মারা গেছেন অভিনেত্রী পাইপার লরি

তিন তিনবারের অস্কার মনোনীত জনপ্রিয় অভিনেত্রী পাইপার লরি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউস জানায়, শনিবার (১৪ অক্টোবর) ভোরে লস অ্যাঞ্জেলেসে নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। অভিনেত্রীর ব্যবস্থাপক মেরিয়ন রোজেনবার্গ ই-মেলের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে বলেছেন, লরি বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন।

লরির আসল নাম রোসেটা জ্যাকবস। তিনি ১৯৩৯ সালে হলিউডে আসেন এবং দ্রুত ইউনিভার্সাল-ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। এরপর রোনাল্ড রেগান, রক হাডসন এবং টনি কার্টিসসহ অন্যদের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ পান। অভিনয় জগতে পাইপার লরি নাম গ্রহণ করেন তিনি।

লরি তিনটি স্বতন্ত্র চলচ্চিত্রের জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। ১৯৬১ সালের পুলরুম ড্রামা ‘দ্য হাস্টলার’, ১৯৭৬ সালে স্টিফেন কিংয়ের হরর ক্লাসিক ‘ক্যারির’ চলচ্চিত্র সংস্করণ এবং ১৯৮৬ সালে রোমান্টিক ড্রামা ‘চিলড্রেন অব আ লেজার গডের’ জন্য তিনি অস্কার মনোনয়ন পান। তবে দুর্ভাগ্যবশত অস্কার ঘরে তুলতে পারেননি অভিনেত্রী। এ ছাড়াও তিনি টেলিভিশন এবং মঞ্চে বেশ কয়েকটি প্রশংসিত ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।

নব্বইয়ের দশকে ডেভিড লিঞ্চের ‘টুইন পিকস’ এ খলনায়ক ক্যাথরিন মার্টেলের চরিত্রে অভিনয় ব্যাপক প্রশংসিত হন তিনি। ‘ডেস অব ওয়াইন অ্যান্ড রোজেস’, ‘দ্য ডেফ হার্ট’ এবং ‘দ্য রোড দ্যাট লেড আফটার’ এ পারফরম্যান্স তাকে এমি মনোনয়ন এনে দেয়।

এরপর একটা সময় গিয়ে লরি অভিনয় জীবন থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। তিনি চলচ্চিত্র সমালোচক জোসেফ মরজেনস্টারকে বিয়ে করেন এবং নিউইয়র্কের উডস্টকের একটি খামারবাড়িতে চলে যান। তাদের সংসারে একটি কন্যাসন্তান রয়েছে, যার নাম অ্যান গ্রেস।

উল্লেখ্য, অভিনয় ছাড়া প্রসঙ্গে তিনি পরবর্তীতে বলেছিলেন যে নাগরিক অধিকার আন্দোলন এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধ তার জীবনকে পরিবর্তন করে দিয়েছে এবং অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবিত করেছে।