জনগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার হলো চিকিৎসা সেবা। বাংলাদেশকে একটি সুস্থ, কর্মক্ষম ও প্রগতিশীল জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাড়াতে হলে সর্বপ্রথম দেশের জনগণের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবাকে সুনিশ্চিত করতে হবে। এ কারণে সরকার সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
আজ মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
বাণীতে তিনি দেশব্যাপী কমিউনিটি ক্লিনিকের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম জোরদার ও সুসংহত করার লক্ষ্যে সরকার ‘কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন ২০১৮’ প্রণয়ন করেছে। বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় দেশব্যাপী ১৪ হাজার ১৫৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে যার মধ্যে ১৪ হাজার ১২৭টি ক্লিনিকে সেবা কার্যক্রম চালু রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগের অন্যতম ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ কার্যক্রম আজ জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক প্রশংসিত হচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পুষ্টিস্তর উন্নয়ন, জীবনমান বৃদ্ধি ও সার্বিক জনস্বাস্থ্য রক্ষায় কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। করোনা মহামারি মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যশিক্ষা প্রদান, সামাজিক জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং গণটিকা কর্মসূচির মাধ্যমে কোভিড ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রশংসনীয় অবদান রাখছে।
গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নিকট মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা যথাযথ ও কার্যকরভাবে পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম জোরদার করতে সরকার, বেসরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি গ্রুপ ও কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরো উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক দেশব্যাপী স্বাস্থ্য-পরিষেবা কাঠামো ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যুগান্তকারী অগ্রগতির প্রধান চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে।
বাণীতে তিনি কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রমের সার্বিক সফলতা কামনা করেন।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh
