কোনো পরিবর্তন চোখে পড়েনি: তানিন সুবহা

চিত্রনায়িকা তানিন সুবহা। প্রায় এক যুগ আগে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। সিনেমার পাশাপাশি নাটকেও কাজ করছেন এ গ্ল্যামারকন্যা। মাঝে প্রায় দেড় বছর তিনি লাইট-ক্যামেরা অ্যাকশনের চেনা জগৎ থেকে দূরে ছিলেন। সম্প্রতি শুটিংয়ে ফিরেছেন অভিনেত্রী। নিজের কাজ ও অন্যান্য বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোহাম্মদ তারেক...

ঈদের কাজের ব্যস্ততা কেমন?
আকাশ রঞ্জন ও গাজী আপেল মাহমুদের ৭ পর্বের দুটো ধারাবাহিকের কাজ করছি। কয়েকটি খণ্ড নাটকের কাজ হবে। ২০ রোজা পর্যন্ত শুটিং করব। ঈদে ধারাবাহিক ও একক দুই ধরনের নাটকের পাশাপাশি কিছু ফটোশুটও করছি। এ ছাড়া কয়েকটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ শুরু করেছি।

প্রায় দেড় বছরের বিরতি শেষে অভিনয়ে ফিরেছেন। বিরতিতে কেন গিয়েছিলেন?
বিরতি নিয়েছি মূলত ব্যবসায় সময় দেওয়ার জন্য। আপনারা জানেন আমি পার্লারের ব্যবসা করছি। ওখানে সময় দিতে হয়। বাসাবোতে দুটি ও আফতাবনগরে একটি পার্লার আছে। 

প্রথমদিকে সময় না দিলে ব্যবসা দাঁড়ায় না। পাশাপাশি আমার বুটিক হাউস আছে, সুবাহ’জ ফ্যাশন। এ জন্যই সাময়িক বিরতিতে গিয়েছিলাম।

দেড় বছরের বিরতি শেষে শুটিংয়ে ফিরে পরিবেশ কেমন দেখলেন?
কোনো পরিবর্তন চোখে পড়েনি। সবাই আগের মতো আমাকে ভালোবাসে। কাছের মানুষ ও সহকর্মীরা চায় যেন নিয়মিত কাজ করি। তাদের চাওয়াতে কাজের প্রতি আগ্রহ পেয়েছি। না হয় আনন্দ নিয়ে কাজ করতে পারতাম না।

সিনেমার ব্যস্ততা প্রসঙ্গে জানতে চাচ্ছি।
জাভেদ মিন্টুর ‘দুই রাজকন্যা’, ‘বীর মাতা’ এবং গাজী জাহাঙ্গীরের পরিচালনায় ‘প্রেমের বাঁধন’ নামে তিনটি সিনেমার কাজ শেষ করেছি। এগুলো মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

আপনি একজন নারী উদ্যোক্তা। পাশাপাশি একজন অভিনেত্রী। দুটো কাজ সামলানো কতটা কঠিন?
অনেক চ্যালেঞ্জের একটি ব্যাপার। বাধাবিপত্তি আছে। সব সামলে কাজ করতে হয়। অন্য পার্লারগুলোর চেয়ে যেন আমার পার্লার ক্লায়েন্টদের ভালো সার্ভিস দিতে পারে সেদিকে নজর রাখতে হয়। এখন নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা বেড়েছে। তাই মানের দিকে জোর দিতে হয়। মজার ব্যাপার হলো, আমি পার্লারে থাকলে ক্লায়েন্ট বেশি থাকে। আমিও তাই তিনটি পার্লারেই সময় দিতে চেষ্টা করি।

রমজানে নিজে ইফতার বানান?
আসলে আমি ব্যস্ততার জন্য ইফতার বানানোর সময় পাই না। তবে আম্মুকে রান্নাঘরে সহায়তা করি। তার বানানো ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি ভীষণ ভালো লাগে। আর আমার দায়িত্ব থাকে শরবত বানানোর। বিভিন্ন ফল, টক দই প্রভৃতি দিয়ে বিশেষ শরবত বানাই।

ঈদের শপিং করেছেন?
না, এখনো শুরু করিনি। আমি সাধারণত ২০ রোজার পর থেকে শপিং শুরু করি। এমনো হয়েছে ঈদের দিন সকালে মার্কেটে গিয়েছি। সবার জন্য কেনাকাটা করি আগে। তারপর নিজের জন্য। নিজের শপিং করতে করতে চাঁদ রাত পড়ে যায়।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //