মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: আরেক আসামি গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

গ্রেপ্তারকৃত মো. হারুন (৪২) চরওয়াপদা ইউনিয়নের চরকাজী মোখলেছ গ্রামের মৃত বশির আহম্মদের ছেলে।

আজ বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতের দিকে তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, জেলা পুলিশের একটি টিম ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। হারুন এ মামলার এজাহারভুক্ত ২নং আসামি। ঘটনার পর তিনি বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়ান। এমনকি যশোর সীমান্ত দিয়ে একবার ভারতে পালিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করেন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার পর থেকে পুলিশ তার গতিবিধি নজরে রাখে। এ নিয়ে এ মামলার তিন আসামি সবাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অপরদিকে এ মামলার প্রধান আসামি চরওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক ইউপি সদস্য আবুল খায়ের ওরফে মুন্সী মেম্বারকে গতকাল (বুধবার) আদালতে উপস্থাপন করে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। এ বিষয়ে আজ শুনানি শেষে আদেশ দেওয়ার হবে। মামলার অপর আসামি মেহরাজ উদ্দিন (৪৮) অপরাধ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার বিকেলে জেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া ইসলাম ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।


এসময় আসামি মেহরাজ জানিয়েছেন, এ মামলার অপর দুই আসামি আবুল খায়ের মুন্সী ও মো. হারুনের প্রস্তাবে রাজি হয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন রাতে তিনি ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামীর অনুপস্থিতে চুরি করার উদ্দেশ্যে তার বসতঘরে সিঁদ কেটে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি ঘরের দরজা খুলে দিলে মুন্সি মেম্বার ও হারুন ভেতরে প্রবেশ করেন। এক পর্যায়ে মুন্সি মেম্বার ও হারুন দুজন মিলে পালাক্রমে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। এসময় মেহরাজ পাশের কক্ষে থাকা ওই নারীর ১২ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করেন। পরে স্বর্ণালংকার ও টাকা নিয়ে তিনজন ঘর থেকে বেরিয়ে যান।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ২টার দিকে চরওয়াপদা ইউনিয়নে চরকাজী মোখলেছ গ্রামের একটি নতুন বাড়িতে সিঁদ কেটে এক গৃহবধূ ও তার শিশু কন্যাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এসময় ঘর থেকে দুটি নাকফুল, কানের দুল এবং নগদ ১৭ হাজার ২২৫ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে আবুল খায়ের মুন্সী ও মো. হারুনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে আসামি করে সিঁদ কেটে ঘরে প্রবেশ, পরস্পর সহযোগিতায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ভয়ভীতি প্রদর্শনের অপরাধে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহর থেকে আবুল খায়ের মন্সীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর গত মঙ্গলবার রাতে চরক্লার্ক ইউনিয়ন থেকে মেহেরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। মেহেরাজ একই এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //