নিয়মিত ঘর পরিষ্কারেই স্বস্তি

ঘর যদি অপরিষ্কার থাকে তাহলে সারা দিনের কর্মব্যস্ততা শেষে বাসায় ফিরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন কীভাবে। সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনের জন্য চাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বাসা। আবার অফিস শেষে প্রতিদিন সবকিছু হয়তো গুছিয়ে রাখাও সম্ভব না। ছুটির একদিনে পুরো সপ্তাহের কাজ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। কাজ অল্প থাকতে থাকতেই করে ফেলা ভালো। তাহলে শ্রম এবং সময় দুই-ই বাঁচে। ঘরও পরিষ্কার থাকে।

১. সম্ভব হলে একটা ক্লিনিং রুটিন বানিয়ে ফেলুন। এতে যেমন প্রতিদিন ভাবতে হবে না আজ কোন ঘর পরিষ্কার করতে হবে, তেমনি বাড়ির প্রত্যেকটা জায়গা সমান গুরুত্ব দিয়ে পরিষ্কার করা হবে।

২. ঘর পরিষ্কার করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামডাস্টার, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, ময়লা ফেলার ঝুড়ি, ঝাড়ু, মোছার কাপড় ইত্যাদি একসঙ্গে গুছিয়ে রাখুন। এতে করে পরিষ্কারের কাজ সহজ হবে।

৩. এমন একটি ক্লিনার তৈরি করে নিন, যা দিয়ে ঘরের টুকিটাকি অনেক কিছুই পরিষ্কার করা যায়। ভিনেগার, কমলা বা লেবুর খোসা, বেকিং সোডা দিয়ে সেই ক্লিনার তৈরি করে ফেলুন।

৪. ঘুম থেকে উঠেই বিছানা পরিষ্কার করে নিন। কাজ থেকে বাড়ি ফিরে বিছানা পরিষ্কার করার আশা না রাখাই ভালো। 

৫. রান্না করার পরই চুলা পরিষ্কার করে ফেলুন। সব ঘরের চাইতে রান্নাঘরেই সবচেয়ে বেশি কাজ হয়। তাই সাপ্তাহিক পরিষ্কারের পাশাপাশি দৈনিক কাজের শেষে রান্নাঘরের তাক ও মেঝে মুছে রাখলে পরিশ্রম কমবে।

৬. কাজ থেকে ফিরে শরীর চলে না। তাই খাওয়াদাওয়ার পর বাসনপত্র জমিয়ে রাখেন। তা না করে ধুয়ে ফেলুন।

৭. গোটা সপ্তাহ ধরে ব্যবহার করা পোশাক জমিয়ে রাখেন। সেটি না করে রোজই অল্প করে কাচাকুচি করে নিতে চেষ্টা করুন। এতে একসঙ্গে পাহাড় প্রমাণ জামা-কাপড় জমে যাবে না। 

৮. গোসল সেরে তোয়ালে, জামাকাপড় নির্দিষ্ট জায়গায় রাখুন। ঝাড়ু দিয়ে বাথরুমের পানি টেনে নিন। এতে বাথরুম তাড়াতাড়ি শুকাবে ও পরিষ্কারও থাকবে।

৯. যখনই যে কাজটা করবেন, চেষ্টা করবেন কাজ শেষ হলেই ব্যবহৃত জিনিসগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় তুলে রাখতে। পরে করব বলে ফেলে রাখলে জিনিসের পর জিনিস জমতেই থাকবে।

১০. প্রতিদিনের ব্যবহারের জিনিস সুবিধাজনক জায়গায় রাখুন, যাতে সহজে পাওয়া যায়। শিশুর খেলনা, স্টেশনারি, বইখাতা রাখার জায়গা নির্দিষ্ট করে দিন, যাতে তারা নিজেরাই গুছিয়ে রাখতে পারে।

১১. বাড়ি ফিরে জুতা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে না রেখে নির্দিষ্ট জায়গায় তা গুছিয়ে তুলে রাখুন।

১২. অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যাতে ঘরে জমে না থাকে সেজন্য ওয়ান ইন ওয়ান আউট নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন। এর অর্থ হলো একটি নতুন জিনিস কিনে আনার পর একটি পুরাতন জিনিস ফেলে দেওয়া।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //