শিক্ষকসহ ১৫ জন শিক্ষার্থী একঘেয়েমি দূর করতে মাইক্রোবাসে চড়ে খৈয়াছড়া ঝর্ণা দেখতে গিয়েছিলেন। প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে গিয়ে রেলচাপায় পৃথিবী থেকেই হারিয়ে গেলেন ছয় শিক্ষার্থী ও শিক্ষক। মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সময় রেলক্রসিংয়ের পোস্টে অনুপস্থিত ছিলেন গেটম্যান। সে সময় ছিলো না রেলক্রসিংয়ের ব্যারিয়ার।
ট্রেন আসার বিষয়টি মাইক্রোবাসচালক খেয়াল ইই করেননি। ১৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে বেঁচে ফেরা ইমন এমনটাই বলেছেন। দেশের এতো উন্নয়নের ভিড়ে রেলক্রসিং নিয়ে সরকারের কি পরিকল্পনা রয়েছে সে বিষয়টিও এখন প্রশ্নবিদ্ধ।
মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনা গতকাল শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার বড়তাকিয়া স্টেশনের কাছে খৈয়াছড়া এলাকায় ঘটেছে।
ইমন বলেন, ট্রেন আসার বিষয়টি গাড়িচালক খেয়াল করেনি। আমরা রেললাইনের উপরে উঠার সাথে সাথে ট্রেন এসে মেরে দেয় আমাদের গাড়িকে। তারপর আমি পড়ে গেছি।
তিনি আরো বলেন, আমি লাফ দেইনি। আমরা যারা পেছনে বসছিলাম তারা সবাই ওখানেই পড়ে যাই। আর গাড়ি সামনে চলে যায়।
গাড়িতে ১৮ জন ছিলেন জানিয়ে ইমন বলেন, ড্রাইভার-হেল্পারসহ আমরা ১৮ জন ছিলাম গাড়িতে। আমরা ভ্রমণ করার জন্য গিয়েছিলাম। বাড়ি থেকে গতকাল ৭টার দিকে বের হয়েছিলাম এবং ফেরার সময় ছিল দেড়টা।
মাইক্রোবাস রেললাইন ক্রস করার সময় লাইনে কোনো বাঁশ বা ব্যারিয়ার ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, এরকম কিছুই ছিল না। ওখানে কোনো মানুষই ছিল না। গেটম্যান না থাকায় ও তাদের অলসতার কারণে বন্ধুরা চলে গেছে সবাই। স্যারও চলে গেছে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : রেলক্রসিং রেলচাপা খৈয়াছড়া ঝর্ণা নিহত
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh