তারকাদের পূজার আনন্দ

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দেশীয় তারকাদের অনেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বী। এ উৎসবের সময়টায় পরিবারের সদস্য ও কাছের মানুষদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন তারা। তবে এবারে করোনার কারণে আনন্দ অন্য সব বছর থেকে একটু ব্যতিক্রম তাদের আনন্দোৎসব। তারকাদের পূজার আনন্দ নিয়ে আজকের আয়োজন ...

অরুণা বিশ্বাস : আনন্দ সবসময় একই রকম

পূজার সময়টা আমার ছোটবেলায় অন্যরকম কাটত। পূজার জন্য এক-দেড় মাস আগে থেকেই তৈরি হতাম। কেমন নাচবো, কোন গানে অংশগ্রহণ করব, কোন নাটকের কোন চরিত্রে অভিনয় করবসহ অনেক পরিকল্পনা করতাম। বিসর্জনের দিন সবচেয়ে বেশি আনন্দ করতাম। সেই পূজার সঙ্গে এখনকার পূজার কোনো তুলনা দেবো না। তবুও পরিবারের সাবার সঙ্গে এবং আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করি।

হিমাদ্রিতা পর্ণা : সপ্তমীতে আরটিভির লাইভে গান গাইব

এই সময়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী হিমাদ্রিতা পর্ণা। দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২৩ অক্টোবর রাতে আরটিভিতে রাত ১১.২০ টা থেকে ২টা পর্যন্ত লাইভে গাইবেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে সিংগাপুর থেকে গানের অনুষ্ঠান করে আসার পর মোহনা টিভি, একুশে টিভি এবং এনটিভিতে লাইভ করার পর মার্চ থেকে করোনার কারণে সবকিছু বন্ধ ছিল; কিন্তু মা দুর্গা আসবে জেনে আর লোভ সামলাতে পারলাম না। তাই সপ্তমীতে আর টিভি এবং অষ্টমীতে গুলশান বনানী পূজামণ্ডপে সরাসরি গান গাইব।

পূজার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে পর্ণা বলেন, আসলে ছোটবেলার পূজা অনেক মিস করি। মাস খানেক আগে থেকে অপেক্ষা করতাম, কবে পূজা আসবে, কবে নতুন জামা কিনব, আমি যেহেতু ঢাকার বারিধারার মেয়ে, এখানেই জন্ম এবং বেড়ে ওঠা, তাই ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় মাকে পূজা দিতে যেতাম, তার সঙ্গে পূজায় গুনে গুনে ৫ থেকে ৬টা জামাতো লাগবেই, একেক দিন একেকটা পরব তাই, না দিলেই মুখ ভার থাকত।

সম্পা দাস : বাঙালির সর্বজনীন উৎসব

সঙ্গীত শিল্পী সম্পা দাসের কাছে ছোটবেলা ও বড় বেলার পূজার মধ্যে তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। তারপরও ছোটবেলার পূজা খুব ভয়াবহ রকমের আনন্দের ছিলো বলে মনে করেন তিনি। বলেন আশ্বিন মাস আসতেই পূজার দিনের জন্য অপেক্ষা করতাম। কখন পূজা আসবে। নতুন জামা কিনবো। মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরবো। একটা মজার বিষয় হচ্ছে আমার বাবা পূজায় একই রঙের পোষাক কিনে দিতেন আমাদেরকে। দেখা যেতো আমার যে পোশাক হতো আমার বড় বোনেরও তাই, ছোটটারও একই রকমের হতো। আসলে পূজার আবেদন ছোটবেলা বড়বেলা বলে কিছু নেই। এখনো অপেক্ষায় থাকি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে পূজার মণ্ডপে ঘুরতে যাবো। দূর্গা পূজা বাঙালির সার্বজনীন উৎসব। এটিকে কেন্দ্র করে সব ধর্মেরই একটি উৎসব আমেজ তৈরি হয়।

অপর্ণা ঘোষ : পূজা এখন আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ

ছোটবেলার পূজাকে অনেক বেশি মিস করি। সেই সময়ের আনন্দটা এখনো মনে পড়ে। আমি চট্টগ্রামে বড় হয়েছি। ছোটবেলার সব পূজার স্মৃতি সেখানেই। মহালয়ার পরে আসত আমাদের নতুন জামা-কাপড়। কেউ কারওটা দেখতাম না। তখন ভাবনা ছিল কেউ দেখলে সেটি পুরনো হয়ে যাবে। পূজা হবে না। আমাদের বাড়িতেই দুর্গাপূজা হতো। বাড়িতে হাজার হাজর মানুষের ঢল নামত। তখনকার আর এখনকার পূজার মধ্যে অনেক পরিবর্তন এসে গেছে। এখন মনে হয় এ অন্তরের পূজা নয়, অনুষ্ঠান। এবার বিশ্বের যা অবস্থা, করোনায় অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। উৎসবটা কেমন হবে জানি না।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //