যাত্রী কল্যাণ সমিতির আলোচনা সভা

গণপরিবহনে যাত্রী হয়রানি, চলছে ভাড়া নৈরাজ্য

গণপরিবহনে যাত্রী হয়রানি, ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় ও নৈরাজ্য চরমে পৌঁছেছে। সড়ক পরিবহন নতুন আইন থাকলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলেও মানুষ বিচার পাচ্ছে না। এসব সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রের।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) যাত্রী অধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। 

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শরীফুজ্জামান শরীফ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

কাজী রিয়াজুল হক বলেন, এদেশের ১৭ কোটি মানুষের দাবিই যাত্রীদের দাবি। আমরা দেখেছি সড়কে বারবার মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। একদিকে নিরাপদ সড়কের কথা বলা হচ্ছে, আবার অন্যদিকে সড়কে নৈরাজ্যও আমরা দেখতে পাচ্ছি৷সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হলে মামলা হলেও মানুষ বিচার পাচ্ছে না। পরিবহন খাতে অসম প্রতিযোগিতা চলছে।

তিনি বলেন, এদেশে সড়ক দূর্ঘটনায় বছরে ২৩ হাজার মানুষ মারা যায়। অথচ করোনায় প্রথম বছরে মারা গেছেন ৬ হাজার মানুষ৷ পৃথিবীর সব দেশের মধ্যে বাংলাদেশে সড়কে নৈরাজ্য, হয়রানি এবং ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এসব সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব সরকারের। জীবনের অধিকার সবচেয়ে বড় অধিকার। এ অধিকার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়কে প্রতি মাসে ৩০০ কোটি টাকার চাঁদাবাজি হচ্ছে৷ নতুন সড়ক পরিবহন আইন হলেও তা পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। মানুষের বিরম্বনা বেড়েছে। নতুন আইনে লাইসেন্স পারমিটের জন্য দুই হাজার টাকার বদলে দশ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হচ্ছে। প্রশ্ন ওঠে আমরা ঘুষের টাকা বৃদ্ধি করার জন্য কি আন্দোলন করেছি করেছি? নতুন সড়ক আইন মালিক-শ্রমিকদের স্বার্থে কাঁটছাট করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, মানবিক গণপরিবহন গড়ে তুলতে না পারলে মেট্রোরেল, পদ্মাসেতুর মতো উন্নয়ন দৃশ্যমান হবে না৷ দীর্ঘ লকডাউন শেষে চালু হওয়া গণপরিবহনের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে।

জাতি অধিকার সমিতির উপদেষ্টা শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, বিশ্বের অন্য কোন দেশে রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে পরিবহন মালিকরা চাঁদা আদায় করেনা। কিন্তু বাংলাদেশে তা সম্ভব। সরকার আন্তরিক হলে পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও যাত্রীদের অধিকার আদায় করা সম্ভব। সরকারের আন্তরিকতার অভাব আছে বলেই সড়কে নৈরাজ্য থেকেই যাচ্ছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //