কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৫৪ পিএম
আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০২৩, ১২:০৪ এএম
নিষেধ করা সত্ত্বেও পুনরায় জোর করে বলাৎকারের চেষ্টা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুদ্দিনকে খুন করেন আশরাফুল ইসলাম।
আজ মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুর ২টায় কক্সবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুদ্দীন হত্যার রহস্য উন্মোচনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত আশরাফুল ইসলাম ও ভিকটিম সাইফুদ্দিন সম্পর্কে শালা-দুলাভাই (চাচাতো)। তাদের উভয়ের ভালো সম্পর্ক ছিল। রাতে আটকের পর মাদ্রাসা ছাত্র আশরাফুল ইসলাম হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
তিনি জানান, নিহত সাইফুদ্দিন মাদকসেবনের পর হোটেল সানমুনের ২য় তলার ২০৮ নম্বর কক্ষে নিয়ে আশরাফুলকে বলাৎকার করে ভিডিও ধারণ করে রাখে। এর প্রতিশোধ নিতেই সাইফউদ্দিনকে হত্যা করে আশরাফুল।
এসময় ঘাতক আশরাফুল ইসলামের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আরও বলেন- ভিডিও ফাঁস করে দেয়ার হুমকি দিয়ে সাইফুদ্দিন মাদ্রাসা ছাত্র আশরাফুলকে আবারো হোটেল কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে জোর করে বলৎকারের চেষ্টা করেন তাকে। তখন আশরাফুল তার সাথে থাকা ছুরি দিয়ে সাইফুদ্দিনতে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। গোঙ্গানির শব্দ বের না হওয়ার জন্য বেডশিট দিয়ে মুখ চেপে ধরে এবং বেল্ট দিয়ে হাত বেঁধে রাখে। তারপর নিহত সাইফুদ্দিনের মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় আশরাফুল।
এর আগে, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজারের আবাসিক হোটেল সানমুনের ২য় তলার ২০৮ নম্বর কক্ষ থেকে সাইফুদ্দিন নামে (৩০) এক আওয়ামী লীগ নেতার দু'হাত বাঁধা অবস্থায় রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ ঘোনাপাড়ার আনসার কমান্ডার আবুল বশরের পুত্র।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : কক্সবাজার যৌন নির্যাতন খুন আওয়ামী লীগ
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh