বিষণ্নতার দিনগুলি

তুমি বুঝতে পারছ না ঘুম ও জাগরণের ফারাক, জেগে জেগে ঘুমচ্ছো নাকি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে জাগছো তা নির্ধারণ করার যুক্তি শৃঙ্খল মাথা থেকে উধাও হয়ে গেছে তোমার, আদৌ তুমি বেঁচে আছো নাকি তলিয়ে গেছ অনন্ত ঘুমের দেশে এবং হারিয়েছ তোমার আস্ত এক শারীরিক অস্তিত্ব, নাকি অবচেতনের গভীর প্রদেশে সাঁতার কাটছ তুমি; এইসব বিবিধ প্রশ্ন আবছায়া ছুঁয়ে যাচ্ছে তোমাকে। 

ঘুম ঘুম জাগা জাগার ভেতর আবছা মনে পড়ছে আজ তুমি ঠিক কী কী করেছ বা আদৌ কিছু করেছ কিনা আর ‘আজ’ মানেই বা কী, এবং একটা প্রবল সংশয় ঘিরে ধরছে সেগুলি তুমি জেগে জেগে করেছ নাকি ঘুমের ভেতর আরেকটি ঘুমে হেঁটে বেড়িয়েছ স্বপ্নে, নাকি তুমি গুলিয়ে ফেলছ স্বপ্ন ও বাস্তবের সীমারেখা।  

মাথার ভেতর নানান সংশয় যখন ঘুরপাক খাচ্ছে তখন নিশ্চয়ই একটা চিন্তার স্তরের ভেতর তুমি আছ অর্থাৎ দেহের অস্তিত্ব এক্ষেত্রে হারিয়ে যাওয়ার কথা নয়, ক্ষীণ আশা জেগে থাকছে তোমার ভেতর আর তুমি ভাবতে চেষ্টা করছ, তোমার হাত দুটো ঠিক কোথায় আর সেগুলির অস্তিত্ব যখন আবিষ্কার করছ বিছানার ওপর, নিস্তেজ, তখন সূক্ষ্ন এক ইচ্ছে জাগছে ভেতরে ভেতরে আঙুল দিয়ে নিজের শরীর স্পর্শ করার, স্পর্শ করে শরীরের অস্তিত্ব টের পাওয়ার, কিন্তু ইচ্ছেটা মুহূর্তেই তলিয়ে যাচ্ছে, প্রবল বিষণ্নতার আবহ চেপে ধরছে তোমার চেতনা এবং চুরমার করে দিচ্ছে ক্ষীণ এই ইচ্ছে। 

তুমি ইচ্ছেহীন এক জড়ের মতো চুপচাপ পড়ে আছো, কিন্তু তোমার নাকে ঠিকই ভেসে আসছে একটা স্যাঁতসেঁতে গন্ধ যা তোমার অস্তিত্বের চারপাশটা ঘিরে ধরেছে এবং যা এক নিরলম্ব নিষ্ক্রিয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে তোমাকে, আর তুমি প্রাণপণে গন্ধটা থেকে নিজেকে বিযুক্ত করার চেষ্টা থেকে যোজন দূরে পড়ে আছ, ফলে গন্ধটা তোমারই শরীরের ঘ্রাণ বা গন্ধটাই তোমার শরীর হয়ে ভেসে থাকছে বাতাসে আর গন্ধটাকে সহ্য বা অসহ্য কী-ই বা তুমি করবে তার বিভাজনরেখা গুলিয়ে গেছে তোমার অস্তিত্ব বা অনস্তিত্বের ভেতর।  

কবে থেকে শুরু হয়েছিল এইসব বিষণ্নতার দিন তার স্পষ্ট ধারণাও এখন নেই তোমার, আদতে ভাবনার ভেতর সন-তারিখ-মাস- বছর-বসন্ত বা শীত কবে ঘুরে ঘুরে এসেছে নাকি স্থির হয়ে আছে সময় তা তোমার জানার অগম। মাস বা বছরের হিসেব করতে হবে সে ভাবনাও আর নাড়া দিচ্ছে না তোমাকে, ফলে সময় এগিয়ে যাচ্ছে নাকি পিছিয়ে নাকি স্থির হয়ে আছে একটি বিন্দুতে সে বিষয়ে তোমার কিছুই যায় আসে না, আসলে কখনো কখনো তোমার মনের গভীরে একেবারে ভেসে ওঠেনি সময়ের ধারণা তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না, দু-একবার তোমার একেবারে মনে হয়নি সময়ের কথা-একথা বললে ভুল হবে, কিন্তু দুর্বল ছেঁড়া ছেঁড়া চিন্তায় বোধ হয়েছে সময় তোমার চারপাশে তোমাকে সুদ্ধ নিয়ে বরফের মতন জমে গিয়ে তোমাকে বরফের মমিই বানিয়ে ফেলেছে এবং যার ভেতর অনন্তকাল বলে কিছু নেই, সময়ের এক স্থির বিন্দুই হয়ে আছ তুমি। 

কিন্তু এমন তো নয় যে সময় তোমার সঙ্গেই আছে থমকে, তুমি ক্বচিৎ হঠাৎ করেই বুঝতে পারছ, সময় এগিয়ে চলেছে, পৃথিবী এগিয়ে চলেছে, তুমি থমকে থাকলেও সময় ছাপ ফেলছে তোমার শরীরে আর তুমি আটকে আছ কোনো এক অতীতে যা কোনোদিন ফিরবে না, কারণ সময় একমুখী-এই বোধও তোমাকে ভেঙে-চুরে দিচ্ছে কখনো, আর তুমি স্পষ্টতই জানো যেদিন তুমি ফিরবে, কোনোদিন যদি ফের সম্পূর্ণ চেতনার জগতে, হয়তো আয়নায় নিজেকে দেখে নিজেই চমকে উঠবে এবং সেই দিনটা যেন দেখতে না হয় সে বিষয়ে নিজের ভেতর তৈরি করে নিচ্ছ এক ধরনের প্রস্তুতি, অর্থাৎ তুমি নিজের এই দশা থেকে কিছুতেই বেরিয়ে আসতে চাইছ না।

তোমার বোধের ভেতর আবছা নাড়া দিচ্ছে তোমার সক্রিয়তার দিনগুলি, সেই কোলাহলমুখর পৃথিবী, সেই কাজের জায়গা, সেই বসন্ত বাতাসের কেঁপে ওঠা, সেই পারস্পরিক স্পর্শের মাদকতা। 

তবু সে মাদকতাও তোমার চেতনাকে সম্পূর্ণ জাগিয়ে পৃথিবীর কোলাহলের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে পারছে না, যদিও কিছু ঘটনাক্রম তোমার স্বপ্ন বা বাস্তবের ভেতর সহসাই ভেসে উঠছে, আর তুমি যেন সামান্য কেঁপেও উঠছ, যদিও এই কেঁপে ওঠার বোধ সত্যি নাকি স্বপ্নই কেবল তা ঠাহর করতে পারছ না, বা ঠাহর করার ঝক্কি নেওয়ার মতো শক্তি অর্জন করতে পারছ না তুমি।

তোমার বন্ধ দুচোখে গড়িয়ে পড়ছে অশ্রু, অনুভূতি প্রদেশে ক্ষীণ টের পাচ্ছ তুমি, আঙুল দিয়ে মুছে নেওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে তোমার, তুমি জানো আঙুল দিয়ে অশ্রু মুছে নেওয়া মানে নিজেই নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার শামিল, কিন্তু সেই ইচ্ছে দুর্বল হতে হতে হারিয়ে যাচ্ছে চেতন বা অবচেতনের তলদেশে।

আর তোমাকে বিব্রত করছে সেই প্রবল স্যাঁতসেঁতে গন্ধটা, মুহূর্তের একটা ভগ্নাংশে তোমার ইচ্ছে জাগছে গন্ধটাকে তোমার চারপাশ থেকে কোনোভাবে বিদেয় করে দেওয়ার, কিন্তু তোমার সব ইচ্ছের মতোই এই ইচ্ছেটাও হারিয়ে যাচ্ছে, চাপা পড়ে যাচ্ছে জেদি অনীহাগুলির নিচে, আর তুমি সহ্য বা অসহ্যের দোলাচলে বিলীন হয়ে নিস্তেজ হয়ে থাকছ যেন বা এই নিস্তেজতার আখ্যান শেষ হবে না কোনোদিন। 

স্বপ্ন বা বাস্তবের ভেতর ভেসে ওঠা সেই সব ঘটনাক্রম তোমাকে ঠেলে দিচ্ছে বিষণ্নতার আরও গভীর প্রদেশে, তোমার ভেতর প্রবল হয়ে জেগে উঠছে শূন্যের ভেতর ঝুলে থাকার বোধ; কিন্তু সবই মুহূর্ত মাত্র, কেননা তুমি এমন কোনো অনুভূতির স্তরে ভেসে আছ যেখানে কিছুই স্থায়ী হচ্ছে না, এই সবকিছুর নির্যাস স্বরূপ বিষাদের চড়চড় শব্দই কেবল শুনতে পাচ্ছ তুমি, যেন পুড়ে যাচ্ছে তোমার আত্মা এক উদ্বাহু আগুনের তাপে, আর যন্ত্রণার বোধ অতীব নিষ্ক্রিয়তার দিকে ছুড়ে দিচ্ছে তোমাকে; আর তুমি মেনে নিচ্ছ, এমনভাবে, যেন এছাড়া আর কোনো পথই সামনে নেই তোমার, আসলে কোনো পথই খুঁজে পেতে চাইছ না তুমি। 

সেই সব ঘটনাক্রমের ভেতর, যা তুমি দেখছ এক অবচেতনের স্তরেই; তুমি দেখতে পাচ্ছ একটা শরীর পুড়ে যাচ্ছে শ্মশানের আগুনে, প্রথমে তার চুল, মুখ, আঙুল-এই বীভৎস দৃশ্যের ভেতর প্রবল আশঙ্কার এক ঢেউ নাড়া দিয়ে যাচ্ছে তোমাকে, তোমাকে ঠেলে দিচ্ছে যেন এক অতি বাস্তবতার ভেতর, আর তুমি প্রাণপণে প্রতিহত করছ সেই বাস্তবতা; যেন বা কখনো ঘটেনি কিছু, কখনো এমন হতেই পারে না; যে আঙুল ছুঁয়েছিল তোমার স্তনাগ্র, পুড়ে যেতে পারে না তা; যে ঠোঁটে নিহিত তোমার ঠোঁটের উষ্ণতা, পুড়ে যেতে পারে না তা; যে মুখ অবুঝ তর্ক আর বিতর্কে কাটিয়েছে কত প্রহর, নীরবতা সঙ্গী করে চুপ হয়ে গেছ তুমি কত বার, তবু পুড়ে যেতে পারে না সেই মুখ; পুড়ে যেতে পারে না ওই দেহ, যার স্পর্শে তুমি কাটিয়ে দেবে ভেবেছিলে এক জীবন। 

মৃত ও জীবিত মানুষেরা, যারা নাড়িয়ে দিয়েছে তোমার চেতন ও অবচেতন, যারা ছেড়ে গেছে তোমাকে, যারা অন্যায়ভাবে তোমাকে ছুড়ে দিয়েছে এই নিরলম্ব বিষণ্নতার দেশে, তাদের স্মৃতি তোমাকে ঠেলে দেয় শূন্যের আরও কাছাকাছি, তবু তোমার মনে ন্যায় ও অন্যায় বিষয়ক মীমাংসা শেষ হয় না, কী যে ন্যায় আর কী যে অন্যায় তার ধারণা তোমার কাছে ঠিক পরিষ্কারও হয় না।

কারণ তোমার মতোই যারা ভুল করে ভালোবাসে এবং সেই অপরাধে পরিণত হয় এক একটা ধ্বংসস্তূপে, আসলে পরিণত হয় না, করে দেওয়া হয়; কিন্তু এর পেছনের মানুষটিকে, যাকে তুমি ভালোবেসেছিলে, ভালোবাসো, বাসবেও; সে তোমাকে ধ্বংস করে দিলেও প্রাণে ধরে তুমি তার কাজকর্মের ‘অন্যায়’ দেখতে পাও না, দেখতে চাও না, ফলে ন্যায়-অন্যায় বোধ তোমার গুলিয়ে যায়, যৌথ জীবনে এইসব বোধের সার ও অসার দিক যে আপেক্ষিক তা মনে থাকে না তোমার, যা এক সমাজে অন্যায় অন্য সমাজে তা ন্যায়ও হতে পারে, মনে থাকে না তোমার।

তুমি ভুলে যাও যে, তোমাকে বিব্রত করে তোলে নর-নারীর বিশেষ সম্পর্ক যা যৌনতা এবং সামাজিক রীতিনীতিতে বাধা বা রীতিনীতি মুক্ত ও গোপন, কেনই বা গোপন করে রাখতে হয়; যা মুক্ত হলেও, রীতি শূন্য হলেও একটা অদৃশ্য সুতা গেঁথে রাখে দুজন বা একাধিকজনকে, কেউ সেই সুতা জোর করে ছিঁড়ে ফেলে, কেউ সুতাটা রেখে দেয় যত্ন করে, কেউ সুতা আছে কি নেই তা নিয়ে তেমন চিন্তিত নয়, কেউ কেউ প্রথমে সুতার অস্তিত্ব টের পেলেও ক্রমে ব্যবহৃত হতে হতে ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায় অনুভব; কিন্তু এত ভাবনার শক্তি এখন তুমি হারিয়ে ফেলেছ; তবু ঘুমের গভীরে ডুবে যেতে যেতে আলো-আঁধারি কিছু দৃশ্য বিড়ম্বনায় ফেলছে তোমাকে। 

তুমি অনুভব করতে পারছ সেই সব রাত-দিন যা চমৎকার স্মৃতিই হয়ে আছে শুধু, কিন্তু এ-ও তুমি জানো, স্মৃতিরা ফেরে না কখনো, ফলে বিষাদের গোলক আঁকড়ে ধরেছে তোমাকে, তবু তার মধ্যেই তোমার চেতনায় ভেসে উঠছে সেই স্পর্শ যা কাটিয়ে চলে যাওয়ার সাধ্য তোমার ছিল না, যে স্পর্শের অনুভব তোমাকে পাগল করেই ছেড়েছে, যা তুমি চেয়েছ আবার, আবার এবং আবার, যা তোমাকে পরিণত করেছে এক পাগলিতে, যার মায়া কাটিয়ে পাশ ফিরে থাকা তোমার পক্ষে অসম্ভব এবং মায়া জেনেও নির্মোহ থাকাও সম্ভব নয় তোমার, আর সেই মানুষটিকেই তুমি স্থাপন করেছ তোমার বৃত্তের কেন্দ্রে, তোমার দিনরাত ভরে উঠেছে কেবল আনন্দ আর খুশিতে, এবং তুমি এ-ও জানো পৃথিবীতে যে কোনো ভালো জিনিসই খুব ক্ষণস্থায়ী; আলো এবং অন্ধকার, ভালো এবং খারাপ বিনুনির মতোই এতই পরস্পরকে জড়াজড়ি করে থাকে যে তাদের আলাদা করা তোমার সাধ্যের অতীত, তবু তুমি বিষণ্নতায় ঢুকে পড়ার আগে একটা চেষ্টা চালিয়ে যাও ভালো সময়টা ফিরিয়ে আনার, আবছা মনে পড়ে তোমার; কিন্তু ব্যর্থ হও, সে কথাও মনে পড়ে যায় তোমার। 

তুমি যেন খানিক জেগে ওঠো চেতনার স্রোতে; সেই স্পর্শ, যা তুমি হারিয়েছিলে, অনুভব কর তুমি; ঠিক জাগতিক নয়, বুঝতে ভুল হয় না তোমার, সেই স্পর্শের অন্দরে লেগে ছিল এক মহাজাগতিক সুর, স্পষ্টই মনে পড়ে যায় তোমার, আর সুরটা অনেকক্ষণ ধরে বিছানার ওপর লুটিয়ে পড়ছিল, ছড়িয়ে যাচ্ছিল বিশ্বময়, তোমার ভেতর থেকে ছিটকে বেরিয়ে যাচ্ছিল যাবতীয় বিষাদ, টের পাচ্ছিলে তুমি, শ্মশানের বীভৎস দৃশ্যটাও সরে যাচ্ছিল দূরে, দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে তুমি পৌঁছে যাচ্ছিলে এক নির্বাণের স্তরে; তোমার শরীর, তোমার আত্মা সবসুদ্ধ তোমাকে নিয়ে পৃথিবী ছাড়িয়ে ক্রমে ক্রমে উঠে যাচ্ছিল আকাশের দিকে; সেই বিছানা, সেই মানুষ, যাকে তুমি ভালোবাসো এক পাগলির মতোই, তারাও হারিয়ে গিয়েছিল তোমার অনুভবের সীমা থেকে।  

তোমার চোখ দুটো ছিল বন্ধ, ফলে দৃষ্টির ভেতর তাদের দেখার প্রশ্নই আসে না, আসলে তুমি অন্ধই হয়ে উঠেছিলে সেই মানুষটির বিষয়ে, ফলে তাকে চেতনার স্তর থেকে সরিয়ে ঢুকিয়ে দিয়েছিলে তোমার অবচেতনের অনুভবে, বরং শূন্যে ভাসতে ভাসতে তোমার বন্ধ চোখের তারা দেখেছিল আদিম মাতামহীদের মুখ, তুমি দেখেছিলে এক উজ্জ্বল আলোয় চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে তোমার, এবং সেই চোখ ছিল না তোমার নিজের, বা তোমার নিজেরই তা, যা এতদিন খুলে দেয়নি কেউ, তুমি ভাসতে ভাসতেই সেই চোখের নাম দিয়েছিলে ‘তৃতীয় নয়ন’।     

এখন, তোমার আঙুলগুলি নড়ে উঠছে, মৃদু; বিষণ্নতায় পরিপূর্ণ তোমার মগজ টের পাচ্ছে তা, তুমি ক্রমশ শুনতে পাচ্ছ পৃথিবীর কোলাহল; জেগে উঠছে বরফের শীতলতায় আটকে থাকা তোমার শরীর, তোমার চেতনা; তুমি টের পাচ্ছ এক প্রবল ইচ্ছে, তুমি বুঝতে পারছ তোমাকে পৌঁছতে হবে সেই স্পর্শের ভেতরেই, সেই অনুভবের ভেতরেই, যা তোমাকে জাগিয়ে রাখবে, যা তোমাকে ঘুম থেকে টেনে আনবে এই পৃথিবীর বুকে; কিন্তু এও তুমি টের পাচ্ছ, ধবংসস্তূপের ভেতর থেকে তুমি জেগে উঠলেও হারিয়েছ তোমার সবকিছুই, একান্ত মানুষগুলিকেও।

তবু, স্বপ্ন আর বাস্তবের সীমারেখা ক্রমে ক্রমে জেগে উঠছে তোমার চেতনায়; তোমার শরীর, তোমার আত্মা অনুভব করতে পারছ তুমি, স্পষ্টতই।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //