শবেবরাতের জন্য নাজিয়া ফারহানার রেসিপি

বিটের হালুয়া 

উপকরণ

মাওয়া ১ কাপ, বিট সেদ্ধ করে বাটা ১ কাপ, চিনি ২ কাপ, ঘি ২ টেবিল চামচ, গোলাপ জল, কিসমিস সাজানোর জন্য।

প্রস্তুতপ্রণালি

পাত্রে (প্যান) বিট, ছানা, মাওয়া, চিনি ও ঘি দিয়ে কম আঁচে ভুনতে হবে। প্যানের গা ছেড়ে এলে নামান। নামানোর আগে গোলাপজল ছড়িয়ে দিতে হবে। ছাঁচে দিয়ে সন্দেশ তৈরি করে কিসমিস দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

মাসকাট হালুয়া

উপকরণ  

ময়দা পৌনে এক কাপ, কর্ণ ফ্লাওয়ার আধা কাপ, চিনি ১ কাপ, চায়না গ্রাস ৮ গ্রাম (ভিজান), ঘি আধা কাপ, পানি ১ কাপ (সিরার জন্য), লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, কমলা ফুড কালার ১ ফোঁটা কাঠবাদাম স্লাইস- সাজানোর জন্য।

প্রস্তুতপ্রণালি  

ময়দা ও কর্নফ্লাওয়ার ৩ কাপ পানি দিয়ে ৪-৫ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। ওপরের পানি ফেলে দিয়ে একটি পাত্রে সিরা তৈরি করে (১ কাপ পানি ও ১ কাপ চিনি) এতে ভেজানো চায়না গ্রাস দিয়ে ময়দা এবং কর্নফ্লাওয়ার মিশ্রণ, লেবুর রস ও কমলা ফুড তোলার কাল দিয়ে নাড়তে হবে। ঘন হলে ট্রেতে ঢেলে ওপরে কাঠবাদামের স্লাইস দিয়ে চারকোণা করে কেটে নিতে হবে।


ডিমের হালুয়া

উপকরণ

ডিম ৪টি, চিনি ৩-৪ কাপ, ঘন দুধ ৩-৪ কাপ, ঘি ১-২ কাপ, এলাচ ২টি, দারুচিনি ২ টুকরা, গোলাপজল ২ টেবিল চামচ, জাফরান সামান্য।

প্রস্তুতপ্রণালি

গোলাপজলে জাফরান ভিজিয়ে রাখুন। ডিম ভালো করে ফেটিয়ে সব উপকরণ একসঙ্গে ভালো করে মেশাতে হবে। এবার হাল্কা আচে কড়াইয়ে মিশ্রণটি ঢেলে নাড়তে থাকুন। সাবধানে নাড়তে হবে, যেন তলায় লেগে না যায়। ডিম জমাট বেঁধে মিহি দানার মতো হলে হালয়া থেকে ঘি বের হবে। এবার চুলা থেকে নামিয়ে পরিবেশন পাত্রে ঢেলে মাওয়া বা পেস্তা কুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজার স্বাদের ডিমের হালুয়া।

বাদামের হালুয়া

উপকরণ 

কাজু বাদাম ২ কাপ, ছানা ২ কাপ, চিনি ২ কাপ, এলাচ গুঁড়া সিকি চা চামচ, ঘি আধা কাপ, ময়দা ১ টেবিল চামচ, কিসমিস ১ টেবিল চামচ, কাজু ও পেস্তা বাদাম সাজানোর জন্য।

প্রস্তুতপ্রণালি

কাজু বাদাম হালকা ভেজে তিন-চার ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পানি থেকে তুলে কাজু বাদাম ব্লেন্ড করে নিন। চুলায় পাত্রে ঘি দিয়ে কাজু বাদাম ও ছানা দিয়ে ভাজতে থাকুন এবং চিনি দিন। দ্রুত নাড়তে থাকুন। ময়দা, এলাচ গুঁড়া দিন। হালুয়া হয়ে এলে প্লেটে সাজিয়ে কিসমিস, কাজু ও পেস্তা বাদাম দিয়ে পরিবেশন করুন।

সুজির হালুয়া

উপকরণ

সুজি হাফ কাপ (শুধু একজনের জন্য), তেল- এক কাপের চার ভাগের চেয়ে কিছু বেশি ঘি এক চা চামচ (এটা শুধু ঘ্রাণ এবং স্বাদ বাড়িয়ে দেয়ার জন্য, পছন্দ না করলে নাও দিতে পারেন) দুধ দুই কাপ (পাউডারের দুধে বানিয়ে নিতে পারেন, আর খাঁটি গরুর দুধ হলে কথাই নাই) চিনি স্বাদ বুঝে, পরিমাণমতো (আমি চিনি কমে বিশ্বাসী) এলাচি দুই/তিনটি, দারুচিনি: দুটি (এক ইঞ্চি), কিসমিস : ৭/৮ টা।

প্রস্তুতপ্রণালি

কড়াইতে তেল এবং ঘি (অপশনাল) গরম করে তাতে সুজি ভাঁজুন। (এই পর্যায়ে এলাচ ও দারুচিনি দিয়ে দিতে পারেন)। হলদেভাব এসে চমৎকার একটা ঘ্রাণ রান্নাঘর ভরিয়ে তুলবে। এবার দুধ এবং চিনি দিয়ে দিন।হালকা আঁচে নাড়াতে থাকুন। (এই পর্যায়ে কিসমিস দিয়ে দিতে পারেন)। নির্দিষ্ট দূরুত্ব বজায় রাখুন, বুঁদ বুঁদ উঠে গায়ে পড়তে পারে! হালুয়া রান্না করতে হাতে জোর থাকা চাই, খুন্তি দিয়ে বার বার নাড়াতে হয়! সুজি ঘন হয়ে যেতে সময় লাগবে না। চিনি দেখুন, লাগলে দিন, না লাগলে ওকে বলুন। দেখবেন কড়াইতে যেন লেগে না যায়! ব্যস হয়ে গেল সাধারণ সুজির হালুয়া।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //