পঞ্চগড়ে নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করায় যুবলীগ নেতাকে মারধর

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করায় এবং নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে কথা বলায় পঞ্চগড় সদর উপজেলা যুবলীগেরসহ সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন সাদাতকে মারধর ও লাঞ্ছিত করেছে পঞ্চগড়-১ আসনে নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান মুক্তার কর্মী সমর্থকরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে পঞ্চগড় জেলা শহরের ভাসানী পার্ক এলাকায় ওই যুবলীগ নেতাকে মারধর ও লাঞ্ছিত করে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যের ১০ থেকে ১৫ জন কর্মী সমর্থক। এমনকি তারা মারধরের ভিডিও ধারণও করে।

বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, যুবলীগ নেতা শাহাদতকে একসাথে ১০ থেকে ১৫ জন ব্যক্তি মারধর করছেন। এসময় ওই যুবলীগ নেতা নিজেকে অসুস্থ দাবি করলেও তারা তাকে ছাড় দেয়নি। একসাথে কিল ঘুষি ও কাঠ দিয়ে মারধর করতে থাকে। ভিডিওতে তাদের বলতে শোনা যায়, নব-নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান ভূইয়া মুক্তার বিরুদ্ধে নির্বাচনে কথা বলায় তাকে মারধর করা হচ্ছে। মারধরের পর আর কখনো সংসদ সদস্য মুক্তার বিরুদ্ধে কোন কথা না বলার অঙ্গীকার করতে বাধ্য করা হয় তাকে। মারধর ও লাঞ্ছিত করার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে আহত অবস্থায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় শাহাদত পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়।

শাহাদত জানান, সদর উপজেলার পুকুরীডাঙ্গা এলাকায় নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ডাক্তার দেখানোর জন্য ইজিবাইকে করে পঞ্চগড় জেলা শহরের যাচ্ছিলেন তিনি। যাওয়ার পথে পঞ্চগড় জেলা শহরের জালাসী ভাসানী পার্ক এলাকায় পৌঁছালে তাদের ইজিবাইকের গতিরোধ করে ওই এলাকার মফিজুল, জহিরুল, আল আমিন, রফিকুল, শরিফ, হাসিবুল, নাঈম ও ফরিদসহ ১০ থেকে ১৫ জন তাকে টেনে হিছরে নামিয়ে রাস্তার পাশে নিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। তারা এলাকায় নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান ভূইয়া মুক্তার কর্মী সমর্থক হিসেবে পরিচিত।

শাহাদত বলেন, সারা দেশেই নৌকার প্রার্থীর পাশাপাশি দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। আমাদের এখানেও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। আমি নির্বাচনে আনোয়ার সাদাত সম্রাটের হয়ে কাজ করেছি। এটাই আমার অপরাধ। আমি ডাক্তার দেখানোর জন্য পঞ্চগড় জেলা শহরের যাচ্ছিলাম। আমি বার বার তাদের বলেছি আমি অসুস্থ তারপরও তারা আমাকে ছাড় দেয়নি। যারা আমার উপর হামলা করেছে তারা কখনো দলের আগে পিছে ছিল না। এখন নাঈমুজ্জামান মুক্তা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তারা বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। এর আগেও পাঁচজনকে তারা মারধর করেছে। যারা মুক্তার ভোট করেনি তাদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে তারা। আমি এখন চিকিৎসা নিচ্ছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো। আমি আমার উপর হামলার ন্যায্য বিচার চাই।

পঞ্চগড় সদর থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় বলেন, আমরা এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছি। অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //