গজারিয়ায় যুবদল নেতার বাড়িতে হামলা

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার হোসেন্দী দক্ষিণপাড়া এলাকায় নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে থাকা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুম মিয়ার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হামলাকারীরা তার বাড়িতে হামলার পর ঘরের আসবাবপত্রে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।

রাজনৈতিক বিরোধে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

মাসুম মিয়ার স্ত্রী নাজমীন বেগম বলেন, আমার স্বামী বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত। বিভিন্ন কারণে তার সাথে আমাদের প্রতিবেশী প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আক্তার হোসেনের ভাই মাহাবুব মিয়া ও শাহ পরানের সাথে বিরোধ চলছিলো। গত ৬ ডিসেম্বর নাশকতার মামলায় আমার স্বামী এবং তার ছোট ভাই জসিমকে আটক করে পুলিশ। তারা জেলে থাকার সুযোগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাহ পরানের নেতৃত্বে অন্তত ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি দল বাড়িতে হামলা চালায়। তারা দরজা ভেঙে পড়ে প্রবেশ করে তারপর প্রতি রুমে ঢুকে ভাঙচুর করে। রুমের গ্লাস থেকে ধরে আসবাবপত্র সবকিছু ভাঙচুর করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায় তারা। যাবার পথে নিচতলার সোফা এবং পর্দায় আগুন লাগিয়ে দিয়ে যায়। তবে আমরা সাথে সাথে তা নিভিয়ে ফেলায় আগুন বেশি দূর ছড়াতে পারেনি। সব মিলিয়ে আমাদের প্রায় বিশ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধন করা হয়েছে।

যুবদল নেতার ছোট ভাই ওয়াসিম আকরাম বলেন, আমি ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত। ওদের হামলা টার্গেট ছিলাম আমি। বৃহস্পতিবার বিকেলে নদীপথে মুন্সীগঞ্জ সদর থেকে গজারিয়ায় আসার পথে হোসেন্দী এলাকায় তারা আমার অপেক্ষায় ছিলো। তারা অস্ত্র নিয়ে নদীর পারে আমার জন্য অপেক্ষা করছে এমন খবর পেয়ে আমি কৌশলে তাদের হাত থেকে রক্ষা পাই। আমাকে না পেয়ে সন্ধ্যায় তারা আমাদের বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর এবং লুটপাট চালায়। আমার বড় ভাইয়ের ছেলে কৌশলে জানালার ফাঁক দিয়ে হামলার কিছু অংশের ভিডিও করে রেখেছে। পুলিশের হাতে আটক হওয়ার ভয়ে আমরা অভিযোগ করতে থানায় যেতে পারছি না।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মো. শাহ পরান বলেন, বিচ্ছিন্ন ঘটনায় শুনেছি একজন অটোচালককে মারধর করা হয়েছে। তবে আমার লোকজন কারো বাড়িতে হামলা করেছে এমন কোনো ঘটনা আমার জানা নেই।

গজারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর খবর পেয়ে রাতেই আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। ভাংচুরের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

মুন্সীগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, এরকম একটা ঘটনার খবর আমি পেয়েছি। সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //