শিশুসাহিত্যে লেখকের দায়

মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশ করতে চায়। নিজের স্বপ্ন আর কল্পনাকে অন্যের ভাবনার সঙ্গে মিলিয়ে নিতে চায়। তাতেই তার আনন্দ। কেউ ছবি আঁকেন, কেউ ছবি তোলেন, কেউ ছবি বানান। কেউ ছড়া আর কবিতা লেখেন, কেউ গল্প লেখেন, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, গান লিখে নিজের ভাবনাকে ছড়িয়ে দেন। কেউ তার রাজনৈতিক মঞ্চকে কাজে লাগান। এইসব হচ্ছে নিজের কথাগুলো অন্যের ভেতর অনুরণন তৈরির ইচ্ছেতে করা হয়ে থাকে।

আমি লেখার কথা বলি। লেখার ভেতর বড় শক্তি আছে। এই শক্তি মানুষের মানস সংগঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। একসময়ের লেখা সেই সময়ের জাতীয় মনন ভিত্তির পরিচয় বহন করে। আর তাতে লেখকের বড় দায় রয়ে যায়। যখন ব্রিটিশরা শাসন করছে ভারতবর্ষ। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। তখন গানে, কবিতায়, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধে নানাভাবে উঠে এসেছে স্বদেশী আন্দোলনের কথা। মানুষ সেখান থেকে আন্দোলনে অনুপ্রাণিত হয়েছে। তারা ইংরেজ খেদাও আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় কথিকা, কার্টুন, গান, কবিতা এইদেশের মানুষকে ভীষণভাবে উজ্জীবিত করেছে। সেইসব লেখা মুক্তিযোদ্ধাদের যেমন দেশ স্বাধীন করতে সাহস জুগিয়েছে তেমনি মানুষকে দেশের পক্ষে সংগঠিত করেছে। তাহলে এখানে কিন্তু লেখকের দায় রয়েই গেল। দেশের পক্ষে মানুষকে সংগঠিত করা। আগে এল ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের কথা পরে মুক্তিযুদ্ধের কথা। মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করা গিয়েছিল লেখা দিয়ে। 

লেখক সাদা এবং কালো চিনতে পারেন। তাকে চিনতে হয়। তিনি সাদাকে সাদা বলবেন, কালোকে কালো। যদি লেখক তা না করেন তবে তিনি অন্যের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবেন। কেননা পাঠক তাকে বিশ্বাস করেন এবং লেখকের লেখা দিয়ে অনুপ্রাণিত হন। একজন লেখক কোনোভাবেই অন্যের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারেন না। আমি বলব, লেখকের সেই অধিকার নেই। আরো যদি সুনির্দিষ্টভাবে শিশুসাহিত্যের কথা বলি। তাহলে আমি বলব লিখে শিশুকে বিভ্রান্ত করা বা ভুল পথের ইঙ্গিত দেওয়া হবে লেখকের জন্য কঠিনতম অন্যায়।

লেখা যখন সাহিত্য তখন সেখানে কল্পনা থাকে। ঘটে যাওয়া নিরেট বাস্তবের উপস্থাপন হচ্ছে প্রতিবেদন। সেখানে উপস্থাপক কীভাবে উপস্থাপন করছেন সেটা জরুরি। তবে তা সাহিত্যবিবেচ্য নয়। যেমন দৈনিক পত্রিকা, রেডিও, টেলিভিশনের প্রতিদিনের সংবাদ। বাস্তবের সঙ্গে কল্পনার মিশেলে তৈরি হয় সাহিত্যের বাস্তবতা। সেখানে নান্দনিকতার জোর আবেদন থাকে। বাস্তবের সঙ্গে কল্পনা মেশানোর কাজটুকু লেখককে করতে হয় সচেতনভাবে। সেখানেই তিনি সত্য প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি করেন। যা তিনি তার লেখায় প্রকাশ করতে চান। লেখাটি একটি পাত্র। লেখার ভেতর দিয়ে প্রকাশিত সত্য হচ্ছে লেখার আধার। যা পাঠককে আকর্ষণ করে। পাঠক তৃপ্ত হন। জীবনের কোনো একটি দর্শন বা জিজ্ঞাসা লেখক তার লেখায় তুলে ধরেন। সেটাই তার কাছে সাহিত্য সৃষ্টির ভিত্তিভূমি।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক জায়গায় লিখেছেন, ‘সাহিত্যের আদিম সত্য হচ্ছে প্রকাশমাত্র, কিন্তু তার পরিণাম-সত্য হচ্ছে ইন্দ্রিয় মন এবং আত্মার সমষ্টিগত মানুষকে প্রকাশ। ছেলে ভোলানো ছড়া থেকে শেকসপিয়ারের কাব্যের উৎপত্তি। এখন আমরা কেবল দেখি নে প্রকাশ পেলে কি না, দেখি কতখানি প্রকাশ পেলে। দেখি, যেটুকু প্রকাশ পেয়েছে তাতে কেবল আমাদের ইন্দ্রিয়ের তৃপ্তি হয়, না ইন্দ্রিয় এবং বুদ্ধির তৃপ্তি হয়, না ইন্দ্রিয় বুদ্ধি এবং হৃদয়ের তৃপ্তি হয়।’

লেখক যখন লিখবেন তখন তাকে ভাবতে হবে তিনি কোন সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন। অনেকে অনেক সময় বলে থাকেন, ‘ভাইরে, আমি কোনো সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছি না। সত্য প্রতিষ্ঠা করা আমার কাজ না। লিখতে মন চায়, লিখে যাই। পছন্দ হলে মানুষ পড়বে। পছন্দ না হলে পড়বে না।’

অনেকেই হয়তো বলবেন, ‘কথা ঠিক আছে।’ তবে এখানে আরেকটি কথা আছে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য লেখার সময় লেখককে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। শিশুর মানস সংগঠনে লেখকের দায় তিনি অস্বীকার করতে পারেন না।

যিনি বললেন, ‘সত্য প্রতিষ্ঠা করা আমার কাজ না। মন বলে, লিখে যাই।’ তার জন্য একটা উদাহরণ দিই। ছোটদের পাঠ্যপুস্তকে বিশেষ ছন্দময় ছড়া পড়েছিলাম। কার লেখা মনে নেই। তবে ছড়াটা মনে আছে। টেনেছিল বলেই মনে আছে। পছন্দ হয়েছিল বলেই হয়তো সেটা পাঠ্যপুস্তকে দেওয়া হয়েছিল। ছড়াটা হচ্ছে, ‘মামুদ মিয়া বেকার/ তাই বলে কি সাধ নেই তার/ বিশ্ব ঘুরে দেখার?/ আসলে পরে চেকার/ বলবে হেসে মামুদ মিয়া/ ট্রেন কি তোমার একার?

বাহ! বাহ! বেশ বেশ বেশ। সুন্দর হয়েছে লেখা। একজন শিশু ছন্দ মিলিয়ে ছড়া পড়ে মজা পাওয়ার পাশাপাশি এই ছড়া থেকে কী শিখল? রেলগাড়ি চেকারের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। তাই তিনি টিকিট চাইতে পারেন না। টিকিট চেয়ে তিনি মস্তবড় অন্যায় করে ফেলেছেন। শিশু বড় হয়ে ট্রেনে চড়ে বাড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়। টিকিট কাটে না। চেকার এসে টিকিট চাইলে হেসে বলে, ‘ট্রেন কি তোমার একার?’ নাহয় ভার্সিটির পরিচয়পত্র এগিয়ে দেয়। মানে হচ্ছে, আমি এখনো শিক্ষার্থী। পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। আমাকে টিকিট কাটতে হয় না। 

এই দায় কার? নিশ্চয় লেখকের। যিনি ছন্দে সুরে শিখিয়েছেন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেও চলা যায়। আমাদের একজন বন্ধু লেখকের শিশুতোষ একটি বইয়ের নাম, বিলাই তোরে কিলাই। শিশুসাহিত্যিক হিসেবে তার বেশ নামডাক আছে। আমি তাকে বলেছি, এটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য না। প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর হতে আপনি শিশুকে কোনোভাবেই উৎসাহিত করতে পারেন না। তিনি অবজ্ঞাভরে হাসলেন। আমার কথা যে একটা কথা তিনি তা ধর্তব্যের ভেতরেই আনলেন না। একজন অগ্রজের লেখা বই পড়লাম। শিশু-কিশোরদের জন্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা বই।

তাকে বলেছিলাম, ‘আপনার লেখাতে শিশুকে যে বার্তা দিচ্ছেন তা কি তাকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে পারবে?’ তিনি বললেন, ‘আমি লেখাতে কোনো বার্তা দিচ্ছি না।’ আমি বললাম, ‘আপনি না চাইলেও বার্তা সেখানে আছে। বইতে লেখা ঘটনাগুলো একটি বার্তা বহন করছে। আর তা হচ্ছে হতাশা আর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে যাওয়ার কথা।’

তিনি সহসা রেগে গেলেন। বললেন, ‘আমার বাড়ির সকলেই এই লেখা পছন্দ করেছে। তারা ভালো বলেছে।’ তারপর নানাভাবে কসরৎ করে আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করলেন তিনি যথেষ্ট উন্নত সাহিত্য রচনা করেছেন। আমি চুপসে গেলাম।

আমরা অনেক সময় জোর খাটিয়ে আমাদের লেখার পক্ষ নিয়ে থাকি। সেটাকে দুর্দান্ত একটা লেখা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সেই জোর খাটানো পাঠকের বিপক্ষে যায়। যে পাঠক আগ্রহ নিয়ে সেই লেখকের বই পড়েন। পাঠককে অস্বীকার করে বই লেখা আর গাঢ় অন্ধকারে দর্শককে নিজের আঁকা ছবি দেখিয়ে মন্তব্য চাওয়া একই ব্যাপার। 

আমাদের শিশু বয়স থেকে বেড়ে ওঠা একসময় অদ্ভুত মিথ্যা দিয়ে মোড়ানো হয়েছে। আমরা সেই মিথ্যা মেনে নিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফাঁকি শিখেছি। বাঘের গলায় হাড় বিঁধল। সারস পাখিকে বাঘ বলল গলা থেকে হাড় বের করে দিতে। হাড় বের করে দিলে সারসকে সে পুরস্কার দেবে। সারস তার লম্বা ঠোঁট বাঘের গলায় ঢুকিয়ে দিল। হাড় বের করে নিয়ে এল। বাঘ স্বস্তি ফিলে পেল। হাউই করে ঢেকুর তুলে গম্ভীর হয়ে গেল। সারস তখন বাঘকে পুরস্কারের কথা মনে করিয়ে দিল। বাঘ বলল, ‘আমার মুখের ভেতর থেকে তোর মাথা আস্ত বের করে আনতে পেরেছিস। সেটা চিবিয়ে খাইনি। এটাই কি তোর যথেষ্ট পুরস্কার নয়?’ সারস বাঘের কথা শুনে হতভম্ব হয়ে গেল। 

এবার বাঘকে বোকা বানানোর গল্প। টোনার পিঠা খেতে ইচ্ছে হয়েছে। টোনা সেই কথা টুনিকে জানাল। টুনি বলল, বাজার থেকে গুড়, ময়দা নিয়ে এসো। টোনা রওনা হয়ে গেল। গুড়, ময়দা আনতে গিয়ে পথে বাঘের সঙ্গে টোনার দেখা হলো। বাঘ শুনলো টোনার বাড়িতে পিঠা উৎসব। সে সেখানে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করল। টোনা বাঘকে পিঠা খেতে দাওয়াত দিল। বাজার থেকে গুড়, ময়দা নিয়ে টোনা ঘরে ফিরে এল। টুনি পিঠা বানাল। দু’জনে চেটেপুটে সব পিঠা খেয়ে ফেলল। বাঘের জন্য কিছু রাখল না। বাঘ বিকেলে এলো নেমন্তন্নে। তখন টোনা আর টুনি গাছের উঁচু ডালে বসে আছে। তারা টুনটুন করে ডাকছে আর মজা করছে। তাদের বিস্তর আনন্দ তারা বাঘকে ফাঁকি দিতে পেরেছে।

এইসব গল্প আমাদের ভাবনায় স্থায়ী হয়ে গেল। আমরা অন্যকে ফাঁকি দিয়ে আনন্দ পেতে থাকলাম। আমরা বন্ধুকে মিথ্যা কথা বলে ঠকিয়ে আনন্দ পাই। রিকশাওয়ালা, দোকানদারকে ঠকাই। সমাজে দুর্বল আর সরল মানুষ খুঁজে নিয়ে তাদের ঠকাই। আমরা রাষ্ট্রীয় কর ফাঁকি দিয়ে নিজেদের অতি চালাক ভেবে আত্মপ্রসাদ লাভ করি। 

আজকাল ভয়টা বড় বেড়ে গেছে। হয়তো আগেও ছিল এই পরিস্থিতি। তবে এখন অবস্থা মনে হচ্ছে ভয়াবহ। বইমেলায় প্রতি বছর কয়েক হাজার বই প্রকাশিত হচ্ছে। লেখকের সংখ্যা বাড়ছে। এই লেখকদের কেউ কেউ পত্রিকায় লেখা পাঠিয়েছিলেন। পত্রিকার সম্পাদক সেই লেখা ছাপতে রাজি হননি। লেখা পড়ে সম্পাদকের কাছে মনে হয়েছে এই লেখা মানব মনের মুক্তির পক্ষে দাঁড়ায় না। জনজীবনকে উজ্জীবিত করে না। তিনি সেই কথা লেখককে জানালেন।

লেখক পান্ডুলিপি নিয়ে চলে এলেন। পান্ডুলিপি দিলেন প্রকাশকের কাছে। সঙ্গে দিলেন বই প্রকাশের সমুদয় অর্থ। ঝকঝকে প্রচ্ছদে বই প্রকাশিত হলো। লেখক নতুন বই হাতে নিয়ে পত্রিকার সম্পাদকের সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন। গর্বভরা হাসি দিয়ে বললেন, ‘মনে আছে আমাকে? আপনার পত্রিকায় লেখা ছাপলেন না। বই বেরিয়ে গেছে। সেই লেখা। দাড়ি-কমাও পরিবর্তন করিনি। আরো বই বেরুবে। অপেক্ষা করেন।’ সম্পাদক অসহায় চোখে লেখকের দিয়ে তাকিয়ে থাকলেন।

প্রচুর লেখা হচ্ছে। কী লিখছি, কেন লিখছি তা অনেক সময় ভাবনার বাইরে থেকে যাচ্ছে। এটা আমাদের চিন্তাজগতের কাজ। একজন মানুষ যখন আরেকজন মানুষকে হত্যা করে তখন হত্যাকারীর শাস্তি হয়ে থাকে। কিন্তু মানস সংগঠনে বড় রকমের ক্ষতি হয়ে গেলে, যিনি সেই ক্ষতি করেন তার কী হবে? ভাবনার জগতের এই ক্ষতির দায় কে নেবে?

অনেকেই বিশ্বাস করেন ভূত বলে কিছু নেই। তবু ভূতের ভয় পেয়ে থাকেন। এই ঘটনা ঘটে আমাদের মস্তিষ্কে। অবচেতন মনে। আমরা যতই যুক্তি দিয়ে ভূতকে অস্বীকার করি না কেন ভূতের ভয়কে অস্বীকার করতে পারি না। ‘লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি। কী লিখলাম অতশত ভেবে লেখা যায় না। পাঠক ঠিকই বুঝে নেবে’ ধরনের কথা হচ্ছে ওই ভূতের ভয়কে জিইয়ে রাখা।

ধার করে একটা কথা বলি, ‘ডাকাতের সঙ্গে লড়াই করা চলে, তাকে কাবু করাও যায়। ভূতের সঙ্গে লড়াই চলে না, তাকে কাবু করাও সম্ভব নয়। ভূতের ভয় থেকে বাঁচবার একমাত্র উপায় দিনের আলোয় আশ্রয় গ্রহণ। আজ চিন্তাহীনতার গাঢ় অন্ধকার আমাদের মনকে চারদিক থেকে কেবলই বিভীষিকা দেখাচ্ছে। কবে যে আমাদের মনের পূর্ব দিগন্তে জ্ঞানের আলো ঝিকিয়ে উঠে সব বিভীষিকার অবসান ঘটাবে, তারই প্রতীক্ষায় আছি।’

একজন লেখক কী লিখছেন, কেন লিখছেন, কাদের জন্য লিখছেন বা কোন সত্যকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য লিখছেন সেই দায় তিনি কিছুতেই অস্বীকার করতে পারেন না। লেখকের দায় আছে তার পাঠকের কাছে। লেখকের দায় আছে সমাজের কাছে, এই দেশের কাছে। লেখকের অবস্থান হবে বিশ্ব শান্তি ও মানবতার পক্ষে। আশা করি লেখক এটা বুঝবেন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //