বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুইজন ও তাদের সহায়তাকারী একজনকে আটক করেছে পুলিশ। অপর একজন সহায়তাকারী পলাতক রয়েছেন।

গতকাল বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পৌরসভার সাঞ্জুয়ারভিটা গ্রামের শাহালমের বাড়িতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ওই তরুণীকে।

পরিবারের লোকজন জানান, বুধবার বিকাল তিনটার দিকে ওই তরুণী মায়ের সঙ্গে অভিমান করে বাশেরতল জামতলা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের অন্তাইয়ের পাড় গ্রামে খালার বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হন। বাড়ি থেকে বের হয়ে নাগেশ্বরীর ভাইভাই মোড় পার হলে পূর্ব পরিচিত মালভাঙ্গা গ্রামের মৃত নুরুন্নবী মিয়ার ছেলে খোকা মিয়ার সঙ্গে দেখা হয়। এসময় খোকা মিয়া তাকে জিজ্ঞাসা করে তিনি কোথায় যাচ্ছেন। উত্তরে ওই তরুণী বলেন খালার বাড়িতে যাচ্ছেন এবং সেখানেই রাতে থাকবেন। এসময় খোকা তাকে মোটরসাইকেলে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তার প্রতিবেশী মৃত আইনউল্লার ছেলে মুসা মিয়াকে ডেকে আনেন। পরে মুসার মোটরসাইকেলে ওই তরুণীকে তুলে তারা সাঞ্জুয়ারভিটা গ্রামের শাহালমের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে দুইজনে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। অভিযোগ আছে শাহালম ও তার স্ত্রী খুশি বেগম নিজ বাড়িতে বহুদিন থেকে মেয়ে দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে। এদিকে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে ওই দম্পতির হাতে তুলে দিয়ে দুইজন চলে যান। পরে তরুণীকে শাহালম ও তার স্ত্রী খুশি বেগম একটি ঘরে তালা দিয়ে বন্দি করে রাখেন।

পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর ওই তরুণীর বাবা লোকজনের সহায়তায় শাহালমের বাড়ি হতে রাত ৮টার দিকে মেয়েকে উদ্ধার করেন। ওই রাতেই তরুণীর বাবা নাগেশ্বরী থানায় খোকা, মুসা, শাহালম ও শাহলমের স্ত্রী খুশি বেগমের নামে অভিযোগ করলে পুলিশ বৃহস্পতিবার ভোরে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত খোকা ও মুসাসহ ধর্ষণে সহায়তা করায় খুশি বেগমকে গ্রেপ্তার করে। তবে শাহালম পলাতক রয়েছে।

মেয়ের বাবা জানান, খোকা ও মুসা আমার মেয়ের সম্পর্কে চাচা হন। তাই ওদের মোটরসাইকেলে উঠেছে। তারা দুইজন মেয়েটাকে নিয়ে নির্যাতন করেছে আবার ওখানেই বিক্রি করে দিয়েছে। আমার মেয়ের সামনেই অন্য ছেলেদের কাছ থেকে শাহালমের বউ ১০ হাজার টাকা নিয়েছে। মেয়ে সব কিছুই আমাকে জানিয়েছে। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থানার ওসি (তদন্ত) সারোয়ার হোসেন জানান, এ বিষয়ে চারজনের নামে মামলা হয়েছে। রাতেই এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুই যুবক ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত। অপরজন একজন নারী। তিনি সহায়তাকারী। বৃহস্পতিবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //