‘শেখ হাসিনা লাখ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিকের ক্ষতি করতে চায়’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, আমেরিকা নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করলেও সরকার তা লুকিয়ে রেখেছিল। শেখ হাসিনা আমেরিকার উপর রাগান্বিত। তার প্রতিহিংসা কেমন তা এখন বিশ্বও টের পাচ্ছে। কিন্তু আমেরিকাকে প্রতিহিংসা দেখাতে গিয়ে তিনি লাখ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিকের ক্ষতি করতে চায়।

আজ শনিবার (২৭ মে) বিকালে বিকেল সাড়ে ৪টায় যশোর শহরের ভোলাট্যাঙ্ক রোডে অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে যশোর জেলা বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। শনিবার দুপুরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলে রুহুল কবির রিজভী এ বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে প্রবেশে পুলিশি নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মত।

জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে সমাবেশে রিজভী আরো বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীসহ দেশবাসী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও আমরা এখন বৃহৎ কারাগারে বন্দি। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষের দাম আলোর গতিতে বাড়ছে। চিনি এখন বিদেশিনি হয়ে গেছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী আমেরিকা, লন্ডনে গিয়ে উন্নয়নের গল্প শোনান।

তিনি আরো বলেন, হাসিনার অধীনে নির্বাচন হলে সেটা নির্বাচন হবে না। রাতে ভোট হয়ে যাবে। পুলিশ যেহেতু লাঠিয়াল বাহিনী হয়েছে তাই হাসিনার নেতৃত্বে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।

রিজভী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক কখনই সংবিধানে ছিল না। দেশের মানুষের প্রয়োজনে সেটা করা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক আনার জন্য আওয়ামী লীগসহ সকল দল আন্দোলন করেছে। এখন আমরা আন্দোলন করছি। তাহলে সংবিধান কি বড় পাথর যে সেটা সংশোধন করা যাবে না। জনগণের প্রয়োজনে সংবিধান। ফলে এটা সংশোধন করে নিরপেক্ষ ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও তার লোকজন মনে এ দেশের মানুষ তাদের ক্রীতদাস। এদের কথা বলার অধিকার নেই। তারা মনে করেন এ দেশ তাদের পৈত্তিক সম্পত্তি। অথচ আমরা মনে এ দেশ জনগণের। এখানে প্রত্যেকের সমান অধিকার।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ কোথাও বিএনপিকে সমাবেশ করতে দিতে চায় না। তারা গুণ্ডা সন্ত্রাসীর মতো আচরণ করে। আওয়ামী লীগ আর রাজনৈতিক দল নয়, এটা এখন সন্ত্রাসী সংগঠন। ওরা নির্বাচনে জিততে পারবে না জেনেই সন্ত্রাসী, গুণ্ডামি করে টিকে থাকতে চায়। এদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপির সাবেক দফতর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, বিএনপির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপুসহ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

এদিকে সমাবেশ সফল করতে সকাল থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত হন। শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে ঘিরে সর্তক অবস্থায় সমাবেশ স্থলের চারপাশে অবস্থান নেয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //