সকল সমস্যার মূল ইসরায়েলের দখলদারিত্ব: মুসা আবু মারজুক

কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থিত হামাসের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কার্যালয়ের প্রধান মুসা আবু মারজুক (সাবেক পলিটব্যুরো সদস্য) দ্যা ফ্রন্টলাইনকে এক সাক্ষাৎকারে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ইস্যুতে নানা বিষয়ে কথা বলেন। মুল সমস্যা হিসেবে মারজুক দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের দখলদারিত্বের বিষয়টিকেই মূলত চিহ্নিত করেছেন। মুসা আবু মারজুক হামাস নেতা খালেদ মিশালের উত্তরসূরি হিসেবে সুপরিচিত। ২০১৭ সালের মে মাসে হামাসের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে হেরে গেলেও পলিটিক্যাল ব্যুরোর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন অনেকদিন। তিনি ও তার পরিবার ইসরায়েলের ইয়াভনের বাসিন্দা হলেও রাফা শরণার্থী শিবিরে ১৯৪৮ সালে স্বপরিবারে তাকে ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে চলে আসতে হয়। 

ফ্রন্টলাইনকে দেয়া তার সাক্ষাৎকারটি নীচে তুলে ধরা হল: 

৭ অক্টোবর হামাস সবাইকে তাক লাগিয়ে বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা চালায়। এ হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া হল-এতে করে নারী, শিশুসহ অসংখ্য বেসামরিক জনগণ নিহত হয়েছে। এ বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া জানতে চাই..

ঘটনার শুরু ৭ অক্টোবর নয়। এই সমস্যার নেপথ্যে রয়েছে কয়েক দশক ধরে ইসরায়েলের দখলদারিত্বের ইতিহাস। আর এটি সমস্যার মূল শিকড়। তাদের দখলদারিত্বের সময় থেকেই প্রতিদিন আমাদের ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে আসছে ইসরায়েল বাহিনী। শত শত জঘন্য হামলা চালিয়ে আসছে এই দেশটি। গাজা অবরোধ করে রেখেছে আজ ১৭ বছর ধরে। গাজাবাসীদের রক্ত শোষণ করে আসছে ইসরায়েল এতদিন ধরে। গাজা উপতক্যার তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যত জীবন বিনষ্টের পাশাপাশি শত শত মানুষের মানুষের জীবন ধ্বংস ও ক্ষয়ক্ষতি করে চলেছে ইসরায়েল। এ অবস্থায় আমরা কি আত্মসমর্পণ করব? এমনকি ইসরায়েলরা এটিও চায় না। তাহলে তাদের কী চাওয়া? তারা চায় হয় ফিলিস্তিনিদের তাদের মাতৃভুমি থেকে চিরতরে বিতাড়িত করবে আর নয় মেরে ফেলবে। 

আমরা পশ্চিমা মদদপুষ্ট এই দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। আমাদের চাওয়া শুধু স্বাধীনতা। আমরা দখলদারিত্বের অধীনে জীবন ধারণ করতে চাই না। যেভাবে একসময় ভারতীয়রা ব্রিটিশদের অধীনে ছিল। অবশেষে তারা বিতাড়িত হয়েছিল। 

হামাস অনেক বেসামরিক নাগরিককে হত্যার পাশপাশি ইসরায়েলের নাগরিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করে এক কর্মী ভিভিয়ান সিলভারসহ অনেককেই জিম্মি হিসেবে বন্দী করে নিয়ে গেছে। এ অপারেশনের উদ্দেশ্য কী? 

বেসামরিকদের মৃত্যু নিয়ে ইসরায়েল মিথ্যাচার করে আসছে। ইসরায়েলে স্বীকার করেছে আমাদের মুক্তিকামী সদস্যরা কোনও বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেনি। বরং অনেক প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, হামাস সদস্যরা ইসরায়েলী শিশুদের সেবা শুশ্রূষা করছেন। এক ইহুদি নারী বলেছেন, এক যোদ্ধা তিনি কলা খাবেন কী না তা জানতে অনুমতি চেয়েছিলেন। আপনি বলুন- বেসামরিক কাউকে মেরে ফেলতে চাইলে তিনি কিছু খাবেন কী না তা কখনও জানতে চাইবে? 

ইসরায়েল বাহিনী এও স্বীকার করেছে, যিনি কিনা ইসরায়েলি বেসামরিককে হত্যা করেছিলেন তিনি তাদের সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন। কারণ সেসময় তাদের আর্মি এক বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে ১২ বেসামরিক মানুষ হত্যা করে। পরে ধ্বংসাবশেষ থেকে প্রমাণ হয় সে ঘটনা তাদের সেনাদের হাতেই হয়েছিল। আমাদের যোদ্ধাদের হাতে হালকা অস্ত্র থাকে। এমনকি তাদের মিউজিক ফেস্টিভ্যালে হামাস হামলা চালিয়ে তাদের লোকদের হত্যা করেছে বলে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। অথচ আমরা জানিওনা ওই অঞ্চলে কোনো সঙ্গীত উৎসব হচ্ছিল। ইসরায়েল সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনী আমাদের যোদ্ধারা পৌঁছার আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে সবাইকে সরানোর কাজ করতে থাকে। ফলে ওই অঞ্চল সামরিক জোনে পরিণত হয়ে যায় ও সংঘর্ষ ঘটে। তাদের লোকেরাই সাক্ষী দিয়েছেন যে, ইসরায়েল সেনাবাহিনী তাদেরই বহু বেসামরিক লোকদের হত্যা করেছে যখন মিসাইল হামলা শুরু হয়। 

যখন ইসরায়েল বাহিনী গাজা সীমান্ত ঘিরে ফেলে তখন বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। সেসময় আমদের গাজা উপতক্যার নাগরিকরা ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে বহু ইসরায়েলিকে আটক করেন। আমরা সকল গোষ্ঠীকে জানিয়েছি সকল বেসামরিক ও বিদেশি নাগরিককে মুক্ত করে দিব। আমরা তাদের ধরে রাখতে চাই না। আমাদের নীতিতে এটা নেই। তবে বন্দী মুক্তির একটা উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। গাজা উপতক্যায় অবিরাম বোমা বর্ষণে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি তাদের গুদামে ত্রাণ সামগ্রী রাখতে পারছে না অবিরাম বোমা বর্ষণের ফলে। তাহলে তারাই বা কীভাবে মুক্তি পাবে যেখানে আমরাই জানি না তাদের অবস্থানের বিষয়ে? 

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন এ হামলার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল আব্রাহাম চুক্তিকে বিতর্কিত করার পাশপাশি আরব দেশগুলোর সাথে ইসরায়েলের স্বাভাবিক সম্পর্ককে অস্থির করা। 

আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে স্বাভাকীকরণ চুক্তির জন্য হামলার দরকার নেই। কারণ তারা আরব জনগণের ইচ্ছা ও চাওয়ার কোন মূল্য কখনই দেয়নি। এমনকি তাদের (আরব জনগণের) স্বার্থ নিয়েও ইসরায়েল কথা বলেনি। তারা প্রবলভাবেই সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার বিষয়টিকে অগ্রাহ্য করে আসছে শুরু থেকেই। উদাহরণস্বরূপ, মিশর ও জর্ডান ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তির বয়স ৪০ বছরেরও বেশি হয়েছে। কিন্তু তাদের (ইসরায়েল) জনগণ এটিকে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করে থাকেন। আর তাই আমরাও এ চুক্তির বিষয়ে ভিত নই, কারণ তাদের পরিণতি তারা ডেকে এনেছে। 

বিশ্বজুড়ে বর্তমানে সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্যদিয়ে অধিকার আদায়ের সম্ভাবনা খুব কম। বর্তমানে হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমারাও ইসরায়েলের সাথে। এমন একটি ভূকৌশলগত পরিবেশে শান্তিপূর্ন আন্দোলনের কোনো সম্ভাবনা হামাসের আছে?  

ব্রিটিশরা যখন ভারত শাসন করছিল তখন পৃথিবীতে তারাই সুপার পাওয়ার ছিল। তারপরেও ভারতের জনগণ তাদের মোকাবেলা করেছিলেন। আমরা ৩০ বছর ধরেই শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলন চালিয়ে এসেছি ও অসলো শান্তি চুক্তিও সম্পাদিত হয়েছিল। কী ফল পেয়েছি? তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যে ফিলিস্তিন দেয়ার কথা ছিল তা আমরা পাইনি। আর পশ্চিমতীর ইসরায়েলের আগ্রাসনের ফলে এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয়েছে। 

আর এ কারণেই আমাদের জনগণ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাস রাখতে পারছেন না। আমরা তাই সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্যদিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি। আমরা আমদের স্বাধীনতা চাই। 

গাজায় ২০০৬ সালে আপনারা ক্ষমতায় এসেছেন। জনগণ বলছেন আপনারা যদি সাহন ব্যবস্থার দিকে মনোযোগী হতেন তবে এ অঞ্চলটিকে হকং বা  সিঙ্গাপুরের মত আধুনিক-উন্নত এক ব্যবসায়ী অঞ্চলে পরিণত করে উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে এ অঞ্চলকে রণক্ষেত্র বানিয়েছেন। 

অবাক লাগছে শুনে যে আমাদের কার্যকলাপের জন্য এমন অবস্থার তৈরি হয়েছে। হামাস ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর দায়িত্ব পেয়েছি ২০০৬ সালে। প্রতিনিয়ত ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র আর পশ্চিমাদের দ্বারা আমরা প্রতিহতের শিকার হয়েছি। আমাদের পতন কীভাবে করানো যায় সেটি ছিল তাদের চাওয়া। ইচ্ছাকৃতভাবেই ইসরায়েল আমাদেরকে সর্বদা নির্মূলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। 

আরও অবাক লাগছে এটা শুনে যে, গাজাকে হামাস নাকি সিঙ্গাপুরের মত হতে পারত, আর তা না হয়ে এটিকে আমরা যুদ্ধক্ষেত্র বানিয়েছি। এমন একটাও উদাহরণ দিতে পারবেন যেখানে চোর ও সন্ত্রাসীদের বসবাস থাকা স্বত্বেও সফল অর্থনৈতিক প্রকল্প গড়ে ওঠেছে? এয়াত অসম্ভব। তাহলে আপনি কীভাবে আমার কাছে একটি সমন্বিত অর্থনীতির কাঠামো চাচ্ছেন? উন্নতির প্রথম ধাপ হলো দুষ্কৃতিকারীমুক্ত একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা। আগ্রাসনের আগে সন্দেহতীতভাবে আমরা একটি সত্যিকারের অগ্রসরমান রাষ্ট্র ছিলাম। আর যখন দখলদারিত্বের কবলে পড়ে গেলাম তখন থেকেই যুদ্ধ, স্থানান্তরিত আর শরণার্থী হিসেবে আমাদের অর্ধেক জনগোষ্ঠী ফিলিস্তিনের বাইরে বাস করতে শুরু করেছেন। 

আমরা উন্নতির মধ্যদিয়ে বাঁচতে চাই। কিন্তু আমার একটাই প্রশ্ন, একজনও মানুষ আমায় দেখাতে পারবেন যেখানে দখলদারিত্বের অধীনে থেকে উন্নত জীবন নিয়ে কেউ বসবাস করছেন? 

আপনারা যুদ্ধ শুরু করেছেন, এর শেষ কোথায়? 

তারাই যুদ্ধ শুরুর করেছে যারা কিনা আমাদের নিজ ভূমি থেকে বিতাড়িত করেছেন, আমাদের লোকদের উচ্ছেদ করেছেন, আমাদেরকে অবরোধ করে রেখেছেন। আমার অপারেশন ইসরায়েল সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। আমাদের এ প্রতিরোধ যৌক্তিক। শত শত তরুণ যারা অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞায় রয়েছেন, যারা এ অঞ্চলের একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠন করতে পারতেন, তারা আজ নিগৃহীত। আমরা স্বাধীনতা না পাওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাব আর স্বাধীনতাই এ খেলার শেষ অধ্যায়। 

আপনারা আরব বিশ্ব ও আরব বিশ্বের বাইরে থেকে সহানুভূতি পাচ্ছেন। ফিলিস্তিন ইস্যুতে এটিকে কীভাবে ব্যবহার করবেন? আপনারা কী ইরানের সমর্থনও আশা করছেন? 

ইরান বিপ্লবের অনেক আগে থেকেই ফিলিস্তিনিদের এ প্রতিরোধের জন্ম। ইরান আমাদের সমর্থন দিয়ে আসছে এর জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমরা সকল দেশ ও গোষ্ঠীর সমর্থন গ্রহণে প্রস্তুত। আমি বলতে চাই, এক্ষেত্রে বর্তমানে ভারত সরকারের গৃহীত নীতি ভারতের জন্যই ক্ষতিকর। ফিলিস্তিন ও আরব জনগণের ইসরায়েলী জোটে যারা রয়েছে তারাও ভারতের বিরুদ্ধে দেশটির ঐতিহ্যের সাথে সাংঘর্ষিক। 

ইসরায়েলের সাথে যারা জোট রয়েছে তারা ফিলিস্তিনি জনগণ এবং আরব দেশগুলোর সাথে ঐতিহাসিকভাবেই ভারতের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে আরেক অভ্যুত্থানের সূচনা করেছে। আরব অঞ্চলে ভারতের অনেক স্বার্থ রয়েছে। আর ভারতের সঙ্গে ইসরায়েলের এই সম্পর্ক আরব জনগণের কাছে ভারতকে শত্রু রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরার পাশাপাশি মনস্তাত্ত্বিকভাবেও ভারতের স্বার্থ আদায়ে একটি দেয়াল তুলে দিবে। 

আপনারা প্রায় বলে থাকেন আপনারা ইসরায়েলকে মানেন না। কিন্তু ইসরায়েল বাস্তবেই রয়েছে। আপনারা দুই দেশের জন্য সামাধানের জন্য কোন পথে আগাবেন? 

আপনি যদি আমাকে ইসরায়েলকে বাস্তবতা হিসেবে মেনে নিতে বলেন তবে ভারত কেন ব্রিটিশ আগ্রাসনকে মেনে নেয়নি। সেসময়ে ইসরায়েলের চেয়েও অধিক শক্তিশালী ছিল ব্রিটিশ। ইসরায়েল একটি আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে গণ্য হয় আর তৎকালীন সময়ে ব্রিটেন ছিল পরাশক্তি। সহজ একটা পথ হলো- প্রতিরোধের ইচ্ছাকে ছিড়ে ফেলে ইসরায়েলের শাসন মেনে নেয়া। কিন্তু সত্যটা হলো মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন- ‘’ সঠিক পথ সবসময় খুব কঠিন হয়ে থাকে’’। 

শান্তির জন্য ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সহাবস্থানে থাকার কোনও সম্ভাবনা আছে? হামাসের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হবে? 

আপনি একটি ভেড়াকে জিজ্ঞাসা করছেন, ‘’ তুমি কী নেকড়ের সঙ্গে থাকতে চাও? আপনাকে অবশ্যই এ প্রশ্নটি মধ্যপ্রাচ্যের পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন উন্নত সমরাস্ত্র সজ্জিত শক্তিটিকেই করা উচিত, যেখান থেকে সমস্যার শুরু। ফিলিস্তিনবাসী দুই রাষ্ট্র সমাধানের জন্য অসলো চুক্তিতে গিয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েলের দখলদারিত্বের কারণে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে আমাদের প্রতিহত করা হয়েছে। এমনকি ইসরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ধ্যানধারণাকেও মুছে দিবেন। এরপরেও কী যারা মনে করেন একজন ভাল ফিলিস্তিনি মৃতের সমান, তাদের সঙ্গে সহাবস্থানে থাকার ধারণা লালন সম্ভব?

বলা হয়ে থাকে ফিলিস্তিনিরা বিচ্ছিন্ন ও দ্বিধাবিভক্ত। আর এমন কোনও বিচ্ছিন্ন আন্দোলনের সঙ্গে কেউ জড়াতে চায় না। 

এটি হাস্যকর বিষয়। কারণ ফিলিস্তিনিরা বিভক্ত হয়েছিলেন ২০০৬ সালে, যা ছিল ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার ছয় দশক পর। তাহলে বিশ্ব কেন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এই দশকগুলোয় সমর্থন জানায়নি? বর্তমানে ফিলিস্তিনকে ভাঙার জন্য অজুহাত খুঁজছে বিশ্ব। যাতে করে ফিলিস্তিনিরা বিশ্বের সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়। আজ বিশ্ব ফিলিস্তিনি বিভাজনের অজুহাত খুঁজছে যাতে আন্তর্জাতিক সমর্থন হ্রাসের পিছনে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে পারে। আমি পরামর্শ দিব ভারতের ঐতিহাসিক বিপ্লবের দিকে তাকাতে। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় নানাজন নানামত ধারণ করছিলেন।

সূত্র: ফ্রন্টলাইন

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //