নেত্রকোণায় বিএনপির ৬ নেতা গ্রেপ্তার

নেত্রকোণায় বিক্ষোভ ও পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে জেলা বিএনপি। আজ শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে শহরের বনোয়াপাড়া এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। এসময় দলটির অঙ্গসংগঠনের ছয় নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত নেতারা হলেন- নেত্রকোণা জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সজল তালুকদার, নেত্রকোণা সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সৈয়দ মোখশেদুল আলম, যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার শাহেদ, জেলার মদন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক অলী উল্লাহ, নেত্রকোণা সদর উপজেলার আমতলা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব সাফায়াত হোসেন ও একই ইউনিয়নের শ্রমিক দলের সদস্য আব্দুল মান্নান।

পুলিশ ও বিএনপি দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল আটটার দিকে শহরের বনোয়াপাড়া মোড় এলাকায় নেত্রকোণা জেলা বিএনপির আহবায়ক চিকিৎসক মো. আনোয়ারুল হক ও সদস্য সচিব ডক্টর মো. রফিকুল ইসলাম হিলালীর নেতৃত্বে দলীয় নেতা-কর্মীরা জড়ো হন। সেখানে বক্তব্য শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে আবু আব্বাছ ডিগ্রি কলেজের সামনে শেষ হয়। পরে নেতা-কর্মীরা চলে যেতে থাকেন। একপর্যায়ে কুড়পাড় সিএনজি স্টেশন এলাকায় দুর্বৃত্তরা দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ও একটি সিএনজি ভাঙচুর চালায়। এসময় উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা যুবদল ও ছাত্রদলের ছয় নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পরে ওই দিন দুপুরে নেত্রকোণা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এস.আই) সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৪৫০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আটক ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এ ব্যাপারে নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফুল হক জানান, বিএনপির ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অনুষ্ঠানের নামে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। তারা দুটি ককটেল বিস্ফোরণসহ সিএনজি ভাঙচুর চালায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক করার পাশাপাশি চারটি অবিস্ফোরিত ককটেল, কিছু দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। ঘটনায় নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে ৩১ জনের নামসহ আরো অজ্ঞাত ৫০০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা হয়েছে। মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

তবে এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ডক্টর রফিকুল ইসলাম হিলালী মুঠোফোনে জানান, শনিবার সকালে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন শেষে নেতা-কর্মীরা ফিরে যাচ্ছিলেন। এসময় ছাত্রলীগ নামধারী একদল যুবক কুড়পাড় সিএনজি স্টেশন এলাকায় একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও সেখানে সিএনজি ভাঙচুর চালায়। ওই দুর্বৃত্তদের হামলায় আমাদের শ্রমিকদলের নেতা খায়রুল ইসলাম, শামছু মিয়া, ছাত্রদল নেতা রাকিব মিয়া, রফিকুল ইসলাম, যুবদলকর্মী বজলুর রাশেদসহ আটজন আহত হন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে ককটেল বিস্ফারণ ও ভাঙচুর করে বিএনপির ওপর দোষ চাপাচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নেত্রকোণা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোবায়েল আহমেদ খান জানান, ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মী হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। বিএনপিই এই কাজ করে আমাদের সংগঠনের ওপর অপপ্রচার করছে।