টাঙ্গুয়ার হাওরে বেড়াতে গিয়ে প্রাণ গেল পর্যটকের

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় পাটলাই নদীর ওপর দিয়ে আড়াআড়িভাবে টানা পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিখোঁজ জামরুল মিয়ার (৪৫) লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

তিনি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার বাড়ই গ্রামের বাসিন্দা মৃত হারুন রশিদের ছেলে। এ ঘটনায় আরো তিনজন গুরুত্বর আহত হয়েছেন।

তারা হলেন- জামাল ভুইয়া (২৬), মাঈনুউদ্দিন (২৭) ও রাজন (২৮)।

আজ শুক্রবার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা দিকে উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের শ্রীপুর বাজার সংলগ্ন তরং গ্রামের পাটলাই নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। এর পূর্বে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টায় একই স্থানে দুর্ঘটনা ঘটে।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তাহিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, আগত পর্যটকরা ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার বাসিন্দা। 

আহত পর্যটক জামাল ভুইয়া জানান, ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলা থেকে টাঙ্গুয়ার হাওরে বেড়াতে আসে ২০ জনের একটি দল। সারাদিন হাওরে বেড়ানোর পর ট্যাকেরঘাট এলাকায় রাত যাপনের জন্য পাটলাই নদী দিয়ে রওনা হয় পর্যটক পরিবহনকারী নৌকাটি। যাওয়ার পথে উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের শ্রীপুর বাজার সংলগ্ন তরং গ্রামের পিছন দিয়ে (পাটলাই নদী দিয়ে) যাওয়ার পথে পর্যটকবাহী চলন্ত নৌকার উপরে ৪-৫ জন বসা ছিলেন। এসময় নদীর উপর দিয়ে আড়াআড়িভাবে টানানো পল্লী বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে জামরুল মিয়া আহত হয়ে পাটলাই নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন। এসময় গুরুত্বর আহত হয়েছেন তিনজন। আহত তিনজন পর্যটক শ্রীপুর (উত্তর) উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা জানান, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে নিখোঁজের সন্ধান চালায় প্রশাসন, পুলিশ ও এলাকাবাসী। কিন্তু নিখোঁজের সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ শুক্রবার সুনামগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে লাশ উদ্ধার করে। লাশ থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে।