আইনুন পুতুল। গেল ২০ জানুয়ারি একবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয় তার অভিনীত ও খন্দকার সুমন পরিচালিত ‘সাঁতাও’ সিনেমাটি। ছবিটি দেখার জন্য দর্শকের উপচেপড়া ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ছবি দেখতে না পেরে ফিরে গেছেন অনেকেই। সিনেমা ও নানা বিষয়ে কথা বললেন অভিনেত্রী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোহাম্মদ তারেক
ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আপনার সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়েছে। কেমন সাড়া পেলেন?
এতদিন বুকে পাথর জমে ছিল। ছবিটি প্রদর্শিত হওয়ায় তা নেমে গেল। ছবিটি গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছিল। আমি যেতে পারিনি। মা অসুস্থ ছিল। এই যে এত মানুষ ছবিটি দেখল। এ অনুভূতি গোয়া বা অস্কারের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।
‘সাঁতাও’-এর মাধ্যমে প্রথমবার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করলেন তিনি। কেমন অনুভূতি?
এবারই প্রথম কোনো চলচ্চিত্রে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমার চরিত্রের নাম ‘পুতুল’। মুখ্য নারী চরিত্র। এ ছবিতে পুতুলের মাতৃত্বের সংকট তুলে ধরা হয়েছে। তার স্বামী ফজলুল হক কৃষক। তার জীবনের সবকিছু ফসল কেন্দ্রিক। আমরা তিস্তা পাড়ে শুটিং করেছি। অবিরাম বৃষ্টিপাতের সময়কে সাঁতাও বলে। এ সময়ের পাশাপাশি সেখানকার মানুষের সুখ-দুঃখ, সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল এ ছবিতে উঠে এসেছে। শুধু একটি অঞ্চল নয়, এ সংকট সকল কৃষকের। সকল নারীর। ছবিটি গণ-অর্থায়নে তৈরি। আমরা তারকা শিল্পী নেয়ার কথা ভাবিনি। চরিত্র অনুযায়ী শিল্পী বাছাই করা হয়েছে।
বড়পর্দায় অভিনয়ের অভিজ্ঞতার কথা শুনতে চাই?
হুমায়ূন আহমেদ স্যারের কাছে রীতিমতো পরীক্ষা দিয়ে কাজ পেতে হয়েছে। তিনি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়েছিলেন। তখন প্রায় ১৪০০ মেয়ের মাঝে প্রথম হয়েছিলাম। স্যারের তিনটি নাটকে কাজ করলাম। তার পরিচালনায় ছবিতে কাজ করা হলো। স্যার বেঁচে থাকলে হয়তো আরও কাজ করা হতো। নানাবিধ কারণে পরবর্তী সময়ে বড়পর্দায় তেমন অভিনয় করা হয়নি। মীর সাব্বিরের ‘রাত জাগা ফুল’ ছবিতে একটি ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছি। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া সানী সানোয়ার ও ফয়সাল আহমেদের ‘ব্ল্যাক ওয়ার’ ছবিতেও একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। খন্দকার সুমনের ‘সাঁতাও’ আমার প্রথম ছবি, যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রে কাজ করলাম। যদিও নাটকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে নিয়মিত কাজ করছি। ফজলুল কবীর তুহিন পরিচালিত সরকারি অনুদানের ‘বিলডাকিনি’ ছবির কাজও করছি।
বড়পর্দায় অভিনয় নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে?
আগামীতে মুখ্য চরিত্র বাদে বড়পর্দায় কাজের ইচ্ছে নেই। তবে যদি চরিত্রের গুরুত্ব থাকে তাহলে কাজ করতে আপত্তি নেই।
বর্তমান ব্যস্ততা কেমন যাচ্ছে?
বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক নাটক প্রচারিত হচ্ছে বিভিন্ন চ্যানেলে। তার মাঝে রয়েছে ‘সংসার’, ‘মা-বাবা ভাই বোন’, ‘রোমান্টিক বাড়িওয়ালা’, ‘দেমাগ’, ‘স্বপ্নের রানি’, ‘বকুলপুর’, ‘জবা’ ইত্যাদি। এর বাইরে খণ্ড নাটকের কাজ করছি। বিজ্ঞাপনচিত্রের কাজও করছি।
সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে বলুন?
অভিনয়ের পাশাপাশি সাংগঠনিক কাজও করছি। আমি অভিনয় শিল্পী সংঘের কার্যনির্বাহী সদস্য। সদস্যদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh