মেহেদিতে ঈদের আনন্দে মেতেছে নারীরা

শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলেই শুরু হয়ে যাবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনুষ্ঠানিকতা। উৎসবে মাতবেন সারাবিশ্বের মুসলমানরা। সেই আনন্দ আরো উপভোগ্য করতে সাজগোজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নারীরা। মেহেদির রঙে রাঙাচ্ছেন নিজেদের। এতে শামিল হচ্ছেন শিশু, কিশোরী, তরুণীদের পাশাপাশি মধ্যবয়সীরাও। বৃদ্ধরা রাঙাচ্ছেন সাদা চুল, আর অন্যরা তাদের হাত ও নখ। একে অপরের হাত রাঙিয়ে ভাগাভাগি করছেন ঈদের আনন্দ।

আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) নাটোরের বিভিন্ন এলাকার এমন চিত্র নজর কেড়েছে সবার। ধর্মীয় উৎসব কিংবা বিয়ে ও জন্মদিনের মতো সামাজিক যেকোনো উদযাপনে মেহেদি যেন অবিচ্ছেদ্য অংশ। অনেকের কাছে এই রং ছাড়া উৎসব পূর্ণতা পায় না। আর ঈদ হলে তো কথাই নেই। তাইতো দলবেঁধে তরুণীরা একে অপরের হাতে মেহেদি পরিয়ে দিচ্ছেন। কেউবা যাচ্ছেন বিউটি পার্লারে। অনেকে মোবাইল ফোনে ইউটিউব দেখে শিখে নিচ্ছে নানা নকশা।

অন্তরা পারভিন আঁখি বলেন, ঈদ মানেই আনন্দ। আনন্দ মানেই উৎসব। আর যেকোনো উৎসবে মেয়েরা মেহেদি পরতে এবং এই রঙে হাত রাঙাতে ভালবাসেন। ঈদের সময় সবাই চায় সাজতে, নিজের সৌন্দর্য আরো ফুটিয়ে তুলতে। আর মেহেদি হাতের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়। এতে কয়েকগুণ বেড়ে যায় ঈদের আনন্দ।

জান্নাতুল ফেরদৌস কনা ও নিশা খাতুন বলেন, যেকোনো অনুষ্ঠানে মেহেদির রঙে রাঙা নিয়ম হয়ে গেছে। মেয়েদের কাছে এই রং অন্যরকম ভালোবাসা। আর ঈদ এলেই সবাই রীতিমত ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মেহেদি ছাড়া মেয়েদের সৌন্দর্য প্রকাশ যেন অপূর্ণাঙ্গ থেকে যায়। তাই ধর্মীয় কিংবা সামাজিক উৎসব মানেই মেহেদি পরা। এটি এখন ফ্যাশনও; কোনো অনুষ্ঠান এখন মেহেদি ছাড়া হয় না।

নাটোরের ড্রিম স্টাচ বিউটি পার্লারের স্বত্বাধিকারী মুনতাহা রাদিতা বলেন, অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় এবারের ঈদে মেহেদির রঙে রাঙানোর চাহিদা বেড়েছে। এই প্রতিষ্ঠানেই প্রতিদিন হাত রাঙাতে ভিড় করছেন অনেকে নারী-শিশু। তবে স্কুল, কলেজ ও ইউনির্ভাসিটির শিক্ষার্থী বেশি। এখানে এক হাতের অর্ধেক রাঙাতে ৫০ টাকা নেওয়া হয়। এছাড়া পুরো এক হাত ১০০ টাকা এবং দুই হাত দেড়শ টাকায় রাঙানো হয়।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //