খুলনায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বজনদের হামলায় ডা. মোহাম্মদ আব্দুর রকিব খান (৫৯) নামে এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মহানগরীর রাইসা ক্লিনিকের পরিচালক রকিব খান মারা যান। তিনি বাগেরহাট মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট টেনিং স্কুলের (ম্যাটস) অধ্যক্ষ ছিলেন।
রকিবের ছোট ভাই খুলনা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম বলেন, নগরীর মোহাম্মদ নগরের পল্লবী সড়কের বাসিন্দা আবুল আলীর স্ত্রী শিউলী বেগমকে ১৪ জুন সিজারের জন্য রাইসা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ওই দিন বিকেল ৫টায় অপারেশন হয়। বাচ্চা ও মা প্রথমে সুস্থ ছিলেন। পরে রোগীর রক্তক্ষরণ হলে ১৫ জুন সকালে খুলনা মেডিক্যার কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানের চিকিৎসকরাও রোগী রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না পেরে ঢাকায় রেফার্ড করে। ঢাকায় নেয়ার পথে ১৫ জুন রাতে শিউলী বেগম মারা যান।
তিনি আরো বলেন, এরপর রোগীর স্বজনরা ওই রাতেই আমার বড় ভাই ডা. রকিবকে লাথি ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে তার মাথার পেছনে জখম হয়। তাকে প্রথমে গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে শেখ আবু নাসের হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরো বলেন, ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় এ ঘটনায় সম্ভাব্য হামলাকারী রোগীর স্বজন কুদ্দুস, আরিফ, সবুরসহ কয়েকজন মহিলা। তারা ১৫ জুন রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে আমার ভাইয়ের ওপর হামলা করেন।
সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ঘটনার পর খুলনা সদর থানায় অভিযোগ দাখিল করতে গেলে পুলিশ নানান তালবাহানা করে আমাদের ঘুরিয়েছে। কিন্তু অভিযোগ নেয়নি।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে হামলাকারীদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম বাহার বুলবুল বলেন, আজ বুধবার (১৭ জুন) সকাল ৯টা পর্যন্ত ডা. রকিবের মৃত্যুর ঘটনায় কোনো মামলা বা আটক হয়নি। তবে পরিবার মামলা করবে বলে শুনেছি।
আবু নাসের হাসপাতালের পরিচালক ডা. বিধান চন্দ্র গোস্বামী জানান, মাথায় আঘাতের কারণে ডা. রকিবের মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh