কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হবে চলতি বছর

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। চলতি বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে কক্সবাজারের রানওয়েতে দেশি ও আন্তর্জাতিক সব ফ্লাইট অবতরণ করবে। 

আজ শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার বিমান বন্দরের আন্তর্জাতিক মানের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া জানিয়েছেন এসব তথ্য জানান। 

নয় হাজার ফুট রানওয়ের সঙ্গে সমুদ্র বক্ষে ১৭০০ ফুট রানওয়ে বাড়িয়ে ১০ হাজার ৭০০ ফুটের রানওয়ে হচ্ছে সৈকতের শহরে। যা বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ।

প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ইচ্ছায় এমন গর্বের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে উল্লেখ করে মুখ্য সচিব বলেন, রানওয়েতে বিমান অতরণের সময় যাত্রী অনুভব করবেন সমুদ্রে নামছেন। যা পর্যটনে পরিবর্তন আনবে বলে মনে করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজারের খুরুশকুলের সর্ববৃহৎ জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য হওয়া আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। যেখানে নিমার্ণাধীন ভবন পরিদর্শন, বাস্তবায়নকারী সেনা কর্মকর্তাসহ বসবাসরত উদ্বাস্তু পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করেন।

তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, বিশ্বের সর্ববৃহৎ জলবায়ু উদ্বাস্তুদের আশ্রয় কেন্দ্র এটি। যেখানে ১৯টি ভবনে ইতোমধ্যে আশ্রয় নিয়েছে চার হাজার পরিবার। এখন আরও ৬০টি ভবন নির্মাণ শেষ পর্যায়ে। আগামী দুই মাসের মধ্যে এখানে আরও আড়াই থেকে তিন হাজার পরিবার আশ্রয় পাবে।

১৯৯১ সালের প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ে আশ্রয়হীন মানুষকে এক স্থানে নিয়ে এসে আশ্রয় দেওয়ার একটি ইতিহাস প্রধানমন্ত্রী সৃষ্টি করেছেন মন্তব্য করে মুখ্য সচিব বলেন, এখানে প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে। বিদ্যালয়ের জন্য জায়গা রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে স্কুল ও কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হবে। পরিবেশবান্ধব এই আশ্রয় কেন্দ্রে খেলার মাঠ, মসজিদ, মন্দিরসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও হবে।

খুরুশকুল আশ্রয় কেন্দ্রের পশ্চিমে নদীর কিনারে দুটি আধুনিক জেটিও হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখানকার মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য গ্রিন হাউজ প্রক্রিয়া আধুনিক শুটকি পল্লী, জেলেদের জন্য ব্যবস্থা একই সঙ্গে পর্যটন বিকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া মুখ্য সচিব খুরুশকুলের বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বিমান বন্দরের পশ্চিমে সমিতি পাড়া পরিদর্শন করেন। এ সময় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।