রাঙ্গামাটিতে সিএনজিচালকদের ধর্মঘট, বিপাকে সাধারণ মানুষ

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আদালত সিএনজি অটোরিকশা চালকের জামিন নামঞ্জুর করার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটি শহরে সিএনজি-অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিক ইউনিয়ন।

আজ বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে আদালত আসামির জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিলে অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। এদিকে পার্বত্য শহর রাঙ্গামাটির একমাত্র অভ্যন্তরীণ যানবাহন সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে প্রথমে রাঙ্গামাটি আদালত প্রাঙ্গণের সামনের সড়কে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয় চালকরা। বেলা তিনটার দিকে শহরের প্রাণকেন্দ্র বনরূপায় দেখা গেছে, চালকরা সিএনজি-অটোরিকশা থেকে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিচ্ছে। হঠাৎ করে অটোরিকশা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তপ্ত দুপুরে দুর্ভোগে পড়েছেন সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা। এসময় অনেককেই পায়ে হেঁটে যেতে হয়েছে বাসায় কিংবা গন্তব্যে। সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের বলছে, তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য গাড়ি (অটোরিকশা) চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে।

এদিকে এ ঘটনার পরপরই শহরের প্রাণকেন্দ্র বনরূপা মোড়ে উপস্থিত হন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ রাজু, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদুল ইসলাম, কোতোয়ালি থানার ওসি আরিফুল আমিন ও ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক সারোয়ার মোহাম্মদ পারভেজ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ রাজু বলেন, ‘রাঙামাটি শহরে সিএনজি চালকরা গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। তবে আমাদের সঙ্গে তাদের (শ্রমিক ইউনিয়ন) কোনো কথা হয়নি।’

হঠাৎ করে সিএনজি অটোরিকশা বন্ধ করে দেওয়া প্রসঙ্গে রাঙ্গামাটি জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু বলেন, ‘আমাদের লাইনম্যানকে মারধর করার পরও দিনে-দিনে মামলা হয়েছে, গ্রেপ্তার হয়েছে। তবুও আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জামিন আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় আমরা এর প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য শহরে সিএনজি-অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। আমরা কার্যকরী কমিটি বৈঠকে বসছি। বৈঠক শেষে আপনাদেরকে সিদ্ধান্ত জানাব।’

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই দুপুরে শহরের কালিন্দীপুর রাস্তার মুখের সামনে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) ছাত্র সোহেল রানার সঙ্গে সিএনজি চালক (প্রথম আসামি) মোস্তফার বাকবিতণ্ডা হয়। ঘটনার এক পর্যায়ে প্রথম আসামি মোস্তফা ও দ্বিতীয় আসামি রিয়াজ মামলার বাদী সোহেল রানা ও সাক্ষী তাহেরুলকে অটোরিকশা থেকে টেনে-হিঁচড়ে নামিয়ে কিল ঘুষি মারেন। ঘটনার সময় তৃতীয় আসামি নয়ন (লাইনম্যান) সোহেল রানার পকেটে থাকা মানিব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। এই মামলায় পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে নিলে আদালত আসামি নয়নের জামিন আবেদর নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //