বিসিবির সভাপতি হওয়া নিয়ে গুঞ্জন

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেশ সরব। এর কারণ, বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সরকার তাকে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছে। আর বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা পুনরায় এবং তিন ফরম্যাটেই বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান নতুন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। 

এখন প্রশ্ন হলো, বিসিবির সভাপতি হিসেবে নতুন কে দায়িত্বে আসবেন? দায়িত্বে আসলে কীভাবে আসবেন? যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ মাশরাফিকে, কেউ সাকিবকে, কেউ আবার সাবেক অধিনায়ক আকরাম খানকে বিসিবির সভাপতি পদে দেখতে চাচ্ছেন। আর এটাই এখন দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে গরম আলোচনা। তবে মজার বিষয় হলো, পাপনের কথা শুনে মনে হচ্ছে, তিনি মন্ত্রিত্ব ও বিসিবি সভাপতি- দুই দায়িত্বই পালন করতে আগ্রহী। এদিকে সাকিব বিসিবির সভাপতির পদ পেতে বেশ আগ্রহী হয়ে বলেছেন, তিনি দায়িত্ব পেলে হবেন ইতিহাসের সেরা সভাপতি। যদিও মাশরাফি সভাপতি হওয়া নিয়ে কোনো কথা বলেননি। তবে সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি কিংবা বর্তমান অধিনায়ক ও নবাগত এমপি সাকিবের কেন এখনই বোর্ড সভাপতি হওয়া সম্ভব নয়, সেটিও জানিয়েছেন পাপন।

বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত বিসিবির বর্তমান সভাপতিকেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিসিবির পরবর্তী নির্বাচন ২০২৫ সালের অক্টোবরে। পাপন জানিয়েছেন, একই সঙ্গে দুই দায়িত্ব পালনে আইসিসি বা দেশের আইনে কোনো বাধা না থাকলেও চলতি বছরই যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে দায়িত্ব থেকে সরে যেতে চান তিনি। 

এ ব্যাপারে আইসিসির সঙ্গেও যোগাযোগ করার আভাস আছে পাপনের কথায়, ‘একটা অপশন, ওদের (আইসিসি) সঙ্গে আমার কথা বলতে হবে। এখানে দুটি জিনিস আছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটা হচ্ছে আইসিসি চায় তাদের ইলেকটেড বডি (নির্বাচিত কমিটি) পূর্ণমেয়াদ শেষ করুক। আর একটা হচ্ছে আইসিসির মেয়াদ। আইসিসির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তখন একটা চিন্তা করে ওদের সঙ্গে কথা বলে বের হয়ে আসার সুযোগ আছে। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই এখন যারা বোর্ডের পরিচালক আছেন তাদের মধ্যে থেকে একজন হবে (বিসিবি সভাপতি)। মানে বাইরে থেকে কারও আসার কোনো সুযোগ নেই।’ বিষয়টি তিনি ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে, ‘প্রথমে তাকে কাউন্সিলরশিপ নিতে হবে। এরপর নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। নির্বাচিত যারা হয়ে আসবে, তারাই ঠিক করবেন কে সভাপতি হবে। প্রক্রিয়াটা খুবই সহজ।’ 

এদিকে সাকিবের আগ্রহ বিসিবির সভাপতি হওয়ার। সংসদ সদস্য হওয়ার পর সেই আগ্রহ বাস্তবে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে আরও কিছুটা জোর পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমি যখন যাব তখন বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা বিসিবি সভাপতি হব। এটা আমার বিশ্বাস। পাই না পাই এটা পরের কথা। চিন্তাই যদি না থাকে সেরা হওয়ার, সেরা কাজটা কীভাবে করব?’

মাশরাফি বিসিবির সভাপতি হওয়া নিয়ে তার আগ্রহ আছে কিনা, তা এখনো প্রকাশ করেননি। অথচ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকেই বিসিবির সভাপতি করার দাবি সবচেয়ে বেশি। এটা শুধু সফল ক্রিকেট অধিনায়ক হওয়ার কারণে নয়, তিনি কথাবার্তায় অনেকের চেয়ে মার্জিত। তবে তিনি কাউকেই ছেড়ে কথা বলেন না। আর সবচেয়ে বড় কথা পাপন যেটা বলেছেন, সেটাও যে একেবারে সঠিক, তা কিন্তু নয়। কারণ পাপন নিজেই প্রথম মেয়াদে সরকার কর্তৃক নির্বাচিত ছিলেন। তাই মাশরাফি বা সাকিব যে সভাপতি হতে পারবেন না, তা ঠিক নয়। সমস্যা থাকলে উপায়ও আছে। দেখা যাক, বিসিবির সভাপতি শেষ পর্যন্ত কে হন। 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //