‘লাইব্রেরিতে পড়াশুনার পরিবেশ সৃষ্টিতে মনোযোগী হতে হবে’

শিক্ষার্থীদের লাইব্রেরিতে পড়াশুনার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্টদের মনোযোগী হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

আজ রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দেশব্যাপী ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২৩’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গ্রন্থাগারের সেবাদান কার্যক্রমও উন্নত থেকে উন্নততর হয়েছে। আমরা সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার গড়ে তোলার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে এবং পাঠক, গবেষক, তথ্য আহরণকারী ব্যক্তিবর্গসহ সর্বসাধারণের কাছে গ্রন্থাগারের ভূমিকাকে আরো অধিক আকর্ষণীয় ও যুগোপযোগী করে তুলতে দেশের ১০০০টি সরকারি ও বেসরকারি গ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধু ও মুজিব কর্নার স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। সেখানে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন বই সংগ্রহে রাখা হয়েছে। ফলে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্ম এসব বই পড়ে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার সুযোগ পাচ্ছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশের গ্রন্থাগারগুলো তথ্য-প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আন্তর্জাতিক মানের গ্রন্থাগারের মতো উন্নত এবং সমৃদ্ধ হচ্ছে। পাশাপাশি গ্রন্থাগারগুলিকে ডিজিটালাইজেশন করার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরসহ সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগার’কে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি-সম্বলিত এবং অত্যাধুনিক ও নান্দনিক গণগ্রন্থাগার ভবনে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের বহুতল ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। 

তিনি বলেন, জাতির পিতার পৈত্রিক নিবাস গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পিতার স্মৃতি রক্ষার্থে ‘শেখ লুৎফর রহমান গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র’ নামে একটি অত্যাধুনিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। তাছাড়া চট্টগ্রাম মুসলিম ইন্সটিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স’ নির্মাণ প্রকল্পের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। শেখ হাসিনা বলেন, ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্পের মাধ্যমে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর বই নিয়ে প্রতিটি জেলার পাঠকের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। গ্রন্থাগারের জনবলকে দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমাধিসৌধ গ্রন্থাগারটিকে একটি আধুনিক দৃষ্টিনন্দন গ্রন্থাগার হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে স্কুল পর্যায়ে ‘লাইব্রেরি-ঘণ্টা’ চালুর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। 

প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন, ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ পালন গ্রন্থাগার ব্যবহারে দেশের মানুষকে আরো উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলায় সহযোগী ভূমিকা রাখবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //