আইন প্রয়োগের অভাবে মারা পড়ছে বিপন্ন প্রাণী শাপলাপাতা

কক্সবাজার উপকূলে দেদারসে মারা হচ্ছে বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী শাপলাপাতা মাছ। জেলেরাও জানে না এই মাছ ধরা নিষিদ্ধ। সচেতনতার অভাবে প্রতিনিয়তই মারা পড়ছে এই প্রাণী।

পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপলের প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, শাপলাপাতা মাছ বিপন্ন প্রায় প্রজাতির তালিকাভুক্ত। উপকূলের জেলেদের হাতে যেভাবে এটি ধরা ও বিক্রি হচ্ছে তাতে এটি চরম হুমকির সম্মুখীন। শাপলাপাতা  রক্ষায় জেলেদের মাঝে সচেতনতার পাশাপাশি আইনের কঠোর প্রয়োগ দরকার। শাপলাপাতা মাছের বৈজ্ঞানিক নাম ‘স্টিংরে ফিস’। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ সালের আইনানুযায়ী এই মাছ শিকার নিষিদ্ধ।

টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ বঙ্গোপসাগরে আবদুল আমিন নামের এক জেলের বড়শিতে ধরা পড়েছে ১৩০ কেজি ওজনের একটি শাপলাপাতা মাছ। পরে মাছটি ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিমপাড়া সমুদ্রসৈকত থেকে ২০ হাজার টাকা মণ দরে জেলের কাছ থেকে এই মাছটি ক্রয় করেন নুর মোহাম্মদ নামের টেকনাফের এক মাছ ব্যবসায়ী।

জেলে আবদুল আমিন জানান, গত বুধবার রাতে নৌকা নিয়ে  তিনজন সাগরে মাছ ধরতে যান। সাগরে বড়শি ফেলতে এই মাছ ধরা।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শাপলাপাতা ধরা নিষিদ্ধ এটা আমার জানা ছিল না। কোথাও কখনো শুনিনি। তাই সচেতনতার অভাবে এই মাছ ধরা হয়। আজকের পর থেকে এই মাছ ধরা হবে না।

টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, এটি স্টিংরে প্রজাতির মাছ। এ প্রজাতির মাছ সমুদ্রের অগভীর তলদেশ ঘেঁষে বিচরণ করে। তবে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে শাপলাপাতা মাছ ধরা ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। জেলেদের বিভিন্ন সভা-সেমিনারে এ মাছ না ধরার জন্য উৎসাহিত করা হয়। 

সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় শাপলাপাতা মাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দেশে এ মাছ ধরা এবং বিক্রি দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও কেউ তা মানছে না। প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে এই মাছ। এভাবে নিধন চলতে থাকলে এক সময় শাপলাপাতা মাছ বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //