বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশ
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতির
জন্য প্রণীত অভিন্ন নীতিমালা প্রত্যাখান করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)
শিক্ষক সমিতি।
বৃহস্পতিবার
(২৯ আগস্ট) সকাল ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে
আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত ওই নীতিমালার কঠোর সমালোচনা করেন তারা।
সংবাদ
সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘ইউজিসি যেখানে শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষা,
গবেষণা ও শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর চিন্তা করবে সেখানে উচ্চ শিক্ষাকে গলাটিপে
হত্যার ব্যবস্থা করছে। প্রস্তাবিত নীতিমালায় পিএইচডি ইনক্রিমেন্ট, সেশন বেনিফিটসহ বিদ্যমান
সুযোগ সুবিধাগুলো কেড়ে নিচ্ছে। এ নীতিমালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও অধ্যাপক বেতন স্কেলের
সর্বোচ্চ ধাপে যাওয়ার সুযোগ রাখা হয়নি। এমএস ও পিএইডি জন্য শিক্ষাছুটি কমিয়ে পাঁচবছর
করা হয়েছে।’
তারা বলেন,
‘অধ্যাপকদের গ্রেড ১ এ যাওয়ার হার কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। কৃষিতে যখন দেশ সমৃদ্ধ
এবং উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় যেখানে অদম্য ভূমিকা রাখছে সেখানে কৃষি বিশ্ববিদ্যালগুলোর
জন্য আলাদা ও জঠিলতর শর্ত আরোপ করা হচ্ছে যা কৃষি শিক্ষা, প্রযুক্তি ও কৃষি উন্নয়নকে
বাধাগ্রস্থ করার চক্রান্ত পদক্ষেপ। বাকৃবির শিক্ষক নিয়োগ ও পদন্নোয়নের বিদ্যমান নীতিমালা
অনেক স্বচ্ছ ও যুগোপযুগী।’
এসময় বক্তারা
বলেন, ‘ইউজিসি চাইলে এ নীতিমালা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সুপারিশ করতে পারে। প্রতিটি
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট ও সিনেট রয়েছে নীতি নির্ধারণের জন্য,
প্রয়োজনে তারা সিদ্ধান্ত নিবে কিভাবে নিয়োগ ও পদোন্নয়ন আরও যুগোপযুগী করা যায়।’
সম্প্রতি
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সভায় ইউজিসি কর্তৃক শিক্ষকদের নিয়োগ ও পদোন্নতি সংক্রান্ত এক
অভিন্ন নীতিমালা পাশ হয়েছে। প্রস্তাবিত নীতিমালা অভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে
চারটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা হয়েছে যা নীতিমালার পরিপন্থি বলে জানান শিক্ষক সমিতির
নেতৃবৃন্দ। প্রস্তাবিত অভিন্ন নীতিমালায় কৃষি ও কৃষি প্রধান বিশ্ববিদ্যালগুলোর সাথে
অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপক অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত বলেও অভিযোগ করেন তারা।
সংবাদ
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ
মনিরুজ্জামান । এসময় শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু হাদী নূর আলী
খান, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম এ সালাম, বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক
ড. ইয়াহিয়া খন্দকারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh