ভালো কিছু করার তৃষ্ণা আরো বাড়লো : আশফাক নিপুন

আশফাক নিপুন ওয়েব সিরিজ ‘মহানগর’ নির্মান করে চারিদিকে হৈচৈ করে ফেলে দিয়েছেন। নির্মাণ মুন্সিয়ানা দিয়ে বারবার নিজেকে প্রমাণ করেছেন।অনেক কাজের ভিড়ে নিজেকে আলাদা করে পরিচিত করাতে পেরেছেন তিনি। 

সাম্প্রতিক সময়ে তার কাজ নিয়ে কথা বলেছেন মাহমুদ সালেহীন খানের সাথে...

মহানগরের জন্য প্রশংসায় ভাসছেন, অনুভূতি কেমন?

আসলে একজন নির্মাতার জন্য এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী আছে? আমার ভাবনা দর্শকরা গ্রহণ করেছেন। ফোন দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। কাজের প্রতি আমার দায়িত্ব আরো বেড়ে গেল। ভালো কিছু করার তৃষ্ণাও বাড়লো। 

বাংলার শক্তিমান অভিনেতা প্রসেনজিৎ ফোন করেছেন শুভেচ্ছো জানানোর জন্য, তখন অনুভূতি  কেমন লাগছিলো?

হ্যাঁ, খুব পরিচিত একটি হ্যালো শব্দ আসলো। তারপর যখন নিজের পরিচয় দিলেন। আমি কানকে বিশ্বাস করাতে পারছিলাম না। ১৫ মিনিট আমার সাথে কথা হয়েছে। মহানগর নিয়ে তার উচ্ছ্বাস আমাকে শিহরিত করছিলো। আমাকে সিনেমা বানাতে অনুরোধ করেছেন। তার মতো একজন বড় মাপের অভিনেতার কাছ থেকে এরকম অনুরোধ পেয়ে সত্যিই ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। 


সিনেমা নিয়ে কি ভাবছেন?

অনেকদিন থেকে সিনেমার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। পাণ্ডুলিপি তৈরি আছে। গত বছরেই পাণ্ডুলিপির কাজ শেষ করেছি। করোনার কারণে কাজ ধরতে পারিনি। এখন যদি আমি শ্যুটিং করতে চাই, খরচ বেড়ে দ্বিগুণ হবে। 

মহানগর নিয়ে কোনো নেতিবাচক রিভিউ পেয়েছেন কি?

আমি এতো শক্ত করে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে চাই না। এটিকে ভালো লাগা বা খারাপ লাগা বলা যেতে পারে। সবার যে ভালো লাগবে তা নয়।  খারাপ লাগার খবরও আসছে। আর এটা খুবই স্বাভাবিক।

সামনে আপনার কি কাজ আসছে?

আমার আরো একটি কাজের পোস্ট প্রোডাকশন এর কাজ চলছে। ওটা নিয়ে এখনই আগেভাগে বলতে চাই না, যখন বলব ঘোষণা দিয়েই বলব।

আপনার কাজে একটা পয়েন্ট অব ভিউ থাকে এবং সেটা আপনি কাজের মধ্যেই বুঝিয়ে দেন। স্বাভাবিকভাবে সিরিজটিতে আপনি সিস্টেমের কথা বলতে চেয়েছেন বলে মনে হয়। এর বাইরে দর্শক গুরুত্বপূর্ণ কিছু মিস করে গেল কি না?

শিল্পী বা নির্মাতারা যখন কাজ করেন তখন একটা পয়েন্ট অব ভিউ বা দায়বদ্ধতা থেকেই কাজ করেন। বিশেষ করে এই সময়টাতে, যখন কথা বলা নিরাপদ না। শিল্পের কথা বাদ দিলাম, ফেসবুকেই কথা বলা নিরাপদ না, সেখানে সবাই চেষ্টা করে তার দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে কাজ করতে। সবার যে দায়বদ্ধতা থাকতে হবে বা সব ধরনের কাজেই দায়বদ্ধতা থাকবে, এমনটা বলছি না। তবে অনেকেই কাজকে মাধ্যম করে তার দায়বদ্ধতা প্রকাশ করে। আমিও করি।


সিরিজে এমন কোনো গ্রাউন্ড কি আপনি রেখে গেছেন যা আগামী সিরিজে পরিষ্কার হবে?

সিরিজে কোনো কনফিউশন রাখা হয়নি। মানে দর্শকরা কনফিউজ হয় এমন কিছু করা হয়নি সিরিজে। কনফিউজ করা হয়েছে মলয় চরিত্রকে। সে জানে না, আসল ঘটনাটা কী। তাই একটি সূত্র রেখে যাওয়া হয়েছে।

দ্বিতীয় সিজনের কাজ কবে শুরু করবেন বা দর্শকরা দ্বিতীয় সিজন কবে দেখতে পাবে?

দ্বিতীয় সিজনের কাজ শুরু হয়নি। মহানগরের কাজ পাঁচ মাস ধরে করেছি। গত ঈদে কোনো কাজ করিনি। এই ঈদেও কাজ করছি না। এখন একটু বিশ্রাম  নেব। সিজন টু’র জন্য নতুন করে প্ল্যান করতে হবে। তাছাড়া যে রকম সাড়া পাচ্ছি, সিজন টু নিয়ে চাপটাও বেশি। দ্বিতীয় সিজন কবে আসবে সেটা নিয়ে এখনো পরিকল্পনা হয়নি। আমি এটা বিশ্বাস করি মহানগরের গন্ধ যতদিন আমার শরীরে লেগে থাকবে, ততদিন দ্বিতীয় সিজন আসার সম্ভাবনা নেই। এর সিক্যুয়াল বানাতে গেলে মহানগরের গন্ধ আমার শরীর থেকে ফেলে দিতে হবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //