সাংবাদিক কাজলের তিন মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত

ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের তিন মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সাংবাদিক কাজলের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।

আজ বুধবার (১ জুন) বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি ম. আতোয়ার রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গত বছরের ৮ নভেম্বর ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা তিন মামলায় অভিযোগ গঠন করেন ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন। সাংবাদিক কাজল বর্তমানে জামিনে আছেন।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (মাগুরা-১ আসন) সাইফুজ্জামান শিখর, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওসমান আরা বেলী এবং সুমাইয়া চৌধুরী বন্যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় ২০২০ সালের ৯, ১০ ও ১১ মার্চ সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করেন। মামলাগুলো করা হয় যথাক্রমে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ রাসেল মোল্লা ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি, ৪ এপ্রিল ও ১৪ মার্চ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা তিনটির অভিযোগপত্র জমা দেন।

এসব মামলায় সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং যুব মহিলা লীগের শীর্ষ নেতাদের সম্পর্কে অশালীন, মানহানিকর, আপত্তিকর ও ভুয়া তথ্য প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছিল।

২০২০ সালের ১০ মার্চ সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল তার বকশিবাজারের বাসা থেকে দৈনিক পক্ষকাল কার্যালয়ের উদ্দেশে বের হন। হাতিরপুলের মেহের টাওয়ারের কার্যালয়ে পৌঁছান বিকেল সোয়া চারটার দিকে। সন্ধ্যা পৌনে সাতটা থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরদিন তার স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসী চকবাজার থানায় নিখোঁজ হওয়ার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর আদালতের হস্তক্ষেপে শফিকুলের ছেলে মনোরম পলক চকবাজার থানায় অপহরণের মামলা করেন।

৫৪ দিন ‘নিখোঁজ’ থাকার পর ওই বছরের ৩ মে ফটো সাংবাদিক কাজলের খোঁজ মেলে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাকে বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় উদ্দেশ্যবিহীনভাবে ঘুরতে দেখে আটক করে। ওইদিনই তাকে যশোরের একটি আদালত ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে হাজতে পাঠায়।

গ্রেপ্তারের পর কাজলের বিরুদ্ধে প্রথমে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা করে পুলিশ। এরপর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের একাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গ্রেপ্তারের প্রায় নয় মাস পর হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর কারামুক্ত হন ফটো সাংবাদিক কাজল।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //