মধ্যপ্রাচ্য
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০১:১০ পিএম
আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০১:১১ পিএম
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০১:১০ পিএম
মধ্যপ্রাচ্য
ডেস্ক রিপোর্ট
আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০১:১১ পিএম
সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, দেশটির তেলক্ষেত্রে সাম্প্রতিক হামলায় ১৮টি ড্রোন ও সাতটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে এবং এগুলো ইয়েমেন থেকে ছোড়া হয়নি।
তেলক্ষেত্রে হামলায় ব্যবহৃত ড্রোন ও ক্রুজ মিসাইলের ধ্বংসাবশেষ প্রদর্শন করে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, এগুলো প্রমাণ করে ওই হামলায় জড়িত ছিলো ইরান।
ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা আগেই এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে শনিবারের ওই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান। একই সঙ্গে দেশটি যে কোনো হামলার স্বীকার হলে পাল্টা জবাব দেয়া হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রও দাবি করেছিল, ওই হামলার পেছনে ইরানই ছিলো। বুধবার সৌদি আরবে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও একে 'অ্যাক্ট অব ওয়ার' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এ ঘটনার জবাব দেয়ার জন্য 'অনেক বিকল্প' ছিল যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। চূড়ান্ত একটি বিকল্প আছে এবং এছাড়া আরো বিকল্পও আছে এবং আমরা দেখব, আমরা শক্তিশালী অবস্থানে আছি।’
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে ওই হামলার প্রমাণাদি উপস্থাপন করে সৌদি আরব, যাতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের কিছু ধ্বংসাবশেষ রাখা হয়েছিল।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল তুর্কি আল মালকি বলেছেন, যারা যা উপস্থাপন করেছেন সেটিই প্রমাণ করে হামলা এসেছিল উত্তর দিক থেকে এবং সেটি প্রশ্নাতীতভাবেই ইরান দ্বারা পরিচালিত। তারপরেও তারা যেখান থেকে হামলা হয়েছে সেই পয়েন্টটি চিহ্নিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
যে সব ধ্বংসাবশেষ ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়েছে তারমধ্যে ইরানের ইউএভি বা চালকবিহীন উড়ন্ত বাহনের 'ডেল্টা উইং' ছিল বলেও দাবি করা হয়।
মালকি বলেন, কম্পিউটারে ইউএভি ডাটা পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে এটি ইরানের। ১৮টি চালকহীন বাহন দিয়ে হামলা হয় আবকাইক তেল শোধনাগারে ও সাতটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করে দুটি জায়গায়। এর মধ্যে চারটি খুরাইজ তেলক্ষেত্র ও তিনটি পড়ে আবকাইকে।
তিনি ম্যাপ ও ক্ষয়ক্ষতির ছবিসহ আবকাইকে চালকবিহীন যানের হামলার ভিডিও প্রদর্শন করেন। তবে ঠিক কোথা থেকে হামলাটি এসেছে সে জায়গাটি চিহ্নিত করা যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বের করা মাত্রই প্রকাশ করা হবে।
ইরানের দিক থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো আসেনি। দেশটির বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, ইরানের একটি কূটনৈতিক নোট দেয়া হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, ‘ইরানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হলে তা দ্রুতই ইরানের জবাবে পাবে।’
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : সৌদি আরব তেলক্ষেত্র ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন হুতি বিদ্রোহী ইরান
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh