রেললাইন ভাঙা দেখে গামছা উড়িয়ে ট্রেন থামাল গ্রামবাসী

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে রেললাইন ভাঙা দেখে গামছা উড়িয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ঈদ স্পেশাল ট্রেনের যাত্রীদের প্রাণ বাঁচিয়েছেন গ্রামের দুই ব্যক্তি।

মঙ্গলবার (১২ জুলাই) দুপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথের মশাখালী-কাওরাইদ স্টেশনের মধ্যবর্তী লংগাইর ইউনিয়নের গোলাবাড়ি ১৩৫ নম্বর ফরচুঙ্গির ব্রিজে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে, গত ২ জুনও একই রেলপথের গফরগাঁও-মশাখালী স্টেশনের মধ্যবর্তী হাতীখলা বাজারে রেললাইন ভাঙা থাকায় ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়।

স্থানীয়রা জানায়, দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় লোকজন হেঁটে ব্রিজ পারাপারের সময় ব্রিজের ওপর দুই লাইনের সংযোগস্থলে প্রায় ১০ ইঞ্চি পরিমাণ রেললাইন ভাঙা দেখতে পান। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দেওয়ানগঞ্জগামী ঈদ স্পেশাল ট্রেন আসছিল।

এ অবস্থায় গোলাবাড়ী গ্রামের আজিজুল হক ও ফরহাদ মিয়া অনেকটা অগ্রসর হয়ে ট্রেন থামানোর জন্য গামছা উড়িয়ে চালককে সংকেত দিলে চালক ট্রেনটি থামিয়ে দেন।

এতে অল্পের জন্য হাজারো যাত্রী দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পায়। পরে ভাঙা লাইনটি মেরামত করা হলে প্রায় এক ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ট্রেনের সহকারী চালক ইদ্রিস আলী (৪০) জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দেওয়ানগঞ্জের উদ্দেশ্যে ঈদ স্পেশাল ট্রেনটি কমলাপুর থেকে যাত্রা শুরু করে। ফরচুঙ্গি ব্রিজ এলাকায় লোকজনের গামছা উড়ানো সংকেত দেখে তিনি ট্রেন থামান।

মশাখালী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আমিনুল ইসলাম বলেন, ১৩৫ নম্বর ব্রিজের ওপর রেললাইন ভাঙা দেখে স্থানীয়রা ট্রেন থামিয়ে দেয়। এতে মশাখালী রেলস্টেশনে হাওর এক্সপ্রেস আটকা পড়ে। পরে দুপুর ১টার দিকে ভাঙা রেল মেরামত করা হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

গফরগাঁও স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, লাইনগুলো বহু পুরনো, তাই হয়তো এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় মানুষ সচেতন হয়ে আগে ভাগে জানানোর কারণে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে।