদের অদক্ষতার বলি শিক্ষার্থীদের হতে হবে কেন? আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী; তবুও শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের শিক্ষার্থীরা আমার ভাই, বোন কিংবা বন্ধু হিসাবে তাদের আর্তনাদ, উৎকণ্ঠা অনুভব করি। যখন আমরা দ্বিতীয় বর্ষের শেষ পর্যায়ের শিক্ষার্থী, তখনো কি না একই শিক্ষাবর্ষের বন্ধুরা প্রথম বর্ষের সিলেবাস নিয়ে চিন্তিত! না হয় তাদের ক্লাস, না হয় পরীক্ষা। যে একটা-দুটো ক্লাস হয়, তা করতেও যেন শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির অন্ত নেই। আমরা যেখানে বিভাগের নির্দিষ্ট একটি রুমে বসে সারা বছর ক্লাস করি, সেখানে ওদের ক্লাস করার জন্য এক অনুষদ থেকে অন্য অনুষদে, এক ভবন থেকে অন্য ভবনে যেতে হয় শুধু ক্লাস করতে। এতে করে তারা ক্লাসের প্রতি ধীরে ধীরে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যসব বিভাগের শিক্ষার্থীদের যেখানে এত সুযোগ-সুবিধা, সেখানে শুধু শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের শিক্ষার্থীদের কেন এরকম ঝামেলা পোহাতে হবে? প্রথম বর্ষের সমান যদি ২৫ মাস হয়, তাহলে কারোই অন্তত বুঝতে বাকি থাকে না সেশনজটের ব্যাধি যে শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের শিক্ষার্থীদের আক্রান্ত করেছে। তাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি— শিক্ষার্থীদের এই ভোগান্তি দ্রুতই সমাধান করা হোক।



সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //