বিশ্বকাপ ট্রফির বাংলাদেশ সফর

চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে সারা দুনিয়াই মেতে থাকে। বিশ্বসেরা এই আসরে নিজ দেশ খেলার সুযোগ না পেলেও উন্মাদনায় এতটুকু কমতি থাকে না। নিয়ম বদলে প্রথমবারের বিশ্বকাপের আসর বসতে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে। শুরু হতে যাচ্ছে নভেম্বরের ২০ তারিখ। ফুটবলের জনপ্রিয়তা আর মহত্বকে বেশি করে ফুটিয়ে তুলতে বিশ্বকাপের ট্রফি সারা দুনিয়াতে ভ্রমণ করছে। বাংলাদেশে গত ৮ ও ৯ জুন ভ্রমণ করে সোনার কাপটি। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কাপটি দর্শনের পর ‘নির্বাচিত’ সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। 

তবে আট বছর আগে ২০১৩ সালের চেয়ে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়। এবার ট্রফিটি কাচঘেরা ঘরেই রাখা হয়। কোনো ব্যক্তিবিশেষের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। এর আগে ‘গলি গ্রাফিতি’র মাধ্যমে ফুটবলকে নতুনভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়। মূলত সবখানেই আয়োজনের নেপথ্যে থাকে কোকাকোলা। পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে আসার পর বিশ্বকাপের ট্রফিটি পূর্ব তিমুর যায়। গত ৮ জুন বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণের পর ১০ জুন দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে ট্রফিটি পূর্ব তিমুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। 

শুরুতে বিমানবন্দরে প্রদর্শনের পর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বকাপ ট্রফি দর্শন করেন। রাতে হোটেল র‌্যাডিসনে নৈশভোজে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ট্রফিটি দেখেন। দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে দুপুরে হোটেল র‌্যাডিসনে ট্রফির সঙ্গে ছবি তুলেছেন ৩ হাজারের বেশি আমন্ত্রিত ফুটবলপ্রিয় মানুষ। এর পর ট্রফি বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে নেওয়া হয়। বৃষ্টির জন্য কনসার্ট শুরু হতে কিছুটা বিলম্ব হলেও ট্রফি নিয়ে আসা ফিফা লিজেন্ড ক্রিশ্চিয়ান কারেম্বু দর্শকদের জন্য ট্রফি উন্মোচন করেন। ট্রফি কনসার্টের রাতে ও পরের দিন হোটেল র‌্যাডিসনেই ছিল। ২০০২ সালের পর ২০১৩ সাল এবং এবার, বাংলাদেশে এ নিয়ে তৃতীয়বার বিশ্বকাপের ট্রফি এলো। 

ঢাকায় মূলত ৩৬ ঘণ্টার পরিভ্রমণ শেষে বিদায় নেয় বিশ্বকাপ ফুটবলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় এই বস্তুটি। বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন পূরণ না হলেও ট্রফি দেখার আনন্দ বাংলাদেশের মানুষের ছিল। সেটি আবার প্রমাণ হলো। ফুটবল যে মানুষের প্রাণের খেলা, সেটি বুঝতে সমস্যা হয়নি।

ট্রফি ঘিরে সীমিত উন্মাদনা!

ফুটবল মানেই সারা দুনিয়ার জনপ্রিয় খেলাগুলোর মধ্যে শীর্ষ একটি নাম। বাংলাদেশ কখনো বিশ্বকাপে খেলতে পারবে কিনা- এটি অনেক দূরের প্রশ্ন। তবে খেলাটি নিয়ে উন্মাদনায় কখনই পিছিয়ে থাকে না বাংলাদেশ। তার ওপর যদি বিশ্বকাপের ট্রফি আসে তা হলে তো কথাই নেই। আগে যেভাবে সব ধরনের দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকত, এবার তাতে পরিবর্তন আনা হয়। সীমিতসংখ্যক দর্শকের জন্য ট্রফি দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে ছিল স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া। এর মধ্যেও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন লাল-সবুজের ফুটবলপ্রেমীরা। সকাল থেকেই ফুটবলপ্রিয় সমর্থকরা উৎসাহ-উদ্দীপনায় মাতিয়ে তোলেন পাঁচ তারকা র‌্যাডিসন ব্লু হোটেল ও তার আশপাশের এলাকা। বিশ্বকাপ শুরু হতে তখনো অবশ্য কয়েক মাস বাকি। তবে বিশ্বকাপ উৎসব বাংলাদেশে শুরু হয়ে যায় ট্রফি আসার মধ্যদিয়ে। উপস্থিত দর্শকদের উৎসাহ দেখে বিস্মিত হয়ে যান ক্রিশ্চিয়ান কারেম্বু।

দর্শকদের ট্রফি দেখা-ছবি তোলায় বৃষ্টিস্নাত মুগ্ধতা

ট্রফি দেখার পাশাপাশি ছিল ছবি তোলার সুযোগ। মূলত কোমল পানীয় প্রতিষ্ঠান কোকাকোলা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে দর্শকদের বাছাই করে। এরাই পরে ট্রফি দেখার ও ছবি তোলার সুযোগ পায়। তবে বৈরী আবহাওয়ায় কিছুটা ভাটা পড়বে বলে মনে হলেও হয়নি তার কিছুই। রোদের তাপট কম থাকলেও ভ্যাপসা গরমের পর বৃষ্টির ধারা নেমে আসে। হোটেলের ভেতর থেকে যদিও এসব টের পাওয়া সম্ভব হয়নি। বাইরে অপেক্ষমাণরা মাথার ওপর ছাদের আশায় এদিক-ওদিক করলেও ফুটবলপ্রেমীরা স্থান ছাড়লেন না। বিশ্বকাপ ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার আশায় কোকোকোলার কাছ থেকে পাওয়া টিকিট নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন নিজের জায়গায়। তারা অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে সোনার ট্রফির সঙ্গে ছবি তুলেই বাড়ি ফিরলেন। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবেসর সঙ্গে বৈরী আবহাওয়া, বৃষ্টি, জ্যাম, ভিড়- কোনো কিছুই থামাতে পারেনি তাদের। ‘বিশ্বকাপের’ আকর্ষণ বোধহয় একেই বলে। ট্রফিটা বাংলাদেশে আসার পর থেকেই কখন দেখবে- এই ভেবে পিছু নিয়েছে ফুটবলপ্রেমীরা। শেষ সময় পর্যন্ত সেই আকর্ষণে ভাটার টান ছিল না। বরং জোয়ারের প্রাবল্য এতটাই বেশি ছিল যে, তুমুল বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শত শত ভক্ত হাজির হয়েছে রাজধানীর র‌্যাডিসন হোটেলে। সোনালি ট্রফি কাছ থেকে এক নজর দেখা আর ছবি তোলার জন্য সকাল ৯টা থেকে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় ছিলেন ছাত্র, চাকরিজীবী, তারকা, ফুটবলার থেকে গৃহবধূ সবাই। তাই  তো একে বৃষ্টিস্নাত মুগ্ধতা বললে এতটুকু ভুল বলা হবে না।

স্থগিত হওয়ার পর কোক স্টুডিও কনসার্ট

বিশ্বকাপের ট্রফিটা বাংলাদেশে আসার পর আবহাওয়া গুমোট থাকার পর বৃষ্টি নামলে সবকিছু ওলট-পালট হয়ে যায়। ট্রফি দেখার সময় তেমন সমস্যা না হলেও কোক স্টুডিও বাংলার কনসার্টে দেখা দেয় সমস্যা। শুরুতে বাতিল করে দিলেও পরে ঠিকই কনসার্ট শুরু হয়। শুরুতেই গান পরিবেশন করে ব্যান্ড দল শিরোনামহীন। এর পর একে একে অর্ণব, অনিমেষ রায়, পান্থ কানাই, মমতাজ ও মিজান মঞ্চে উঠে দর্শকদের আনন্দ দিতে থাকে। সবশেষে মঞ্চে পদার্পণ করেন নগর বাউলখ্যাত শিল্পী জেমস। বৃষ্টি শেষে রুপালি কনসার্টে দর্শকদের সারাদিনের কষ্ট ধুয়ে-মুছে একাকার করে দেয়। ফিফা বিশ্বকাপের ট্রফির বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে যে আয়োজনগুলো ছিল, তার মধ্যে সবচেয়ে জমজমাট ধরা হয়েছিল কনসার্ট আয়োজন। ট্রফি ট্যুরের পৃষ্ঠপোষক কোকাকোলা এই কনসার্টের জন্য আলাদাভাবে ব্যাপক ক্যাম্পেইনও করেছিল; কিন্তু বৈরী আবহাওয়ায় কিছুটা সংশয় তৈরি হলেও পরে ঠিকই দর্শকরা গানের তালে তালে নেচে-গেয়ে আনন্দ করে।

বাংলাদেশের আতিথেয়তায় মুগ্ধ কারেম্বু

বিশ্বকাপের ট্রফির সঙ্গে সবসময়ই একজন বিশ্বজয়ী খেলোয়াড়কে ভ্রমণের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এবারের সফরে সঙ্গে ছিলেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ক্রিশ্চিয়ান কারেম্বু। ঝাঁকড়া চুলের এই খেলোয়াড় ১০ বছর ফ্রান্সের জার্সি গায়ে খেলেছেন। ৫৩টা ম্যাচ দেশের জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে খেলেছেন। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে চারটি ম্যাচ খেলেন কারেম্বু। কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল এবং ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ফ্রান্সের প্রথম একাদশে ছিলেন তিনি। জিনেদিন জিদানদের বিশ্বকাপ জয়ের পেছনে বড় অবদান ছিল এই মিডফিল্ডারের। ইউরোপিয়ান ফুটবলের উন্মাদনা দেখে বেড়ে ওঠা কারেম্বুও বাংলাদেশে এসে মুগ্ধ হয়ে বলেন, ‘যতদূর জানি, বাংলাদেশের মানুষের ফুটবল উন্মাদনার গল্প চার বছর পর পর আন্তর্জাতিক মহলেরও দৃষ্টি কাড়ে। দেশজুড়ে ফুটবল সমর্থকরা নিজ নিজ প্রিয় দলের পতাকা উড়িয়ে থাকে। এবার বাংলাদেশে এসে আমি যা দেখলাম তাতে মনে হয় না দেশটা বিশ্ব ফুটবলে এতটা পিছিয়ে আছে।’ বিদায় নেওয়ার আগে জাতীয় ফল কাঁঠালের পাশাপাশি আম, লিচু উপহার হিসেবে পেয়েছেন। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ জানিয়েছেন, কারেম্বুদের ৫ কেজি আম, ২০০ লিচু এবং একটি কাঁঠাল উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে। 

বঙ্গভবন ও গণভবনে বিশ্বকাপ ট্রফি

প্রতিটা দেশেই নিয়ম করে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ট্রফি নিয়ে যাওয়া হয়। মূলত ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে বিশ্বব্যাপী ট্রফি ভ্রমণের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে আসে ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি। বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিশ্বকাপ ফুটবলের ট্রফিটি বঙ্গভবনে পৌঁছলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাংলাদেশে ফুটবলের গৌরবোজ্জ্বল এই ট্রফিকে স্বাগত জানান এবং অবলোকন করেন। পরে রাষ্ট্রপতি ট্রফির সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন। এ সময় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ ফিফার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এর পরই বিশ্বকাপের ট্রফি নিয়ে যাওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণবভনে। প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিধি সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এক সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় তিনি তার পরিবারের সদস্যগণের খেলাধুলায় বিশেষ করে ফুটবলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার ওপর স্মৃতিচারণ করেন। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন- তার পিতামহ, পিতা ভ্রাতাগণ, সন্তানগণ, এমনকি নাতি-নাতনিগণও অত্যন্ত ক্রীড়ামোদী এবং ক্রীড়াবিদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সচিব (সিনিয়র সচিব) খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন, বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগসহ ফিফা, কোকাকোলা এবং বাফুফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

তরুণদের উৎসাহিত করবে বিশ্বকাপ ট্রফি

বিশ্বকাপের ট্রফি দেখার সাথে অনেকেই বড় কিছুর তুলনা করে থাকেন। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ না পাওয়ায় দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতোই। বিশ্বকাপের খেলা বলটি দেখেই যেন শৈশবে ফিরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বর্ণে মোড়ানো ট্রফিটির সামনে বল নিয়ে কয়েকটা ছবিও তুললেন। শিশুর মতো সরল হাসি তো তার ছিলই। স্বপ্নের ফুটবল বিশ্বকাপ ট্রফি বাংলাদেশের মাটিতে আসার পর রোমাঞ্চ ছুঁয়ে যাচ্ছে ফুটবল-রোমান্টিকদের মনে। ফুটবল নিয়ে স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ফুটবল বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। বিশ্বকাপ ট্রফি দেখে তরুণ প্রজন্ম উৎসাহিত হবে।’ পরে ফিফা এবং কোকাকোলার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার হস্তান্তর করা হয়। ট্রফিটি প্রদর্শনের পর প্রধানমন্ত্রী ট্রফি প্রতিনিধিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। 

৫১ দেশ ও অঞ্চল ভ্রমণে বিশ্বকাপ ট্রফি

কাতার বিশ্বকাপের আগে বিশ্ব ভ্রমণে রয়েছে সোনার ট্রফি। পাকিস্তান থেকে ফিফার ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এই ট্রফির সঙ্গে আসে। এই দলের সঙ্গে ছিলেন ফ্রান্সের হয়ে ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী খেলোয়াড় ক্রিশ্চিয়ানো লালি কাকে কারেম্বু। বিমান বন্দরে ট্রফি বরণ করে নেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তাবৃন্দ। বিশ্বকাপ ট্রফি বাংলাদেশে আসে ফিফার কমার্শিয়াল পার্টনার কোকাকোলার মাধ্যমে। এর আগে গত ১২ মে দুবাই থেকে এই ট্রফির যাত্রা শুরু হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াস ও ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী তারকা কাকা। এটি বিশ্বের ৫১টি দেশ ও অঞ্চলে ভ্রমণ করে। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা ৩২টি দেশেও ট্রফিটি পৌঁছে। একেবারে নিরেট স্বর্ণ দিয়ে তৈরি ট্রফিটির ওজন ৬.১৪২ কেজি। ট্রফিটিতে দুটি মানব মূর্তি রয়েছে, যা পৃথিবীকে উঁচু করে ধরে আছে। বিশ্বকাপের এই ট্রফিটি ১৯৭৪ সালে ডিজাইন করা হয়। তবে অরিজিনাল এই ট্রফিটি শুধু বিশ্বকাপজয়ী সাবেক ও বর্তমান ফুটবলার এবং রাষ্ট্রের প্রধানরা ছুঁয়ে দেখতে পারেন। 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //