শেরপুরের গারো পাহাড়ে অবাধে বালু-পাথর উত্তোলন

শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতীর গারো পাহাড় এলাকায় গত পাঁচ বছর ধরে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে ক্ষত-বিক্ষত করে লাল বালু ও মূল্যবান নুড়ি পাথর উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। মাটি খুড়ে পাথর উত্তোলনের ফলে গারো পাহাড় এলাকার কয়েক হাজার হেক্টর শালবাগান ধ্বংসের অভিযোগ উঠেছে।

এর পেছনে মূলত সরকার দলীয় উপজেলার প্রভাবশালী নেতাসহ পাহাড়ের স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী এবং অসাধু বন কর্মকর্তার দিকে অভিযোগের তীর ছুড়েছেন এলাকাবাসী।

এদিকে ঘটনা আড়াল করতে বন বিভাগ শতাধিক নিরীহ সীমান্তবাসীর বিরুদ্ধে মামলা করার অভিযোগ করেছেন। 

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার এই পাহাড়গুলো ঘিরে গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র। গারো পাহাড়ের গজনী, হালচাটি, বাঁকাকুড়া, গান্দিগাঁও এলাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে গজারি বাগানের পাহাড় কেটে ও পাহাড়ি নদী-ঝর্ণা থেকে দীর্ঘদিন থেকে অবাধে পাথর ও বালু উত্তোলন করে আসছে এক শ্রেণির প্রভাবশালী মহল। সীমান্ত সড়কের কাছাকাছি এলাকাগুলোতে চলে গভীর রাতে উত্তোলন। আর গহীন অরণ্যে দিনের বেলায় তোলা হয় পাথর ও বালু। রাতের অন্ধকারে ট্রলি ও পিকআপে করে উত্তোলনকৃত পাথর বালু পাচার করা হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে। এভাবে প্রতি রাতে লাখ লাখ টাকা মূল্যের পাথর ও বালু লুটপাট করছে ওই প্রভাবশালীরা। শুধু তাই নয়, খোদ বন বিভাগের উপর গাড়ি প্রতি কমিশন নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

গত কয়েক বছরে নির্বিচারে পাহাড় ধ্বংসের কারণে এবং বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজেসে পাথর লুটপাটের কারণে এই এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এখন হুমকির মুখে। অভিযোগ আছে ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা মোকরুল ইসলাম আকন্দ তার অপকর্ম ঢাকতে পাহাড়ে বসবাসরত পাহাড়ি বাঙালি ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির করেছেন ভুক্তভোগীদের।

গান্ধিগাও গ্রামের সুজন মিয়া বলেন, আমি পাথর বালু উওোলন করি না, দিন মজুরের কাজ করি। তারপরেও বন বিভাগ আমার নামে মামলা দিছে। যারা পাথর বালি উওোলন করে তারা প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় তাদের নামে মামলা দেয় না।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //