পর্যটনের নতুন সম্ভাবনা দুই ঝরনা তৈছামা

সবুজ পাহাড়, গুহা, উপত্যকা, ঝরনা নিয়ে পাহাড়ি জনপদ খাগড়াছড়ি। এখানে দিন দিন বাড়ছে পর্যটকদের আগমন। এরই মধ্যে জেলার দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের বিষ্ণু কাবারি পাড়ায় ‘তৈছামা ঝরনা’র সন্ধান মিলেছে। 

ত্রিপুরা শব্দ তৈ অর্থ পানি ছা মানে ছড়া মা অর্থাৎ ঝরনার মা। দুই দিকে এসে দুটি ঝরনা এখানে মিলিত হয়েছে। ঝরনার মিলনস্থলকে বলা হয় তুয়ারি মাইরাং। এডভেঞ্চারের স্বাদ নিতে নিতে নতুন সন্ধান পাওয়া ঝরনা দেখতে লকডাউনের পর থেকে পর্যটক আসবে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

তৈছামা ঝরনায় পৌঁছাতে পাড়ি দিতে হয় ছোট বড় পাহাড়, জুম ক্ষেত, স্রোতস্বিনী ঝিরি, পাথুরের রাস্তা। লোকালয় থেকে হেঁটে ঝরনায় পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র ১ ঘণ্টা। উঁচু নিচু পাহাড়ে এখন চোখ ধাঁধানো সবুজ জুম। জুমের ল্যান্ডস্কেপজুড়ে সবুজ মখমল। উঁচু পাহাড় থেকে দৃষ্টি যাবে সুদূর দিগন্তে। কোথাও কোথাও ঝিরি এবং ক্যাসকেড বেয়ে নামতে হয়। এ সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। 

পর্যটকদের যাতায়াতে অবকাঠামো উন্নয়নের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা। আগত পর্যটকদের গাইড সুবিধাও দেবে তারা। 

মেরুং ইউনিয়নের ইউপি সদস্য গণেশ ত্রিপুরা জানান, যারা এডভেঞ্চার পছন্দ করে তারা আসতে পারবেন। ঝরনায় আসার পথ অত্যন্ত রোমাঞ্চকর। যারা পাহাড়ে আসতে পছন্দ করে, ঝরনা পছন্দ এটি তাদের বেশ ভালো একটি জায়গা। ঝরনায় যাতায়াতের পথ কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। সরকারের পক্ষ থেকে রাস্তাসহ অবকাঠামো নির্মাণ করে দিলে সুবিধা হবে। পর্যটক বেড়াতে এলে গাইড সুবিধা দেওয়া যাবে। 

জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, খাগড়াছড়িতে তৈদুছড়া, তুয়ারি মাইরাং, রিছাং, তৈছামাসহ বেশ কয়েকটি ঝরনা রয়েছে। যা অন্য জেলায় একসঙ্গে নেই। ঝরনা ভ্রমণের জন্য পর্যটকদের  নিরাপত্তার পাশাপাশি গাইড সুবিধা কীভাবে দেওয়া যায়, তাও আমরা ভাবছি।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //