নারী শ্রমিককে এসিড দিয়ে হত্যায় জবানবন্দি

বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এসিড দিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন অভয়নগর উপজেলার এসএএফ ইন্ডস্ট্রিজের শ্রমিক শামীম হোসেন। 

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুদ্দীন হোসাইন এ জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। শামীম হোসেন উপজেলার রাজঘাট মাইলপোস্ট এলাকার খন্দকার মোশারফ হোসেনের ছেলে। নিহত কেয়া খাতুন উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের কাদিরপাড়া গ্রামের মৃত আবুল কালামের মেয়ে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিকরা জানান, সোমবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে টিফিনের সময় মিলের ভেতরে ক্যান্টিনে পাশে কেয়া বসে ছিলো। এসময় শামীম এসে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হলে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে শামীম তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে কেয়ার মাথায় আঘাত করে। কেয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মিলের ভেতর থেকে একটি মগে এসিড এনে তার শরীর ও মুখে ঢেলে দেয়। কেয়ার চিৎকারে ক্যান্টিনের ভেতরে থাকা শ্রমিকরা এগিয়ে এসে শামীমকে ধরে মিল কর্তৃপক্ষকে খবর দেয়। কর্তৃপক্ষ আহত কেয়াকে খুলনা আদ-দ্বীন হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় এবং শামীমকে অভয়নগর থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। 

নিহত কেয়ার মামা হাবিবুর রহমান মজুমদার জানান, সোমবার সন্ধ্যায় খুলনার আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কেয়া মারা যায়। সে স্বামী পরিত্যক্তা ছিলো। গত ১০ বছর ধরে ১১ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান নিয়ে সে গ্রামে বসবাস করে আসছে। মিলে চাকরি করায় একই মিলের শ্রমিক শামীম দীর্ঘদিন ধরে কেয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। রাজি না হওয়ায় শামীম তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। খুনি শামীমের ফাঁসি দাবি করেন তিনি। 

এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শামীম হাসান জানান, পরকীয়া প্রেমের কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আটক শামীম ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //