অবৈধ ইটভাটায় জনদুর্ভোগ

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মহেড়া ইউনিয়নের তিনটি অবৈধ ইটভাটা চলছে। বিভিন্ন দপ্তরের অনুমোদন না থাকলেও ইটভাটা মালিকরা বছরের পর বছর ইটভাটা চালিয়ে আসছে। ভাটার কালোধোঁয়া ও তীব্র ঝাঁজালো গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী জানান, কয়েক বছর আগে মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিভাস সরকার নূপুর ভাতকুড়া মৌজায় এমবিএস, তেঘুরি মৌজায় আলমগীর হোসেন এবিএম ও কড়াইল মৌজায় বিএনপি নেতা আলী হোসেন খোকন ও মোয়াজ্জেম হোসেন এমএসবি নামে তিনটি ভাটা স্থাপন করেন। ভাটা তিনটি আবাদি জমির ওপর এবং আনুমানিক দুই কিলোমিটারের মধ্যে। এতে ইটভাটা এলাকার আশপাশের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এবং ভাটার ইট ভারী যানবাহনযোগে পরিবহন করায় সড়ক ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভাতকুড়া গ্রামের কয়েকজন জানান, বিভাস সরকার নূপুর চেয়ারম্যান থাকাবস্থায় জনবসতি এলাকায় আবাদি জমিতে ভাটা স্থাপন করেন। তার ভয়ে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। তাকে অনুসরণ করে কড়াইল ও তেঘুরি মৌজায় পাশাপাশি আরও দুটি ভাটা স্থাপন করা হয়েছে। কড়াইল গ্রামের কৃষক মুকছেদ আলী ও রমজান আলী জানান, ইটভাটার কারণে ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। ভাটা স্থাপনের আগে ১০০ শতাংশ জমি চাষ করে ৭০-৮০ মণ ধান পাওয়া যেত। এখন ৪০-৪৫ মণ ধান পাওয়া যায়।

ভাটা তিনটির দায়িত্বরত ম্যানেজাররা বিভিন্ন দপ্তরের অনুমতিপত্র দেখাতে না পারলেও বলেছেন, হাইকোর্টে রিট করে চালানো হচ্ছে। তবে তারা রিটের কপি দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। 

এ বিষয়ে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মালেক বলেন, ওইসব ভাটার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ইটভাটার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //