রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আসল ৫৫ হাজার টন কয়লা

বাগেরহাটের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আরো ৫৫ হাজার টন কয়লা মোংলা বন্দরে ভারত-বাংলাদেশ নৌ প্রটোকলভুক্ত বাণিজ্যিক জাহাজ ‘এপিজে কাইস’ পৌঁছেছে। 

আজ রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়েতে পৌঁছায় জাহাজটি। এখান থেকে ছোট লাইটার জাহাজে করে এই কয়লা রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে নেওয়া হবে।

এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ৩৩ হাজার ম্রেট্রিকটন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে এসেছিল পানামার পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি এস পাইনেল’। পরবর্তীতে ওই কয়লা দিয়েই রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট পুনরায় চালু হয়।

কয়লাবাহী জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মেসার্স টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকের খুলনার ব্যবস্থাপক রিয়াজুল হক বলেন, ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে জাহাজটি ফেয়ারওয়েতে এলাকায় পৌঁছেছে। এই জাহাজের কয়লা লাইটার জাহাজে করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নেওয়া হবে। ২৫ ফেব্রুয়ারি রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আরো ৫৫ হাজার টন কয়লা আসার কথা রয়েছে।

মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহিন মজিদ বলেন, জাহাজটি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় পৌঁছেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই জাহাজের কয়লা খালাস শুরু হবে।

২০১০ সালে ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হয়। ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসির মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাঃ) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) নামে কোম্পানি গঠিত হয়। এই কোম্পানির অধীনে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল) নামে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়। রমাপাল উপজেলার রাজনগর ও গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাপমারী কৈ-গর্দ্দাশকাঠি মৌজায় ১ হাজার ৮৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ শেষে ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়। ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরই শুরু হয় জমি ভরাট ও সড়ক নির্মাণের কাজ। প্রায় ৯ বছর বিশলা কর্মযজ্ঞ শেষে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে গেল প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে এবছরের ১১ জুলাই বয়লার স্টিম ব্লোয়িং স্থাপন করা হয়। এক মাস পরে ১৪ আগস্ট টারবাইন-এ স্টিম ডাম্পিং এবং একদিন পরে ১৫ আগস্ট জাতীয় গ্রিডের সাথে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ (ট্রান্সমিশন) শুরু করা হয়। পরে ১৭ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় গ্রিডে বাণিজ্যিকভাবে যুক্ত হয় এখানের বিদ্যুৎ। কিন্তু কয়লা সংকটে ১৪ জানুয়ারি প্রথম ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //