তারকাদের পূজা উদযাপন

ছোটবেলার পূজাকেই বেশি মিস করি : অপু

বেশ কিছুদিন আগেই সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে কলকাতায় দুর্গাবেশে ধরা দিয়েছিলেন অপু বিশ্বাস। তিনি বলেন, গেল দুই বছর করোনার কারণে মানুষ অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এবার একটু স্বস্তি পাচ্ছে। পূজা সনাতন ধর্মের বড় একটি আয়োজন। আগে পূজায় মা ছিল। মায়ের সঙ্গে অনেক জায়গায় যেতাম। এখন মাকে ছাড়াই পূজার আয়োজন করতে হয়। তবে আমার সব আনন্দের সঙ্গে মিশে আছে আমার সন্তান। এর মধ্যে পূজার কেনাকাটা করেছি। তবে সত্যি বলতে ছোটবেলার পূজাকেই বেশি মিস করি। 

আমার রান্না সবাই পছন্দ করে : দোলন 

আমি ষষ্ঠী থেকে দশমী এই কদিন শুটিং না রাখার চেষ্টা করি। এবার ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শুটিং। গত বছর ষষ্ঠীর দিনও শুটিং করতে হয়েছিল। উত্তরায় যে বাড়িতে শুটিং হয়, তার পাশেই পূজামণ্ডপ ছিল। শুটিংয়ের এক ফাঁকে গিয়ে পূজা দেখে চলে আসি। এ বছর ঢাকাতেই পূজা কাটবে। বনানী, গুলশান, বারিধারা এসব জায়গার বিভিন্ন মণ্ডপে ঘুরতে ভালো লাগে। বিশেষ করে বারিধারা ডিওএইচএসের মণ্ডপের পরিবেশ বাড়ির মতো লাগে। বাসায়ই থাকা হয় বেশিরভাগ সময়। বাসার সবাই আমার রান্না পছন্দ করে। বিশেষ করে বাবা, যা রান্না করি তাই খেতে ভালোবাসে। পূজায় আরেকটি ব্যাপার ভালো লাগে, সেটি হলো উপহার দেওয়া। মা-বাবা, কাজিনদের জন্য শপিং করতে চলে যাই শপিং মলে। তাছাড়া আমি কাজিনদের মধ্যে বড়। তাই আমার কাছে তাদের আবদারও বেশি।

গ্রামে পূজার আমেজ বোঝা যায় : সুষমা

আমার মেয়ে ভারতে পড়তে গেছে। তাই এবারের পূজায় কোনো পরিকল্পনা নেই। হুটহাট যে কোনো কিছু করতে পারি। হয়তো সপরিবারে ঢাকার বাইরেও চলে যেতে পারি। তাছাড়া পূজার সময়ে শুটিং পড়েছে। সময় পেলে উত্তরা, বনানী ও বসুন্ধরার পূজা মণ্ডপে ঘুরতে যাব। পুরান ঢাকায় যাওয়ার ইচ্ছে আছে। গতবারের পূজা ভালো কেটেছিল। অনেক বছর পর গ্রামের বাড়ি ধামরাইয়ে গিয়েছিলাম। গ্রামে গেলে পূজার আমেজ পাওয়া যায়। শহরে সব একই রকম। গ্রামের পূজায় আরতি হয়, সবাই আসে, যেসব বাড়িতে পূজা হয় সেসব বাড়িতে গিয়ে প্রসাদ খাওয়া হয়। সবাই একসঙ্গে প্রতিমা দেখতে যায়। সাথে ঢাকের বাড়ি তো আছেই। ঢাকায় থাকলে বুঝতেই পারি না এসব।


প্রথমবার সিঙ্গাপুরে পূজা করছি : পর্ণা 

এবারই প্রথম সিঙ্গাপুরে পূজা উদযাপন করতে যাচ্ছি। ওখানে কনসার্ট আছে। এজন্য মার মন খুব খারাপ। আমারও খারাপ লাগছে। যদিও এর আগে ভারতে পূজা উদযাপন করেছিলাম। পূজায় পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসি। ঢাকার বিভিন্ন মণ্ডপে ঘোরাঘুরি করি। খাওয়া-দাওয়া করা হয় উৎসবমুখর পরিবেশে। তাই এবারের পূজা অন্যরকম কাটবে। ছোটবেলার পূজার কথা মনে পড়ছে। পূজার পাঁচদিনে পাঁচটি নতুন পোশাক লাগত। কাউকে দেখাতাম না। রাত জাগতাম। এখন জীবন অনেক জটিল। প্রতিশ্রুতি রাখতে গিয়ে নিজের সাধ আহ্লাদ ভুলে যেতে হয়। যদিও প্রচুর উপহার পাচ্ছি। এবার সিঙ্গাপুরে বেশ কিছুদিন থাকা হবে। কয়েকটি মিউজিক ভিডিওর কাজ শেষ করার পরিকল্পনা আছে।


সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোহাম্মদ তারেক ও এনআই বুলবুল

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //