রঙিন বাঁধাকপি চাষে সফল কৃষক

অধিক পুষ্টিকর লালিমা জাতের রঙিন বাঁধাকপি ফলন এবং দামেও ভালো। দেখতে সুন্দর ও স্বাদে হালকা মিষ্টি। সালাদ হিসেবেও খাওয়ার উপযোগী। এটি চাষে অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয় না। স্বাভাবিক পরিবেশে কয়েক দিন সংরক্ষণ করা যায়।

বাজারে এই রঙিন বাঁধাকপির চাহিদাও বেশি, যা সাধারণ কপির চেয়ে অনেক বেশি লাভ। দাম ও ফলন ভালো হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরাও এ জাতের কপি চাষে ব্যাপক আগ্রহী। দ্বিগুণ লাভের আশায় এই রঙিন বাঁধাকপি চাষ করে বাজিমাত করেছেন বাহুবল উপজেলার দ্বিমুড়া গ্রামের কৃষক মো. দিদার হোসেন। 

কৃষক দিদার হোসেন তার জমিতে ভিন্ন কিছু চাষ করার ভাবনা থেকে রঙিন বাঁধাকপি চাষ করেছেন। উপজেলায় প্রথমবার প্রায় ৮ শতক জমিতে ৫০০টি চারা রোপণ করেন। রঙিন বাঁধাকপি দেখতে সুন্দর। এরই মধ্যে বাজারে বিক্রি শুরু করেছেন। এই বেগুনি বাঁধাকপি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন। গত বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে এর চাষ শুরু করা হয়। ৮০-৯০ দিনে কপিগুলো পরিপক্ব হয়ে বিক্রির উপযোগী হয়েছে। 

কৃষক দিদার হোসেন বলেন, উপজেলায় প্রথমবারের মতো রঙিন বাঁধাকপির চাষ করেছি। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। চাষে পোকা দমনে ফরোমন ফাঁদ ও হলুদ ট্যাপ ব্যবহার করে ৮ শতক জমিতে প্রায় ৫০০টি কপি হয়েছে। এতে খরচ হয়েছে মাত্র ৩ হাজার টাকা। বাজারে প্রতিটি কপি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করছি। এতে অন্তত ২০ হাজার টাকার কপি বিক্রি হবে। 

দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, উপজেলায় প্রথমবারের মতো রঙিন বাঁধাকপির চাষ হয়েছে। প্রথমবার চাষ করেই সফলতা পেয়েছেন কৃষক দিদার হোসেন। অন্য কৃষকরাও এ জাতের কপি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //