ডায়াবেটিস রোগীদের সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় খাবারের বিধিনিষেধ নিয়ে। কী খেতে হবে, কী বাদ দিতে হবে তা অনেকে বুঝে উঠেন না। এমন অনেক স্বাস্থ্যকর খাবার রয়েছে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
ব্লাড সুগারের সমস্যা থাকলে পেঁয়াজ খাওয়া উচিত হবে কি না তা নিয়ে দ্বিধায় থাকেন অনেকে।
সব বাড়িরই রান্নাঘরের অতি প্রয়োজনীয় মশলা পেঁয়াজ। রান্না ছাড়াও কাঁচা অবস্থায় এটি খাওয়া যায়। এর বৈশিষ্ট্যের কারণে আয়ুর্বেদ ওষুধ হিসেবেও এটি ব্যবহৃত হয়।
পেঁয়াজে রয়েছে পর্যাপ্ত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ফাইনার ও ভিটামিন সি। এসব উপাদান শরীরের জন্য বেশ উপকারি।
পেঁয়াজে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে সোডিয়াম, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার। আরও আছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ভিটামিন এ এবং ফোলেটের মতো উপাদান।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, পেঁয়াজে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড। দেহের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে এর সেবন খুবই উপকারী। পেঁয়াজ খেলে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কাঁচা পেঁয়াজ খুবই উপকারী। এতে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার যা শরীরের হজম প্রক্রিয়ার উন্নতিতে সাহায্য করে।
এর পাশাপাশি এটি হজমশক্তি ঠিক রাখে এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে। নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে ভালো থাকে হৃদপিণ্ডও।
হেলথলাইনের মতে, পেঁয়াজ খাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এটি ডায়াবেটিস বা প্রি-ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। ২০১০ সালে টাইপ ১ বা টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ৮৪ জন ব্যক্তির উপর একটি ছোট গবেষণা করা হয়। এতে দেখা গেছে, ১০০ গ্রাম কাঁচা লাল পেঁয়াজ খেলে ৪ ঘণ্টা পরে রক্তে শর্করার মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
২০২০ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ইঁদুররা যারা ৮ সপ্তাহ ধরে ৫% শুকনো পেঁয়াজের গুঁড়োযুক্ত খাবার খেয়েছে তাদের ফাস্টিং ব্লাড সুগারের মাত্রা, ট্রাইগ্লিসারাইড এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা অন্যদের তুলনায় কম হয়েছে।
তাই ডায়াবেটিস রোগীরা নিশ্চিন্তে পেঁয়াজ খেতে পারেন।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : পেঁয়াজ ব্লাড সুগার ডায়াবেটিস রোগ স্বাস্থ্য
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh