সংক্ষিপ্ত হচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সিলেবাস

করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতির কারণে একাধিক বিকল্প চিন্তা মাথায় রেখেই এবার প্রস্তুত করা হচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচির সিলেবাস। 

স্কুল কবে নাগাদ খুলতে পারে মূলত তার ভিত্তিতেই নির্ধারণ করা হচ্ছে সিলেবাস। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যক্রমের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হচ্ছে। সিলেবাসের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমানো হচ্ছে। 

অক্টোবরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে অসমাপ্ত সিলেবাসের ৭০ শতাংশ, নভেম্বরে খুললে ৬০ শতাংশ পড়ানোর পরিকল্পনা তৈরি করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

এ সংক্রান্ত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না হলে অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা করা হবে। উভয় পরিকল্পনা অনুযায়ী পুরো পাঠ্যবইয়ের ২৫ থেকে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পাঠ কমেছে। করোনা পরিস্থিতি শুরুর আগে পাঠ্যক্রমের ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পড়ানো হয়েছে। আগের ও পরের পঠিত মোট পাঠ্যক্রমের ওপর ডিসেম্বরের শেষের দিকে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে।

পাঠ্যসূচি কাটছাঁট করে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীর সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এবং প্রাথমিকের পাঠ্যসূচি করছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ)। দুই সংস্থাই জানিয়েছে, শিগগির এই পাঠ্যসূচি শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হবে। পরবর্তী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়।

এদিকে কভিড-পরবর্তী শিক্ষা কার্যক্রমের নীতি-কৌশলের খসড়া চূড়ান্ত করতে আজ মঙ্গলবার (২৫) মন্ত্রণালয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক ডাকা হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, তিনটি পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। এর একটি ছিল সেপ্টেম্বরে স্কুল খুলে দিলে পাঠ্যবইয়ের সিলেবাসের কতটুকু পড়ানো হবে। যেহেতু সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠান না খোলার সম্ভাবনা বেশি, এ কারণে এটি আজকে আলোচনায় আসছে না। অক্টোবর ও নভেম্বর মাস ধরে তৈরিকৃত পরিকল্পনা-২ ও পরিকল্পনা-৩ আজকের বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।

নিম্ন মাধ্যমিক বিষয়ে কৌশল তৈরির কাজ চলছে এনসিটিবিতে। বর্তমানে এনসিটিবিতে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির জন্য পৃথক তিনটি পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। নবম শ্রেণির জন্য কোনো পাঠ সংকোচনের নীতি গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়েছেন এনসিটিবির এক কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, নবম ও দশম শ্রেণীর বই একই। ফলে নবম শ্রেণীতে সব পাঠ্যসূচি শেষ না হলেও দশম শ্রেণীতে গিয়ে তা শেষ করার সুযোগ আছে। আর এই স্তরটি শেষ করে একেবারে নতুন আরেকটি স্তরে (উচ্চ মাধ্যমিক) যায় শিক্ষার্থীরা। তাই এখানে হঠাৎ করেই পাঠ্যসূচি কমিয়ে দিলে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা আছে। একই কারণ উচ্চ মাধ্যমিকেও। তাই তারা কেবল অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ্যসূচি সংক্ষিপ্ত করছেন।

এনসিটিবি সূত্র জানায়, নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের করোনা-পরবর্তী শ্রেণি কার্যক্রমের জন্য তিনটি বিকল্প প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পর সম্ভাব্য কর্মদিবস ধরে তৈরি করা হয়েছে এ প্রস্তাব। সে অনুযায়ী সর্বনিম্ন ৩০ দিন শ্রেণি কার্যক্রম চালানো সম্ভব হলে পাঠ্যবইয়ের কতটুকু অংশ পড়ানো হবে, তা চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া ৫০ ও ৩০ কর্মদিবস সময় পেলে কতটুকু পড়ানো যাবে, তাও চিহ্নিত করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //