‘আমি অনেক কিছু নিয়ে লিখতে পছন্দ করি’

অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। বর্তমানে তাকে পর্দায় কম দেখা যায়। সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির ‘আন্তঃনগর’ ওয়েব ফিল্মের মাধ্যমে তিনি হাজির হয়েছেন। গৌতম কৈরীর গল্প ও পরিচালনায় এ ওয়েব ফিল্মে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। নিজের কাজ ও সমসাময়িক নানা বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোহাম্মদ তারেক।

আপনাকে নাটকে খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। কারণ কী?

আমার কাছে মাঝে কিছু স্ক্রিপ্ট এসেছিল। আমার সেসব নাটকের নামই পছন্দ হয়নি। আসলে নাটক ড্রয়িংরুম এন্টারটেইনমেন্ট। যেটি আমরা মা, বাবা, ভাই, বোন নিয়ে দেখব। কিন্তু ইদানীং কিছু কাজ দেখে তা মনে হয় না। আমার মনে হয় স্ক্রিপ্ট নিয়ে কাজের সময় এসেছে। আমি চাইলেই কিন্তু মোবাইলে বিভিন্ন দেশের কনটেন্ট দেখতে পারি। তাই এ জায়গায় জোর দেওয়া প্রয়োজন।

আপনাকে আন্তঃনগরে দেখা গেছে। এ কাজে যুক্ত হলেন কী করে?

আমি গৌতম কৈরী দাদার সাথে আগেও নাটকে কাজ করেছিলাম। তিনি এ কাজটির কথা আরও আগে বলেছিলেন। আমাকে স্ক্রিপ্ট দেখিয়েছিলেন। সবকিছু ঠিকঠাক হওয়ার পরও আমি ব্যক্তিগত কারণে সময় দিতে পারিনি। তিনবার শুটিং পিছাতে হয়েছিল। অবশেষে কাজটি করলাম।

ওটিটির নতুন কাজের ব্যাপারে কথা হচ্ছে?

ওটিটির বিভিন্ন কাজের আলাপ হচ্ছে। এখনো কিছু নিশ্চিত হয়নি।

আপনার প্রথম ‘দেবী’র পর আপনাকে আর বড়পর্দায় দেখা যাচ্ছে না কেন?

সত্যি বলতে, প্রথম সিনেমা করার পর যে প্রশংসা পেয়েছি সে জন্যই বোধহয় আর সিনেমা করা হয়নি। একটি ভালো সিনেমায় অভিনয় করার পর নিচে নামা সম্ভব নয়। ‘দেবী’র পর আমার কাছে যেসব কাজের প্রস্তাব এসেছে সেগুলো মনে হয়েছে মানসম্মত নয়। তবে এর মাঝে কয়েকটি কাজ করার কথা ছিল। কোভিডের জন্য একটিতে কাজ করা যায়নি। অন্য আরেকটিতে আর্টিস্ট পরিবর্তন করা হয়েছে। একটি ভালো সিনেমায় কাজের সুযোগ পাওয়া ভাগ্যেরও ব্যাপার।

দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেই স্ট্যাটাসই দেন না কেন সেটি আলোচিত হয়। গণমাধ্যমে তা নিয়ে মুখরোচক সংবাদ প্রচার হয়। এ বিষয়টি নিয়ে কী বলবেন?

এ প্রশ্ন আমার আপনাদের করা উচিত। আমি জানি না কেন আপনারা আমাকে নিয়ে সংবাদ প্রচার করতে পছন্দ করেন। অনেকে নিজেদের বাইরের কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখতে পছন্দ করে না। কিন্তু আমি অনেক কিছু নিয়ে লিখতে পছন্দ করি।

আমি মনে করি, সচেতন নাগরিক হিসেবে যখন যে ইস্যু আসে সেখানে প্রত্যেকের কথা বলা উচিত। ইতিহাস যদি দেখেন, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান কিংবা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কার কথা বলেন; তখন কিন্তু সংস্কৃতিকর্মীরা বেশ সক্রিয় ছিল। আমি জানি না এখন কেন মানুষজন কথা বলে না। কথা বললেও কেন তাকে সাধুবাদ জানানো হয় না। ইদানীং দেখা যায়, বিভিন্ন শিরোনাম দিয়ে ভিডিও ক্লিপ ছাড়া হয়। মজা করে স্ট্যাটাস দিলে তার অন্য অর্থ দিয়ে অন্য মাধ্যমে ক্লিপ ছাড়া হয়। এসব বিব্রতকর।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //