দুই ম্যাচ হাতে রেখেই বাংলাদেশের সিরিজ জয়

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগের দুই ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। এবার তৃতীয় ম্যাচে রোডেশিয়ানদের ৯ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। হ্যাটট্রিক জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ।

আজ মঙ্গলবার (৭ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ বলে ৫৭ রান করেন তাওহিদ হৃদয়।

জবাবে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানের বেশি করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৪ রান করেছেন ফারাজ আকরাম।

১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই ভুগেছে জিম্বাবুয়ে। দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ভালো শুরুর আভাস দিলেও উইকেটে থিতু হতে পারেননি জয়লর্ড গাম্বি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে ৮ রান করা এই ওপেনারকে সাজঘরে ফেরান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

গত ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করা ব্রায়ান বেনেট আজ রান তাড়ায় ব্যর্থ হয়েছেন। তিনে নেমে ৫ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। বেনেটের মতো দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার সিকান্দার রাজা ও ক্রেগ আরভিন। তাতে দলীয় অর্ধশতকের আগেই টপ অর্ডারের চার ব্যাটারকে হারায় সফরকারীরা।

লোয়ার মিডল অর্ডারে কেউই দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে পারেননি। জোনাথন ক্যাম্পবেল-ওয়েলিংটন মাসাকাদজারা থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের ব্যর্থতায় ৯১ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে অলআউটের শঙ্কায় পড়ে জিম্বাবুয়ে। সেখান থেকে দলকে জয় এনে দিতে না পারলেও অন্তত পুরো ২০ ওভার খেলতে সাহায্য করেছেন ফারাজ আকরাম।

এর আগে নতুন বলে বেশ ভুগেছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ তামিম। বিশেষ করে মুজারাবানিকে খেলতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে তাদের। ধীর গতির শুরুর পর বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি লিটন। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে মুজারাবানিকে স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন এই ওপেনার। সাজঘরে ফেরার আগে ১৫ বলে করেছেন মাত্র ১২ রান।

তিনে নেমে দ্রুত ফিরেছেন অধিনায়ক শান্তও। ৪ বলে ৬ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। কিছুটা থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। তার ব্যাট থেকে এসেছে ২২ বলে ২১ রান।

৬০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলি। চতুর্থ উইকেটে এই দুইজন মিলে যোগ করেন ৮৭ রান। ৩৪ বলে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ফিফটি তুলে নেন হৃদয়। ৩৮ বলে ৫৭ রান করে আউট হন তিনি।

জাকের ফিফটির কাছাকাছি গিয়েও শেষ পর্যন্ত মাইলফলক ছুঁতে পারেননি। ৩৪ বলে করেছেন ৪৪ রান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেছেন ৪ বলে অপরাজিত ৯ রান।

রোডেশিয়ানদের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন মুজারাবানি। এই পেসার ৪ ওভার বোলিং করে ১৪ রানে শিকার করেছেন ৩ উইকেট। তাছাড়া ১টি করে উইকেট পেয়েছেন ফারাজ আকরাম ও সিকান্দার রাজা।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //