বগুড়ার বাজারে উঠেছে মৌসুমী ফল তরমুজ

বগুড়া থেকে এখনো পুরোপুরি শীত যায়নি। দিনে কিছুটা গরম অনুভূত হলেও রাতে থাকছে শীত। খানিকটা শীত আমেজের মধ্যেই বাজারে উঠেছে গ্রীষ্মের রসালো ফল তরমুজ। হরেক নামের আর দামের তরমুজে বাজার সেজে উঠেছে। ফলের দোকানগুলোতে থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ছোট ও বড় আকারের তরমুজ। মৌসুমের শুরুর এ তরমুজ ক্রেতাদের আকর্ষণ করলেও দামের কারণে কিনতে গিয়ে ভাবতে হচ্ছে।

জানা যায়, বগুড়া জেলা ও জেলা শহরের বিভিন্ন বাজারে ও ফলের দোকানে শোভা পাচ্ছে হরেক রকমের তরমুজ। কালো রঙের, সবুজ রঙের তরমুজে ভরে উঠেছে বাজার। বগুড়া শহরের রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজার, চেলোপাড়া বাজার, কাঁঠালতলা, সাতমাথা, কলোনী বাজার  ও খান্দার বাজার ঘুরে দেখা যায় রসালো তরমুজ ফল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। নতুন ফল হিসেবে বাজারে চাহিদা রয়েছে। ক্রেতারা তাদের পছন্দমত তরমুজ কিনছেন। তৃষ্ণা মেটাতে অনেকেরই পছন্দ করছেন এই ফলটি। বাজারে বেশির ভাগই বাংলা লিং তরমুজ ও কালো তরমুজ বিক্রি হচ্ছে।

বগুড়ার তরমুজ ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে যে সব তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে তা আগাম জাতের তরমুজ। এসব তরমুজ বরিশাল এবং কুয়াকাটা থেকে আমদানি করা হয়েছে। বগুড়ায় আগামজাতের তরমুজ খুব কম চাষ হয়ে থাকে। গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ হয় বগুড়ায়। চাষিরা বেশিলাভের আশায় আগামজাতের তরমুজ চাষ করেছে। বগুড়ার বাজারে প্রচুর পরিমাণে তরমুজ এসেছে। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুমের প্রথম তরমুজের এ চালান এসেছে বরিশাল থেকে। বরিশালের একেকটি তরমুজের ওজন ৬ থেকে ১০ কেজি। লাল টকটকে রঙের এ তরমুজের চাহিদা বেশি। ভোক্তারা এখন বরিশালের তরমুজই বেশি কিনছেন। বরিশালের তরমুজ ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। যে কারণে ৫ কেজি ওজনের একটি তরমুজ ২৫০ টাকা ও ৮ থেকে শুরু করে ১০ কেজি পর্যন্ত ওজনের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকায়। গাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে তরমুজের চাষ ও সরবরাহ সংশ্লিষ্ট সবকিছুর দাম বেড়েছে। ফলে এর প্রভাব খুচরা বাজারে পড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এ বাজারে এতো দামে তরমুজ কেনা অনেক ক্রেতার পক্ষেই সম্ভব হচ্ছে না।

বগুড়া শহরের চেলোপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী টুটুল মিয়া জানান, গ্রীষ্মের আগেই বাজারে আগামজাতের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। তরমুজের মৌসুম এখানো শুরু হয়নি। বর্তমানে বাজারে যেসব তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে এগুলো বরিশাল ও কুয়াকাটা থেকে এসেছে। বাংলা লিং ও কালোজাতের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ৫০ টাকা। তবে পুরো মৌসুম পড়লে দাম আরো কমে যাবে। বেচা-কেনা ভালো হচ্ছে। ক্রেতারা তাদের পছন্দ মত তরমুজ কিনছেন।

তরমুজ কিনতে আসা আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, নতুন এই রসালো ফল পরিবারের সকলের পছন্দ। গরমের দিনে তৃষ্ণা মেটায় এই ফল। দাম একুট বেশি। তারপরও ছেলে মেয়েদের জন্য নতুন ফলটি কিনতে হচ্ছে। 

ভ্যান চালক রশিদ মিয়া জানান, বাজারে মৌসুমের নতুন ফল তরমুজ উঠেছে। বাজারে এখন তরমুজের দাম বেশি হবে। এখন একেকটি তরমুজের দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। পূর্ণ মৌসুমের সময় তরমুজের দাম অর্ধেকে নেমে আসবে। তখন পরিবারের জন্য কেনা হবে। সারা দিনে যা আয় হয় তা দিয়ে পরিবারের চাহিদা মেটাতে হয়।

বগুড়া ফলব্যবসায়ি সমিতির সদস্য ও ফল আড়ৎদার মাহমুদ শরীফ মিঠু জানান, বগুড়ার বাজারে বিভিন্নজাতের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। জেলায় যে পরিমাণ আগামজাতের তরমুজ চাষ হয় তা দিয়ে ভোক্তা চাহিদা পুরণ হয় না। সে কারণে বাহিরের জেলা থেকে তরমুজ নিয়ে আসতে হয়। মৌসুমের আগেই বগুড়ার বাজারে যে সব তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে তা মিষ্টি। 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //