মারা যাওয়ার পর ‘মাসুদ রানা’র স্বত্ত্ব জিতলেন আব্দুল হাকিম

সেবা প্রকাশনীর মাসুদ রানা সিরিজের ২৬০টি ও কুয়াশা সিরিজের ৫০টি বইয়ের লেখক হিসেবে মালিকানা স্বত্ত্ব শেখ আবদুল হাকিমকে দেওয়া কপিরাইট অফিসের সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট বহাল রেখেছেন। 

কপিরাইট অফিসের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে সেবা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী কাজী আনোয়ার হোসেনের করা রিটে গত বছর রুল দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। 

সেই রুল খারিজ করে এবং কপিরাইট অফিসের দেওয়া সিদ্ধান্তের ওপর থাকা স্থগিতাদেশ বাতিল করে আজ সোমবার (১৩ আগস্ট) রায় দিয়েছেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এই মামলা চলার মধ্যেই চলতি বছর আগস্টে ৭৪ বছর বয়সে মারা যান শেখ আবদুল হাকিম। মৃত্যুর চার মাস পর মাসুদ রানা সিরিজে তার ভূমিকার স্বীকৃতি মিললো হাইকোর্ট থেকে।   

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এ বি এম হামিদুল মিসবাহ। কপিরাইট অফিসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও ইফতাবুল কামাল অয়ন।

রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটসের আইনজীবী মো. ইফতাবুল কামাল বলেন, এই রায়ের ফলে মাসুদ রানা সিরিজের ২৬০টি ও  কুয়াশা সিরিজের ৫০টি বইয়ের স্বত্ব শেখ আবদুল হাকিমের বলে কপিরাইট অফিসে সিদ্ধান্ত বহাল থাকছে।

গত বছরের ১৪ জুন কপিরাইট অফিসের দেওয়া আদেশে মাসুদ রানা সিরিজের ২৬০টি ও কুয়াশা সিরিজের ৫০টি বইয়ের লেখক হিসেবে শেখ আবদুল হাকিমের পক্ষে সিদ্ধান্ত আসে। ফলে লেখক হিসেবে তার স্বত্ব পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।

পরে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের আগস্টে হাইকোর্টে রিট করেন কাজী আনোয়ার হোসেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে ‘মাসুদ রানা’ ও ‘কুয়াশা’ সিরিজের কিছু বইয়ের বিষয়ে কপিরাইট অফিসের দেওয়া আদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য স্থগিত করেন।

রুলে কপিরাইট অফিসের গত বছরের ১৪ জুন দেওয়া আদেশ কেন এখতিয়ারবহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। সংস্কৃতিসচিব, কপিরাইট অফিস, রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস, কপিরাইট বোর্ডসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। 

রুলের ওপর শুনানি শেষে আজ এই রায় দেওয়া হলো।

২০১৮ সালের ২৯ জুলাই আবদুল হাকিম ওইসব বইয়ের লেখক হিসেবে স্বত্ব বা মালিকানা দাবি করে সেবা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী কাজী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে শুনানি শেষে চলতি বছরের ১৪ জুন আদেশ দেয় কপিরাইট অফিস।