কর্মব্যস্ত জীবনে ক্লান্তি দূর করতে ফুলের জুড়ি নেই। এর নরম সৌন্দর্য আর প্রশান্তিদায়ক ঘ্রাণে সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। ফুলের ব্যবহারও কম নয়। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত উৎসবে বা শোকে ফুল অনেকটা বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সবাই ফুল সাজাতে পারেন না। এর রয়েছে বিশেষ কিছু নিয়মকানুন রয়েছে।
- ফুল সাজানোর ক্ষেতে পানির ব্যবহার বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ফুল সতেজ রাখতে পানি বেশ প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ফুলদানিতে ফুল রাখার আগে অল্প পরিমাণে পানি দিয়ে নিন। ফুল রাখার পর বাকি পানি ঢালুন। দুদিন পরপর ফুলদানির পানি পরিবর্তন করা উচিত।
- অন্দর, স্টেজ বা গেট সাজানোর আগে ফুলের কা-ের কিছু অংশ কেটে ফেলে দিন। এজন্য ধারালো ছুরি বা কাঁচি ব্যবহার করুন যাতে কা- থেঁতলে গিয়ে ফুলের সৌন্দর্য নষ্ট না হয়।
- দুদিন পরপর ফুল পরিবর্তন করা ব্যস্তদের কাছে এক উটকো ঝামেলা। তাই লম্বা সময় সময় ফুল সতেজ রাখতে পানিতে ফোম ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ভেজা ফোম ফুলদানিতে ঢুকিয়ে দিন। এভাবে ১৫ মিনিট রাখার পর তাতে সামান্য পানি দিয়ে এরপর ফুল রাখুন। এভাবে প্রায় এক সপ্তাহের ওপর ফুল তাজা রাখা যায়।
- ফুল সাজানোর ক্ষেত্রে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে এর দৈর্ঘ্য। ফুলের আকার ও দৈর্ঘ্যরে ওপর নির্ভর করে নির্ধারণ করতে হবে স্টিকের দৈর্ঘ্য। সবসময় খেয়াল রাখতে হবে ফুলদানির চেয়ে ফুলের দৈর্ঘ্য যেন ৪-৫ ইঞ্চি বেশি হয়। তা না হলে পাপড়ি ফুলদানির ভেতর ঢুকে যেতে পারে। তবে ফুলের স্টিকের দৈর্ঘ্য নির্ভর করে ফুলদানির আকৃতির ওপর।
- ফুল সাজানোর ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো ফুলের রঙের বিন্যাস। কয়েক ধরনের ফুল একত্রে রাখার ক্ষেত্রে বিষয়টি মাথায় রাখা খুব জরুরি। এক্ষেত্রে রঙের বিন্যাস ঠিক রাখার চেষ্টা করবেন। কাছাকাছি শেডের রঙের ফুল রাখার চেষ্টা করুন। খুব বেশি ভিন্ন ভিন্ন রঙের ফুল ব্যবহার করা যাবে না। সেই সঙ্গে ফুলের রঙের সঙ্গে ফুলদানির রঙে মিল রাখা উচিত।